Categories
শিক্ষা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের ( SACT) মনোদর্পণ

মুখ্যমন্ত্রীকে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের খোলা চিঠি

মাননীয়া, মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু,

শ্চিমবঙ্গ সরকার

   মহাশয়া,

স্টেট এডেড কলেজ টিচারস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (SACTWA)-এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

গত ১৯শে অগাস্ট, ২০১৯ হাওড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে আপনি আমাদের সংগঠনের (তৎকালীন  WBGLA) প্রায় এক দশকের দাবীকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যের কলেজ গুলিতে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক সকল শ্রেণির শিক্ষকের, যথা — পার্ট টাইম, হোল টাইম কন্ট্রাকচুয়াল, গেস্ট লেকচারার প্রভৃতির ভেদরেখা মুছে দিয়ে “স্টেট এডেড কলেজ টিচার” পদমর্যাদা দান করেন। সকলকে একছাতার তলায় এনে  এক ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক সম্প্রদায় গড়ে তোলার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাধুবাদ যোগ্য। যা গত ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত মেমোরেন্ডামের ( 2081- EDN (CS) /10M- 83/2019, Dated- 23.12.2019) দ্বারা ১লা জানুয়ারি, ২০২০ সাল থেকে কার্যকরী হয়।  কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যব্যাপী ৪৬১ টি কলেজের ১২,৯৭৫ জন স্টেট এডেড কলেজ টিচার এক সুরে যে কথা আপনার কাছে নিবেদন করতে চান, তা তাঁদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত।

প্রথমেই বলতে হয় স্টেট এডেড কলেজ টিচার বিষয়ে উক্ত মেমোরেন্ডামে বেশকিছু অসংগতির কথা। যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকগণও স্বীকার করেছেন। এই অসংগতি দূরীকরণের জন্য আমরা সাংগঠনিক ভাবে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, ডিপিআই, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, মুখ্যসচিব, বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সহ সকল সদস্য  এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রায় সকল আধিকারিকের কাছে কয়েক দফায় লিখিতভাবে আবেদন জানাই। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তার কোনো সুরাহা হয়নি।

উপরন্তু গত ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে  নতুন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি (NEP-2020) চালু হয়েছে।  তিন বছরের UG Course- এর পরিবর্তে চার বছরের কোর্স। বহু কলেজে পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্স ও রিসার্চ সেন্টার চালু করেছে। এর পরিণাম স্বরূপ কলেজ গুলির সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের (SACT) ওপর পাহাড় পরিমাণ দায়িত্ব ও কাজের চাপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রের সেই চাপের সঙ্গেই নতুন শিক্ষাপদ্ধতির উপযোগী উচ্চমানের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার গড়তে রাজ্যানুমোদিত কলেজ শিক্ষকগণ (SACT) সর্বদাই সচেষ্ট — যা বহু ক্ষেত্রেই রীতিমতো ব্যয় সাপেক্ষ।

এমতাবস্থায় স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের পূর্বের মেমোরেন্ডামের দ্রুত পরিমার্জন যেমন অতি আবশ্যক, তেমনি শিক্ষকদের ওপর নতুন দায়িত্বভার অর্পণের কারণে নতুন কিছু ভাবনাও অত্যন্ত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সঙ্গে রয়েছে আকাশচুম্বী বাজার মূল্য। তাই আজ এই খোলা চিঠিতে বর্তমান সময়, ক্রম প্রসারিত কর্মক্ষেত্রের চাপ ও তার প্রেক্ষিতে স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের প্রাপ্তি জনিত বৈষম্যকে সামনে রেখে আমরা প্রাণ খুলে কিছু কথা আপনার নিকট তুলে ধরতে চাই।

১) SACT -এর জন্য ছুটি সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে কিছু অসংগতির কথা সরকারি আধিকারিকগণও স্বীকার করেছেন। যেমন Child Care Leave অধরা। নেই এক্সট্রা-অর্ডিনারি লিভ বা পিতৃত্বকালীন ছুটি। যা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামায় বর্তমানে ভারতবর্ষের সব স্টেটের সব ধরনের কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। এই রাজ্যেও তা কার্যকর। বঞ্চিত শুধু স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ।

২) স্টেট এডেড কলেজ টিচার সংক্রান্ত বর্তমান মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ অবসরকালীন পাঁচ লক্ষ টাকা (এককালীন) পাবেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক যদি চাকুরিরত অবস্থায় মারা যান, তবে বর্তমান নিয়মানুযায়ী  তিনি অর্থাৎ তাঁর পরিবার চাকুরিজনিত সেই সুবিধা পাবেন না। এমনকি ৫৯ বছর বয়সে মারা গেলেও নয়। এই বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। একদিকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবায় নিয়োজিত হলেও স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের জন্য  নেই স্থায়ী সরকারী কর্মীদের মতো মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) বা এইচ আর এ কিংবা পিএফ/ ইপিএফের সুবিধা, অন্যদিকে নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে তাঁদের পরিবার যদি চাকুরিরত অবস্থায় মৃত্যুজনিত ন্যূনতম সুবিধা টুকু না পায়, তবে এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর নেই। এই দুই বিষয়েও আপনার সহানুভূতিশীল দৃষ্টি আকর্ষণ করছে আমাদের সংগঠন।

৩) রাজ্যের সকল শ্রেণির চুক্তিভিত্তিক কর্মীগণ পিএফ/ ইপিএফের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু স্টেট এডেড কলেজ টিচাররা এই সুবিধা পান না — যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।

৪) স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ যেন তার সমগ্র কর্মজীবনে অন্তত একবার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের সুযোগ পান, সে বিষয়ে অতিদ্রুত নির্দেশিকা প্রকাশের জন্য আবেদন জানাই।

৫) বর্তমানে আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যের বাজারে স্যাকটরা যা সাম্মানিক ভাতা পান, তাতে তাঁদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সময়ের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্য, যেমন পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড সহ (04-1-13512016 (101401, dated- 11.05.2023) পাঞ্জাব(DPIHE-COLGOMISC/161/2021-COLLEGE EDUCATION-DPI-HIGHER EDUCATION, dated- 15.09.2022), হরিয়ানা (KW4/36-2010 CI(5), dated 27.06.2019), কেরালা (1293/2018/HEdr, dated 04.07.2018), এমনকি লাদাখের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও(25 HE (UTL) of 2024, dated 09.08.2024) কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল এড হক/চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা ন্যূনতম ৫৭,৭০০/- টাকা করেছে। সেখানে আমরা, স্টেট এডেড কলেজ টিচাররা মাসিক সাম্মানিক ভাতা পাই অর্ধেকেরও কম।

আমরা অনেকটাই প্রত্যাশা করেছিলাম ২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনে আমাদের এই হতাশাময় দিনগুলির অবসান ঘটবে। কিন্তু আমরা পুনরায় হতাশ হলাম। এই বাজেটে সরকারি কর্মচারী দের জন্য ৪% মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বর্তমানে কলেজ-শিক্ষা সহ অধিকাংশ দপ্তরে সরকারি কর্মীর তুলনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর সংখ্যা সমধিক। যেমন কলেজ-শিক্ষায় অধ্যাপক/সহকারী অধ্যাপকের তুলনায় স্টেট এডেড কলেজ টিচার বেশি। আমাদের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরাও সরকারি কর্মচারীর মতো একই বাজারে ব্যাগ হাতে বাজার করতে যেতে হয়। একই রকমের সামগ্রী আমাদেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সাম্মানিকে  আমাদের কি দুরবস্থা হয়, একবার ভেবে দেখবেন।

যাই হোক, প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, সম্মানীয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মহাশয় বেশ কয়েকবার আমাদের সমস্যা গুলি সমাধানের ও নতুন কিছু ভাবনার আশ্বাস প্রদান করেছেন। তাঁর আশ্বাস প্রদানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে ১২৯৭৫ জনের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরকে কেবল আশ্বাস প্রদানে আর রোধ করা যাচ্ছে না। বলতে গেলে ২০১৯ সালের আগেও আমাদের জন্য কেউ কিছু ভাবেনি। একমাত্র আপনি আমাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছিলেন বলেই আমরা রাজ্য ব্যাপী এতগুলো পরিবার নতুন জীবন পেয়েছিলাম। এমতাবস্থায় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, কেবল  আপনি ছাড়া আগেও আমাদের কথা কেউ ভাবেনি, আর এখনো ভাবছে না। তাই একমাত্র আপনিই পারেন এই স্থবিরতা থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের অপূর্ণ দাবি সমূহকে পূর্ণতা দিতে। আশা করি নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে আপনার হাত ধরেই আমাদের দীর্ঘ হতাশাময় দিনগুলির পরিসমাপ্তি ঘটবেl

ধন্যবাদান্তে

  শ্রী গোপাল চন্দ্র ঘোষ,                                              রাজ্য সাধারণ সম্পাদক,                                       স্টেট এডেড কলেজ টিচারস’                                   ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

বিঃদ্রঃ: এই বিষয়ে লেখা সম্পূর্ণরূপে সংগঠনের ব্যক্তিগত, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে দায়ী নয় l

Categories
শহর মেদিনীপুর

ভোটের সময়ে ছট কাক ভোরে কংসাবতী নদীতে পূজো দিলেন সুজয় হাজরা

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি :

পবিত্র ছট পূজা উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরের DAV স্কুলের পাশে কংসাবতী নদী ঘাটে আজ ভোরে ছট পূজার ভক্তদের কাছে উপস্থিত হয়ে সূর্য দেবতাকে পুজো করেন মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজয় হাজরা।

প্রার্থীর  সঙ্গে ছিলেন খড়গপুর গ্রামীন বিধানসভার বিধায়ক শ্রী দিনেন রায়, মেদিনীপুর শহরের সভাপতি শ্রী বিশ্বনাথ পাণ্ডব প্রমুখ।

Categories
রাজনীতি

মেদিনীপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে লাগু হলো আদর্শ আচরণ বিধি

বেঙ্গল সমাচার,নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :-

মেদিনীপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে লাগু হলো আদর্শ আচরণ বিধি l মেদিনীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচন ১৩ নভেম্বর। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ । প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শাসকের অফিসের  সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা শাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক খুরশেদ আলি কাদেরি এবং রিটার্নিং অফিসার মধুমিতা মুখার্জি জানান, মোট ভোটার রয়েছেন ২৯১৬৪৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১৪৮১০০ জন । মোট বুথের সংখ্যা ৩০৪ টি। প্রতিটি বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গেছে আদর্শ আচরণ বিধি। ৩ টে নাকা চেকিং করা হয়েছে। ফ্লাইং স্কোয়াড , স্যটাটিক সারভাইলেন্স টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। ৮৫ বছর বয়সী ২৬০৭ জন বয়স্ক ভোটারের এবং ৭৮২ জন প্রতিবন্ধী ভোটারের বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণ করা হবে।

মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড , মেদিনীপুর সদর ব্লকের ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শালবনি ব্লকের ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটাররা ভোট দেবেন। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জুন মালিয়া তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জুন মালিয়া সাংসদ হবার পর বিধায়ক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন করাতে হয়। যদিও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের ছয় কেন্দ্রে বিধানসভা উপ নির্বাচন ঘোষণা করে দিলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের শাসকদল ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সমস্ত রাজনীতির দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করবে l

Categories
খেলাধুলো

পেনাল্টি বক্সে গোল মারলেন পুলিশ সুপার আর গোল রক্ষক  তৃণমূলের জেলা সভাপতি !

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :

পেনাল্টি বক্সে বল রেখে গোল মারলেন জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। আর গোল রক্ষক  তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ ৫ জন সকলেই গোল খেলেন।এভাবেই শুরু হলো জঙ্গল কন্যা মহিলা ফুটবল কাপ ।
দেশের হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যের মহিলা ফুটবল দল খেলায় অংশ নিয়েছে। দুদিন ধরে এই খেলা চলবে।

সি.এ.বি সদস্য দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক সুজয় হাজরা জানান, “তরুণ সংঘ ক্লাবের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এর ফলে মহিলাদের উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বাড়বে”।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি, সমাজসেবী শান্তনু চক্রবর্তী , সুতনু চক্রবর্তী, তপন ভকত , নন্দলাল ভকত , নির্মাল চক্রবর্তী প্রমূখ।

Categories
শহর মেদিনীপুর

৯ নম্বর ওয়ার্ড সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো

বেঙ্গল সমাচার ,নিজস্ব প্রতিনিধি :

কর্নেলগোলা ভগবতী স্কুলে ৯ নম্বর ওয়ার্ড সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় l সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী জুন মালিয়া l

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, মুরলী মোহন মান্না, মহেশ্বর সরকার, জ্ঞানেন্দ্র নাথ ভূঁইয়া, নারায়ণ চন্দ্র মাইতি, কাজরী বসু, লক্ষীকান্ত মন্ডল,  দুলাল আদ্ধ, নব পাত্র, ড. কিংশুক বসু, গৌতম ডোগড়া সহ প্রায় চার শতাধিক শিল্পী- সাহিত্যিক- বুদ্ধিজীবী- শিক্ষক -প্রধানশিক্ষক — আইনজীবী- ডাক্তার- অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী -অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী- ব্যবসায়ী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ l সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৌরভ বসু l

 

Categories
শিক্ষা

ডঃ বি.আর.আম্বেদকরের জয়ন্তী  উদযাপন উপলক্ষে একদিবশীয় জাতীয় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হলো

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :

ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অফ দলিত স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ” সংগঠনের উদ্যোগে “ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গি পুনঃবিবেচনা” এই বিষয়ের ওপর এক দিবসীয় জাতীয় আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা ডঃ দেবী চ্যাটার্জী , বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ অনিল বিশ্বাস  এবং নিউ দিল্লির মানভি ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড টেকনোলজি কলেজের প্রিন্সিপাল  ডঃ মুক্তা গোয়েল। এদিন অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর ডক্টর কীর্তিবাস দত্ত স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতীয় আলোচকচক্রের সূচনা করেন।

ডঃ দেবী চট্টোপাধ্যায় ভারতের দলিত আন্দোলন এবং আম্বেদকর বিষয়ে আলোচনা করেন। ডঃ অনিল কুমার বিশ্বাস সমাজে মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে আম্বেদকরের অবদান এর উপর আলোচনা করেন । এছাড়াও ডঃ মুক্ত গোয়েল ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের শিক্ষা -চিন্তা বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং আলোচকরা সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন। অধ্যাপিকা শ্রীপর্ণা মন্ডল ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এদিনের এক দিবসী জাতীয় আলোচনা চক্রের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করের কনভেনার অধ্যাপক প্রদীপাদিত্য সিং ও সহ-কনভেনার অধ্যাপক সুদীপ মন্ডল। এদিনের আলোচনায় ৪৬৫ অংশগ্রহণ করেন।

Categories
শহর মেদিনীপুর

হোসনাবাদে পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন- ইসলামিয়া মক্তবের তৃতীয় বর্ষ বাৎসরিক পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

বেঙ্গল সমাচার,নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

মেদিনীপুর পুরসভার অন্তর্গত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের  হোসনাবাদে পুরাতন মসজিদ সংলগ্ন- ইসলামিয়া মক্তবের তৃতীয় বর্ষ বাৎসরিক পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ এবং অভিভাবক- সভায় মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষক মন্ডলীর উপস্থিতিতে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়l এছাড়াও তাৎক্ষনিক ‘কিরাত, নাও এবং মিরাতের প্রতিযোগীতা সহ মোট ১৬০ জন ছাত্র ছাত্রীদের কে পুরস্কার বিতরন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আগত বক্তাগন ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে মোবাইল ফোন থেকে দূরে সরে গিয়ে ব‌ই কে আপন করে নিতে, এর চেয়ে বড় বন্ধু এই দুনিয়ায় নেই l বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কোনোদিন তোমাদের ছেড়ে চলে যাবে না ভবিষ্যত জীবনে উন্নতির পথে সহায়ক হবে । অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইস্লাম সেক জালালুদ্দিন সাহেব ও মোতয়াল্লী ডাঃ সৈয়দ মহম্মদ হোসেন।

Categories
জেলা বিনোদন

চিত্রলেখা একাডেমী অফ ফাইন আর্টস এর উদ্যোগে বিদ্যাসাগর হল মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল জেলা ব্যাপি অংকন প্রতিযোগিতা

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :-

চিত্রলেখা একাডেমী অফ ফাইন আর্টস এর উদ্যোগে রবিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল জেলা ব্যাপি অংকন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো অঙ্কন এবং হাতের লেখা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়া হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিযোগিরাও অংশগ্রহণ করেন।

চিত্রলেখা একাডেমীর কর্ণধার শৌভিক গুড়িয়া (বিট্টু) জানান “প্রতি বছর ছোটোদের এই ধরনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেমন বসে আঁকো হাতের কাজ হাতের লেখা আবৃতি সহ নানান রকম। প্রত্যেক প্রতিযোগিকে একটি স্বান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয় এছাড়াও একাধিক পুরস্কার থাকে”।

সমগ্র অনুষ্ঠানটির সহযোগিতা থাকেন তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগার। এছাড়াও বিভিন্ন কলা কেন্দ্রের শিক্ষকগণ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। এদিন প্রায় ১২০০ প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।

Categories
রাজ্য

বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মুখ্য সচিবের দরবারে স্যাকটোয়া

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিবেদন :

রাজ্যের মুখ্য সচিব মনীশ জৈনের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করলো স্টেট এডেড কলেজ টিচার্স’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (স্যাকটোয়া)।  সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ মুখ্য সচিবের কাছে স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের বেতনবৃদ্ধি, নানা সুযোগসুবিধা সহ আট-দফা দাবিদাওয়া সংবলিত একটি পত্র পেশ করেন।

রাজ্যের গভর্নমেন্ট এডেড কলেজ গুলির প্রায় প্রতি কলেজেই সাবস্টেন্টিভ প্রফেসরদের তুলনায় স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংখ্যা অধিক। কলেজ শিক্ষার একটি মূল ভিত্তি স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ। ক্লাস ও অন্যান্য অফিসিয়াল কাজে এই শিক্ষকদের সাবস্টেন্টিভ প্রফেসরদের সমান কাজই করতে হয়। অথচ এঁরা মাসে একটা সাম্মানিক পেয়ে থাকেন। কোনো মহার্ঘ্য ভাতা বা পেনশন নেই, নেই প্রভিডেন্ট ফান্ড। কলেজের টিচার্স কাউন্সিল বা গভর্নিং বডিতেও এঁরা থাকেন না।

তাই মুখ্য সচিবের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া সংবলিত পত্র প্রেরণ করেছেন । সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং ডিপিআই, বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি ও আনুষঙ্গিক সব দপ্তরে আমাদের দাবিদাওয়া পেশ করেছি। আজ মুখ্য সচিবকেও জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

Categories
শিক্ষা

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীন কলেজ গুলিতে-শিক্ষার নানা অসঙ্গতি নিয়ে উপাচার্য -কে চিঠি স্যাকটোয়ার

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি :-

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার নানা অসঙ্গতি নিয়ে চিঠি দিল স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংগঠন স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
রাজ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু এই পঠনপাঠনে নানা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষানীতি চালু হলেও সেই অনুযায়ী এখনো পুরো চার বছরের সিলেবাস প্রণীত হয়নি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোথাও দুই সেমিস্টারের আবার কোথাও বা চার সেমিস্টারের। ফলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক সকলেই অসুবিধায় পড়ছেন।

সম্পূর্ণ সিলেবাস প্রকাশ না হওয়ায় অসুবিধার সম্মুখীন লেখক ও প্রকাশকগণও। তাঁরা বই লেখা বা প্রকাশের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ছেন। এর ফল ভুগতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। স্টাডি মেটেরিয়াল এর একান্ত অভাব দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে পাঠ্য বিষয়ে প্রশ্নের ধরন বা নম্বর বিভাজন নিয়েও ধন্দে আছে ছাত্রছাত্রীরা। নেই কোনো মডেল প্রশ্ন। পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও নানা সমস্যা। আগে প্রশ্ন রাখা হতো থানায়। পরীক্ষার সকালে প্রশ্ন কলেজে আসতো। কিন্তু এখন কয়েকদিন আগে সরাসরি প্রশ্ন আসে নোডাল সেন্টার কলেজে গুলিতে । ফলে এখানে প্রশ্ন ফাঁস হবার সম্ভাবনা প্রবল। সমস্যা রয়েছে খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও। বছর বছর একই ভেন্যুতে পরীক্ষা হচ্ছে, সেই কলেজের পরীক্ষকরাই মূল্যায়ন করছেন ও অনলাইনে নম্বর পাঠিয়ে দিচ্ছেন, স্ক্রুটিনি হচ্ছে না।

এই বিষয় গুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলেই মনে করছেন শিক্ষক সংগঠন l স্যাকটোয়ার রাজ্য  সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, “এগুলির ওপর ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। আশা করি উপাচার্য মহোদয় দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের মধ্যে দুই মেদিনীপুর জেলায় এডেড কলেজের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে সব কলেজেই স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংখ্যা অধিক। তাই উপাচার্যের কাছে সংগঠন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে কলেজের টিচার্স কাউন্সিলে এই শ্রেণির শিক্ষকদের প্রতিনিধি থাকেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে টিচারস কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কলেজ টিচারগণের থাকা বাঞ্ছনীয়”।