দেশ - বিদেশ

সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বাংলার জয়জয়কার, IIT জ্যামে প্রথম নৈহাটির রূপাঞ্জন

সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বাংলার জয়জয়কার, IIT জ্যামে প্রথম নৈহাটির রূপাঞ্জন

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেক্স :-

সর্বভারতীয় পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো ফলাফল, সাফল্যের নজির গড়লেন নৈহাটির যুবক রূপাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। IIT গুয়াহাটির ইনস্টিটিউটের অধীনে জয়েন্ট অ্যাডমিশন টেস্ট মাস্টার্স (JAM) ২০২৩ পরীক্ষায় ম্যাথামেটিক্যাল স্ট্যাটিসটিকসে ২৯১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছেন রূপাঞ্জন। কী ভাবে এই কাঙ্খিত সাফল্য..? জবাব দিলেন এই কৃতী।

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র রূপাঞ্জন। নৈহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গিরিশ ঘোষাল রোডের বাসিন্দা তিনি। বাবা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় একজন শিক্ষক। IIT JAM-এ ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৯ পেয়েছেন নৈহাটির ওই যুবক। ভারতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।

বাণিজ্য বিভাগের গৃহশিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। নিজের হাতে বহু ছাত্রকে তৈরি করেছেন, তাঁদের সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। ছেলে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো। কিন্তু, প্রথম স্থান অধিকার করবে, এই প্রত্যাশা ছিল না বাবা মায়ের। স্বাভাবিকভাবে আপ্লুত তাঁরা।

রূপাঞ্জনের মা রূপালী মুখোপাধ্যায় বলেন, “ও যাতে সফল হয় সেই আশা করব। আমার ছেলে জীবনে যে পথে এগোতে চায়, এগোক। আমরা ওর পাশে আছি। অন্যান্য বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যে বলব সন্তানদের ভালো কাজে সব সময় তাঁদের উৎসাহিত করুন। তাঁদের চলার পথে পাশে থাকুন।”

রূপাঞ্জনের বাবা মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমার ছেলে পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল। ২০২০ সালে ও পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম হয়েছিল। আমার অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, যারা জীবনে সাফল্য পেয়েছে। বাবা হিসেবে তো বটেই, রূপাঞ্জনের শিক্ষক হিসেবেও আজ আমার অত্যন্ত গর্বের দিন।”

এদিকে যাঁকে নিয়ে এত আলোচনা সেই রূপাঞ্জন  কী বলছেন..? তিনি বলেন, “আমার বাবা-মা এবং শিক্ষকরা পাশে থেকেছেন সবসময়। IIT জ্যামের প্রস্তুতি শুরু করার পর দিনে প্রায় তিন ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। পরীক্ষার সময় তা আরও একটু বেড়েছিল।”

এই কৃতী আরও বলেন, “ভালো ফলাফল করব ভেবেছিলাম। যখন উত্তরপত্র প্রকাশিত হয় তা মিলিয়ে বুঝেছিলাম ১০-এর মধ্যে থাকব। কিন্তু, প্রথম হব ভাবতে পারিনি।” পড়াশোনার জন্য সোশাল মিডিয়ার থেকেও কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন তিনি।

তাঁর কথায়, “অবশ্যই একটা লক্ষ্য ছিল। বাবা-মা কোনওদিন প্রত্যাশার চাপ সৃষ্টি করেননি। তাই হয়তো অনেক সহজভাবে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পেরেছি। আগামীদিনে ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে চাই বা ডেটা নিয়েও কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে।”

যেকোনো ধরনের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : 8918270591

Tags

Related Articles

Back to top button
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker