Categories
জেলা বিনোদন

চিত্রলেখা একাডেমী অফ ফাইন আর্টস এর উদ্যোগে বিদ্যাসাগর হল মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল জেলা ব্যাপি অংকন প্রতিযোগিতা

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :-

চিত্রলেখা একাডেমী অফ ফাইন আর্টস এর উদ্যোগে রবিবার মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল জেলা ব্যাপি অংকন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো অঙ্কন এবং হাতের লেখা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়া হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিযোগিরাও অংশগ্রহণ করেন।

চিত্রলেখা একাডেমীর কর্ণধার শৌভিক গুড়িয়া (বিট্টু) জানান “প্রতি বছর ছোটোদের এই ধরনের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেমন বসে আঁকো হাতের কাজ হাতের লেখা আবৃতি সহ নানান রকম। প্রত্যেক প্রতিযোগিকে একটি স্বান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয় এছাড়াও একাধিক পুরস্কার থাকে”।

সমগ্র অনুষ্ঠানটির সহযোগিতা থাকেন তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগার। এছাড়াও বিভিন্ন কলা কেন্দ্রের শিক্ষকগণ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করতে সাহায্য করেন। এদিন প্রায় ১২০০ প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন।

Categories
বিনোদন

ডেবরা গ্রামীণ উৎসব ২০২৩, প্রায় ১০দিন ব্যাপী চলবে ডেবরা হরিমতি স্কুল ময়দানে

নিজস্ব প্রতিনিধি, ডেবরা :-

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকে “ডেবরা গ্রামীণ উৎসব ২০২৩” প্রায় ১০দিন ব্যাপী চলবে  ডেবরা হরিমতি স্কুল ময়দানে  l মেলার শুভ উদ্বোধন হয়েছে গত ২৭ শে মার্চ। আগামী ৪ এপ্রিল আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসছে ডেবরা গ্রামীণ উৎসবের মঞ্চে। উৎসব কমিটির সভাপতি তথা সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধাড়া বলেন  “চার তারিখ সারাদিন রাত ধরে চলবে আদিবাসীদের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা। ডেবরা ব্লক ছাড়াও পাশাপাশি এলাকা থেকে আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন এই উৎসবে যোগ দেবেন। গতবছর এই অনুষ্ঠানে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়”।

প্রসঙ্গত, ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেবের উদ্যোগে ২৭ মার্চ থেকে ডেবরা হরিমতি স্কুল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ডেবরা গ্রামীণ উৎসব। ওইদিন উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর। দেবকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করে তৈরি হয়েছে কমিটি। সাংসদ প্রতিনিধি সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়ক উৎসবের চেয়ারম্যান। প্রধান উপদেষ্টা রয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়।

২০১৭ সাল থেকে এই উৎসব চলে আসছে। এবছর তা সাত বছরে পড়ল। উৎসবকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলাও। সেখানে প্রায় ৮০টি স্টল আছে। পাশাপাশি ছোটদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা সহ নানা উপকরণ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন স্টলের মধ্যে নজর কেড়েছে সোনার দোকান, দু’চাকা, চারচাকা গাড়ির একাধিক স্টল। সেখানেও ভিড় জমছে বাসিন্দাদের। উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে যোগাসন, অঙ্কন প্রতিযোগিতা। রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছে।

মেলাকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে প্রতিদিন নামী শিল্পীদের সঙ্গীতের আসর উৎসবের আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সভাপতি বলেন, অনুষ্ঠান দেখতে ডেবরা ছাড়াও পাশাপাশি এলাকার বহু মানুষের ভিড় জমছে উৎসব প্রাঙ্গণে। ভিড় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্টলেও। উৎসব প্রাঙ্গণে যেমন দেখা মিলছে আশি বছরের বৃদ্ধের, তেমনই ছোটদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। বিকেল হতে না হতেই সকলের গন্তব্য হয়ে উঠছে হরিমতি স্কুল প্রাঙ্গণ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উৎসব প্রাঙ্গণে ভিড় উপচে পড়ছে। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ অবশ্য আসছেন প্রিয় শিল্পীদের গান শুনতে। সবমিলিয়ে কচিকাঁচা থেকে বয়স্কদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ।

Categories
বিনোদন

৭০ লিটার রং দিয়ে আঁকা হলো ৭০ ফুটের সঙ্গীত শিল্পী কেকের পোস্টার! নজর কাড়ছে মেলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি,দাসপুর : 

এবার এক এবং সঙ্গীত শিল্পীকে সম্মান জানালো পশ্চিম মেদিনীপুরের এক শিল্পী ও তার ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রায় সাত তলা বাড়ির সমান পোস্টার তৈরি করল প্রায় এক মাস কাজ করে। এই পোস্টারটি তৈরি করতে রং ব্যবহার করা হয়েছে এশিয়ান পেইন্টের ৭০ লিটার। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে শিল্পী বিমান আদক ও তার ছোট্ট ছোট্ট ছাত্র-ছাত্রীরা ফুটিয়ে তুলেছেন হারিয়ে যাওয়া সংগীত শিল্পী কেকে ওরফে কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ পোস্টার। আর তাই দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন।

এই পোস্টার নজর কাড়ছে  নাড়াজোল মেলায়। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় গত ২০২২ সালের ৩১ সে মে কলকাতায় এক অনুষ্ঠান চলাকালীন স্টেজেই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান বিশিষ্ট সঙ্গী শিল্পী কে কে। এই সংগীতশিল্পী ভারতীয় সংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি তেলগু, তামিল, কন্নড়, বাংলা, হিন্দি, ওড়িশা সহ বিভিন্ন গানে প্রসিদ্ধ করেছেন। কিন্তু সেই শিল্পীর অকাল প্রয়াণে তার অনুরাগীরা ব্যাথিত হয়ে একের পর এক পোস্ট করতে থাকে সোশ্যাল সাইটে এবং ফেসবুক টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে। এরই সঙ্গে তার মৃতদেহকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি শিল্পীকে বিদায় জানাই তার ভক্ত, অনুরাগী,আত্মীয় স্বজন ও পরিবার পরিজনেরা। দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেই শিল্পীকে ভুলতে পারেনি এখনো পশ্চিম মেদিনীপুর।

তাই দাসপুর নাড়াজোলের বছর ৩০ এর শিল্পী বিমান আদক এক নিখুঁত প্রচেষ্টায় তুলে ধরেছেন সেই শিল্পীকে তবে বৃহৎ আকারে। তার এই সুউচ্চ পোস্টার রাখা হয়েছে দাসপুরে অজিত ভুঁইয়া স্মৃতি মেলা ২০২৩ প্রাঙ্গণে। সেই মেলা দেখতে হাজির মেলা-প্রেমীরা মেলার সঙ্গে শিল্পীকে দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। আর এই প্রচেষ্টায় সফল হতে পেরে খুশি শিল্পীরা।

এদিন এই শিল্পী বিমান আদক বলেন বহুদিনের প্রচেষ্টা ছিল এবং শিল্পী প্রতি কষ্ট ছিল মনে। তাই শিল্পীকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা মাত্র। আমার সঙ্গে আমার এই ছাত্রছাত্রীরা হাত মিলিয়েছে দীর্ঘ পরিশ্রম প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংগীত শিল্পীকে তুলে ধরতে পেরেছি। যা এই মেলায় মেলা প্রেমীদের কাছে দর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।এই মেলা চলবে প্রায় আট দিন ধরে। এই পোস্টারটি সংরক্ষণ করার আবেদন শিল্পীর।

Categories
বিনোদন

মাত্র 11 সেন্টিমিটারের মাইক্রো আর্টের সরস্বতী প্রতিমা! তাক লাগালো চন্দ্রকোনার যুবক

নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা :

মাত্র 11 সেন্টিমিটারের মাইক্রো আর্টের সরস্বতী প্রতিমা! তাক লাগালো চন্দ্রকোনার যুবক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার 3 নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুরের যুবক শুভজিৎ প্রামাণিক।পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট থেকেই ছবি আঁকা ও পরে মাইক্রোআর্টে হাত পাকায় শুভজিৎ। গত চারবছর ধরে বিভিন্ন মাইক্রোআর্টের কাজ করে চলেছে সে। শুভজিৎ এর হাতের তৈরি ওই সমস্ত একাধিক মাইক্রো আর্টের জিনিস আগেই নজর কেড়েছে।

একাজে ইতিমধ্যে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলেছে সে। ইংরেজিতে অনার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে কম্পপিটিটিভ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে শুভজিৎ প্রামাণিক। তারই ফাঁকে এই মাইক্রোআর্টের কাজ করে নিজের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলে।  খবরের কাগজ কাটিং করে তা রোলিং করে মাত্র 11 সেন্টিমিটার উচ্চতার সরস্বতী ঠাকুর তৈরি করে তাক লাগালো চন্দ্রকোনার এই কৃতি যুবক।

শুভজিৎ জানায়,খবরের কাগজ কাটিং করে এবং তাকে রোলিং করে সরস্বতী ঠাকুর তৈরি করা হয় এবং তার উপর রংয়ের কারুকার্য করা হয়। এর উচ্চতা মাত্র 11 সেন্টিমিটার যা বানাতে সময় লেগেছে 2 দিন।কাগজের রোলিং করে আস্ত সরস্বতী ঠাকুর শুধুই নয়, সরস্বতীর বাহন হাঁস থেকে শুরু করে বিদ্যাদেবীর বাণী বন্দনায় একই সাথে বীণা, হারমোনিয়াম, ডিগি-তবলা রয়েছে শুভজিৎ এর এই নিপুণ কারুকার্যে।

সরস্বতী পুজোতে শুভজিৎ এর এই নিপুণ শিল্পকর্ম রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের। সবাই অপেক্ষা করছে তার কারুকার্য দেখার।

Categories
বিনোদন

রাজনৈতিক কুটকাচালি ও ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার! পরম্পরায় ট্র্যাডিশনাল বজায় পুজো কর্তাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

রাজনৈতিক কুটকাচালি ও ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ার! পরম্পরায় ট্র্যাডিশনাল বজায় পুজো কর্তাদের। বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমাজ সেবামূলক বার্তা নিয়ে মেদিনীপুরের কলেজ স্কোয়ারের পুজো। ট্রাডিশনাল বজায় রেখেই এই পুজোর আয়োজন পুজো মন্ডপ কর্তাদের। শুধু জেলার না রাজ্যের ক্ষেত্রেও এই কলেজ স্কোয়ারের পূজো এক অন্য মাত্রা রাখে। যেখানে যেমন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসক দলের নেতা বিধায়ক, সাংসদ এবং বিরোধী নেতৃত্বেরও কার্টুন একে কবিতা ছড়ার মাধ্যমে ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে এই কলেজ স্কোয়ার।

 

এইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কৌতুক ছড়া, ব্যঙ্গচিত্র ভরিয়ে তোলা হয়। আর এই ব্যঙ্গচিত্র কার্টুন দেখতে বছরের পর বছর ধরে ভিড় জমায় আট থেকে আশির মানুষ জন। কলেজ স্কয়ার একদিনের জন্য হয়ে ওঠে ঠিক ভ্যালেন্টাইনস ডে মতন। এখানে শুধু এই ব্যঙ্গচিত্র নয় এরই সঙ্গে পড়ুয়া তরুণী টিন এজাররা ভিড় জমান একে অপরের সঙ্গী -সঙ্গিনী নিয়ে। মাঝখানে কোভিড বিপর্যয়ের সময় কিছুটা স্থিমিত হয়ে গেছিল এই প্রদর্শনী। এরপর মহামারী কাটিয়ে আবার নতুন করে নতুন নতুন ব্যঙ্গচিত্র ভরে তুলেছে তারা। এখানে রাজনৈতিক ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করা হয়। এক মাস ধরে দীর্ঘ খাটাখাটনি পরিশ্রম করে এই ব্যঙ্গচিত্র হাস্যকৌতুক ছড়া তৈরি করেন পূজো মণ্ডপের সদস্যরা। তবে এবারের ব্যঙ্গচিত্রে নজর কাড়ছে একদিকে বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী অপরদিকে শাসকদলের নেতা মন্ত্রী যারা যারা জেলে গেছে। শিক্ষার হাল ফেরাতেও আবেদন করা হয়েছে এই চিত্রের মাধ্যমে।

এদিন এই কলেজ স্কোয়ারে দেখতে আসা মানুষ জন ব্যঙ্গচিত্র দেখে মন্তব্য করে যে এই ধরনের ট্রাডিশনাল একমাত্র মেদিনীপুরে দেখা যায় এবং এটা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। এই ব্যঙ্গচিত্র মজাদারই হয় এবং বাস্তববাদী। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি সহমত মণ্ডপ কর্তাদের। তারা বলেন মজা দেওয়ার জন্যই এই ব্যঙ্গচিত্র তুলে ধরা হয় সঙ্গে জানান দেওয়া হয় বর্তমান দেশ রাজ্য না রাজনীতির পরিস্থিতি।

Categories
বিনোদন

এই সরস্বতী একটু অন্যরকম! হাঁটছে তাকাচ্ছে আশীর্বাদ করছে, চলমান সরস্বতী মেদিনীপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

মোবাইলের দাপটে আস্তে আস্তে কমেছে, সমস্ত পুরনো নস্টালজিয়া, জিনিসপত্রের ব্যবহার। বিশেষ করে খেলাধুলা প্রিয় জিনিস প্রভৃতি। এছাড়া বর্তমানে মোবাইল নিয়ে মানুষ একা হয়ে পড়েছে, যার ফলে বাড়িতে থাকা বয়স্ক বৃদ্ধ বাবা-মা সহ বয়স্করা সম্পূর্ণ একলা জীবন কাটাচ্ছে। এছাড়াও বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে মানুষের পরিবর্তে রোবটের ব্যবহার করছে বর্তমান বিশ্বের মানুষজন l আর এই রোবট ভবিষ্যতের সমস্ত মানুষের কাজ নিজেরাই করবে।ফলে মানুষের প্রতি মানুষের সংযোগ স্থাপন,আলাপচারিতা এসব হারিয়ে যাবে আস্তে আস্তে করে।

তাই ভবিষ্যতের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে সেই পুরনো দিনের নস্টালজিয়ার খেলাধুলা জিনিসপত্র নিয়ে এবারের থিম “কাল” বা “সময়’। মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুর প্রান্তিক এলাকার অভিনন্দন সংঘের এবারের থিম তাই সময় যাতে বিরাজমান রোবটিক্স সরস্বতী। এই থিমের মুলে রয়েছে এলাকার কিছু পড়ুয়া যারা বাইরে রাজ্যে পড়াশোনা করে। তারা তাদের নিজের বুদ্ধি দিয়েই কাগজ পিচবোর্ড কেটে এই ধরনের থিম তৈরি করা হয়েছে।

তাই এই সরস্বতী প্রতিমা চোখ বন্ধ করছে, খুলছে,আশীর্বাদ করছে এরই সঙ্গে পেছনে তার বাহন হাঁস পাখা মিলছে বন্ধ করছে। অপরদিকে থিমের অন্যান্য দিকগুলিতে পিচবোর্ড কেটে রোবট বানানো হয়েছে যেগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে কাজ করবে। এরই সঙ্গে বৃদ্ধাশ্রমের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া পোস্ট অফিসের চিত্র। তাছাড়া এরই সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি, বর্তমানে সমাজ লটারির আসক্ত হওয়ার ঘটনাকেও তুলে ধরেছেন এখানকার ক্লাব কর্তারা। আর সেই প্রতিমা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন এলাকার মানুষ।

ক্লাব কর্তা রাজা মাইতি বলেন “বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে তাতে আমাদের পুরানো দিনের নস্টালজিয়ার সমস্ত হারিয়ে যেতে বসেছে। তাছাড়া যেভাবে রোবট মানুষের কাজ নিজেরা করে ফেলছে তাতে আগামী দিনের রোবটই থাকবে। তাই আমাদের এই থিম এবং আমরা চলমান-সরস্বতী করে মানুষকে আগামী ভবিষ্যতের চিত্র দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি”।

 

 

 

Categories
বিনোদন

ক্ষুদেদের সুপার মডেল অফ বেঙ্গল জুনিয়র প্রতিযোগিতা! ৮০ জন পড়ুয়া দেখালো তাদের ট্যালেন্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর : 

এবার শিশুদের নিয়ে সুপার মডেল প্রতিযোগিতা আয়োজন খড়গপুরে। নাম দেওয়া হয়েছে সুপার মডেল অফ বেঙ্গল জুনিয়র ২০২৩। এদিন খড়্গপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স, সেন্ট Agnes, Griffin’s,ডনবস্কো,DAV স্কুল, বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতন, সহ বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চাদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মূলত ৩ থেকে ৬ বছর,৭ থেকে ১০ এবং ১১ থেকে ১৪ বছর কিশোর কিশোরীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রায় ৮০ জন শিশু ছিল এই সুপার মডেল প্রতিযোগিতায়।

আলোর ঝলকানি এবং সাউন্ড সিস্টেমের মধ্য দিয়ে নিজেদের ট্যালেন্ট প্রদর্শিত করে তারা। বড়দের থেকে তারা যে কোন অংশে কম যায় না সেটা এদিন দেখিয়ে দিল খড়্গপুর। এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল The Stargazer India তাছাড়া এই পুরো অনুষ্ঠানটি হয় খড়গপুর খরিদায় সেন্ট জেভিয়ার্স পাবলিক স্কুলে। এই মডেল প্রতিযোগিতায় ছোটদের মধ্যে  প্রথম হয় শেখ রাসুল রানার আপ সাগ্নিক দাস আর মেয়েদের মধ্যে জানভী সিং রানার আপ ঋদ্ধিমা ব্যানার্জি।বড়দের মধ্যে প্রথম হয় দিপ্তদীপ মজুমদার রানার আপ রিত ভৌমিক। এই সমগ্র অনুষ্ঠানের গ্রুমার ছিলেন অভিলাষ সিং রাজপুত সহ অন্যান্যরা।

সংস্থার তরফে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বলেন “মূলত শিশুদের বিকাশের লক্ষ্যেই এই ধরনের অনুষ্ঠান। আগামী দিনে যাতে তাদের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং তারা নিজেদের গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তাই এ ধরনের অনুষ্ঠান আরও করা হবে”।

Categories
বিনোদন

12 বছরে বারো দশা ফিল্ম সিটির! 1200 কোটির প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখার কাতর আবেদন কর্মীদের, চাইছেন সরকারি হস্তক্ষেপ

বিশ্বনাথ দাস, চন্দ্রকোনা রোড :-

12 বছরে বারো দশা ফিল্ম সিটির! 1200 কোটির প্রকল্প বাঁচিয়ে রাখার কাতর আবেদন কর্মীদের, চাইছেন সরকারি হস্তক্ষেপ। বেহাল ফ্লিম সিটির পুনর্জীবনের জন্য সরকারের কাছে কাতর আবেদন কর্মীদের। এরকমই দশা চন্দ্রকোনা রোডের ফিল্ম সিটির। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় ২০১২ সালে ঢাক ঢোল পিটিয়ে কিং খান হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খানের হাত ধরেই এই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডে পথ চলা শুরু হয়েছিল প্রয়াগ ফিল্ম সিটির। প্রায় ২৭০০ একর জায়গা সঙ্গে বারোশো কোটি টাকার প্রকল্প। এখানে শুধু বাংলা সিনেমা নয়, হিন্দি ও ইংরেজি সঙ্গে টলিউড বলিউড হলিউডের সিনেমা করার পাশাপাশি যাতে দেশ-বিদেশ শহর রাজ্য এবং জেলার বিভিন্ন পর্যটকেরা রাত্রি নিবাস করে এখানকার সাইট সিন গুলো দেখতে পারে তার ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন কর্তৃপক্ষ।

তাই ফিল্মি দুনিয়ার বিভিন্ন চিত্র ছাড়াও রয়েছে এরোপ্লেন, জলজ্যান্ত ড্রাগন, বিভিন্ন ধরনের রাজপ্রাসাদ, শুটিং করার ট্রেন, সেতু, কুমির সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইভ ডি মিউজিয়াম। ভেন্ডার সাফাই কর্মীসহ পাঁচ হাজার কর্মী ছিল এর দেখভালের জন্য। এক সময়ে এখানে টলিউডের বিখ্যাত সিনেমা যোদ্ধা, বেগম জান, ছায়া মানুষ, রাজকাহিনী, জুলফিকার, কমান্ডো,বোঝেনা সে বোঝেনা, কবীর সিনেমার মতো সিনেমার শুটিং হয়েছে। অভিনয় করতে এসেছেন দেব, সোহম মিমি সহ টলিউডের এক ঝাঁক অভিনেতা অভিনেত্রীরা। হয়েছে শর্ট ফিল্ম, হয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় সিরিয়ালের শুটিং। এছাড়াও বহু পর্যটক এসেছে এখানে এই ফিল্ম সিটি দেখার জন্য। ঠিক যেভাবে রামোজি ফিল্ম সিটি দেখার জন্য ভিড় জমায় পর্যটকেরা। কিন্তু সরকার পরিবর্তন পরেই ২০১৪ সালের পর থেকেই অধঃপতন শুরু হয়। এই ফিল্ম সিটির মালিকের জেলে যাওয়ার পর থেকেই ধস নামে এই সংস্থার। বর্তমানে ৫০ জন কর্মী নিয়ে কোনক্রমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই ফিল্ম সিটি। শুটিং প্রায় হয় না বললেই চলে। শীতকালে কিছু কিছু পর্যটক আসে দেখার জন্য কিন্তু যাবার সময় একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরে যায় এই ফিল্ম সিটির করুন দশা দেখে।

এরই সঙ্গে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মত যোগ হয়েছিল মহামারী করোনা। গ্রীষ্মকালে এখানে তার কাকপক্ষীও আসে না। ফলে এই বেহালদশা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে এই প্রয়াগ ফিল্ম সিটি। তাই এখানকার বর্তমান কর্মীরা যাদের বর্তমানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা হাত জড়ো করে আবেদন করছে সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছে দায়িত্বভার নেওয়ার যাতে এই সংস্থা আগের মত জাঁকজমক হয়ে ওঠে।

ঘুরতে আসা পর্যটক রা একরাশ ক্ষোভ নিয়ে জানালো এই ফিল্ম সিটি নষ্ট হয়ে যাওয়া স্মৃতি গুলোকে সংরক্ষিত করা দরকার। তাতে যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে তেমনি কর্মসংস্থান হবে বহু মানুষের।এরই সঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষিত হবে পর্যটকদের।

এই দিন প্রয়াগের মার্কেটিং ম্যানেজার আশিষ পাল বলেন “যেখানে শাহরুখ খানের মতন কিং খানের দ্বারা এই ফিল্মসিটির উদ্বোধন। যেখানে আমরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম কাজ করতে সেখানে আজ ভগ্নদশা। বারোশো কোটি টাকার প্রকল্প 12 দশাতে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন ভবিষ্যতে চিন্তায় রয়েছি। তাই সরকারপক্ষ সহ সমস্ত রকম মানুষের কাছে আবেদন দয়া করে আমাদের বাঁচান। আমরা চাই আগামী দিনে যে কেউ এর দায়িত্ব নিয়ে আবার নবজীবন দান করুক প্রয়াগ ফিল্ম সিটির”।

Categories
বিনোদন

অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের হাত ধরে ঘাটাল শিশু মেলার উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঘাটাল :

মাঝে দুবছর কোভিড বিপর্যয় এরপর ফের অভিনেতার হাত ধরে উদ্বোধন হলো ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার।মূলত পায়রা উড়িয়ে এই মেলার উদ্বোধন করে রঞ্জিত মল্লিক। মূলত কোভিড বিপর্যয়ের পর আবার মেলায় সামিল হয়েছে ঘাটাল।

মহাধূমধাম করে উদ্বোধন হল ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা।মেলার উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্র জগতের অভিনেতা  রঞ্জিত মল্লিক,উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের আধিকারিকা।ঘাটাল শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা,কুচকাওয়াজ এবং মুল মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্বলন,পতাকা উত্তোলন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন হয়।এবছর ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা ৩৪ তম বর্ষে পড়লো,ঘাটাল শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ১০ দিন ধরে চলবে এই মেলা।মেলায় নানান বিকিকিনির দোকানের পাশাপাশি কৃষি ও চিত্র প্রদর্শনীর স্টলও থাকছে।এছাড়াও মেলা কদিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাথে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে যেখানে হাজির থাকবেন নামি-দামি শিল্পীরা।

যদিও এদিনের এই ঘাটাল উৎসব মেলাতে দেখা যায়নি অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে সাংসদ দেব কে। অনুপস্থিত দেব কে নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। দেবের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবেও উঠছে নানা প্রশ্ন।

 

Categories
বিনোদন

জানেন কি নীতা আম্বানির জুতো, ব্যাগ থেকে কাপ, পোশাক এসবের মূল্য কত…!

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

একাধারে দেশের ধনীতম ব্যক্তির অর্ধাঙ্গিনী এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ক্রিকেট টিমের মালকিন নীতা আম্বানির ব্যক্তিগত জীবন প্রায়সই চর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সাজগোজ থেকে পোশাক-আশাক সবকিছুতেই মধ্যমণি মুকেশ-পত্নী নীতা আম্বানির দামি নজরকাড়া পোশাক, কুমীরের চামড়ার ব্যাগ এই সবকিছুই আলোচনায় উঠে এসেছে বারবার। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে চাকচিক্য এবং বিলাসিতার ছোঁয়া রয়েছে নীতা আম্বানির। এমনকি নীতা আম্বানির পানীয় জল নিয়েও চর্চা কম হয় না।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি জল যার দাম হল, ৭৫০ মিলিলিটারের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি। এই জল আমদানি করতে হয় ফ্রান্স এবং ফিজি থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানীয় জলে নাকি প্রায় পাঁচ গ্রাম পরিমাণে স্বর্ণভস্ম মিশ্রিত আছে যা মানব দেহের জন্য ভীষণ উপকারী। সেই কারণেই এই জলটির মূল্য এত বেশি। তাঁর সকালের চা খাওয়ার কাপটির দামি ৩ লক্ষ টাকা। তিনি ভীষণ শখ করে জাপানের প্রাচীনতম বাসনপত্র তৈরীর সংস্থা থেকে ২২ ক্যারেট সোনা ও প্লাটিনাম খচিত একটি চায়ের কাপ প্লেটের সেট কেনেন নিজের জন্য। এই পুরো সেটটির দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা।

ঘড়ি নিয়েও তাঁর মুগ্ধতার কমতি নেই। বুলগেরি, রেডো, গুচ্চি, কেলভিন ক্লিন, ফসিলের মতো বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ডের ঘড়ি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। হাতব্যাগের প্রতিও নীতা আম্বানির দুর্বলতা প্রবল। সম্প্রতি কুমীরের চামড়া দিয়ে তৈরি ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা দামের হাতব্যাগটি বিশ্বজুড়ে একটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ২০১৭ সালে ব্যাগটি বৃটেনের ‘ক্রিস্টিজে’ নিলামে ওঠে। জুতোর ব্যাপারেও বেশ খুতখুঁতে তিনি। নীতার জুতোর তাকে ঠাঁই পেয়েছে পাদ্রো, গ্রাসিয়ার মতো নামিদামি বিদেশি কোম্পানির জুতো। কানাঘুঁষো শোনা যায়, তিনি নাকি এক জুতো কখনো দুবার পড়েন না।।