বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-
সারা বিশ্বে একটি পরিচিত নাম বাবা ভাঙ্গা। যাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। ২৬ বছর আগে করা তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী বছরের পর বছর সত্য হচ্ছে। তিনি আগামী ২০২৩ সালের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছেন। বছরের শেষ দিকে সেই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে নিবিড় অনুশীলন চলছে।
২৬ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে তিনি মারা যান। সে সময় ভবিষ্যতে কী হতে পারে, তিনি নিজের মুখেই বলেছিলেন। তাঁর করা এসব ভবিষ্যদ্বাণী বছরের পর বছর মিলে যাচ্ছে, এটা অনেক মহলের দাবি। বাবা ভাঙ্গা বুলগেরিয়ার একজন রহস্যময় এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বুলগেরিয়ার কুঝু পর্বতের রূপিতিতে। বাবা ভাঙ্গা ৩১শে জানুয়ারী, ১৯১১ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের স্ট্রোমিকায় জন্মগ্রহণ করেন। কথিত আছে যে, বাবার বয়স যখন ১২ বছর, একদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে প্রবল ঝড়ে তিনি আটকে যান।
ঝড় ভাঙ্গা বাবাকে অনেক দূরে উড়িয়ে নিয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর পর যখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়, তখন দেখা যায় তাঁর চোখ দুটির অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। ধুলো, ময়লা চোখের কোটরে প্রবেশ করেছে এবং তাঁর চোখে একটি শক্ত আবরণ তৈরি হয়েছে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। ভাগ্যের পরিহাসে তাঁকে সারাজীবন অন্ধ হয়ে থাকতে হয়।
বাবা ভাঙ্গা ২০২৩ সালের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। নতুন বছরের জন্য তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি জৈবিক অস্ত্র থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিস্ফোরণ পর্যন্ত সমস্ত কিছু নিয়েই। বিশ্ববাসীর জন্য কী অপেক্ষা করছে বা নতুন বছরে মানুষ কী উপহার পেতে চলেছে তা জানার অপেক্ষায় সবাই। আগামী বছরের জন্য নতুন আশা এবং আত্মবিশ্বাসের জন্য প্রার্থনা সবারই। কিন্তু বাবা ভাঙ্গার করা ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে মনে হচ্ছে, ২০২৩-এ পৃথিবীর জন্য ভাল কিছুই অপেক্ষা করছে না।
তিনি বলেন, আগামী বছর ভয়াবহ সৌর ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে যা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। ২০২৩ সালে এলিয়েনরা পৃথিবীতে আক্রমণ করতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবী অন্ধকারে ঢেকে যেতে পারে এবং লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। আবার এ বছরই গবেষণাগারে মানব শিশুর জন্ম হবে। আর বাবা-মা শিশুর গায়ের রং, লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারবেন।
অনেক সূত্র দাবি করেছে যে, বাবা ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারের পরিণতির কথা বলেছিলেন, যা মিলে গেছে। ১৯৫০-এর দশকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং ২০০৪ সালের সুনামির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম রাষ্ট্রপতি একজন আফ্রিকান-আমেরিকান হবেন; বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়াও এর সঙ্গে মিলে গেছে।
এছাড়াও ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের উপকূলে একটি বড় বিপর্যয় ঘটবে, সেই বছর সুনামি হয়েছিল। ২০১৬ সালে ‘মুসলিম’রা ইউরোপ দখল করবে, আগামী কয়েক বছর ধরে ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত থাকবে। ফলস্বরূপ, মানুষ পালিয়ে যাওয়ার ফলে পুরো মহাদেশটি ‘প্রায় খালি’ হয়ে যাবে।
২০১৮ সালে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরাশক্তি হয়ে উঠবে। এছাড়া ২০১৯ সালে একটি ভাইরাসের ভয় পুরো বিশ্বকে গ্রাস করবে। ঠিক তেমনই সারা বিশ্বকে গ্রাস করেছে করোনা ভাইরাস। ডেইলি মেইল ইউকে-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা ভাঙ্গা লেখক ভ্যালেন্টিন সিডোরভকে বলেছিলেন, “রাশিয়া বিশ্বের চালক হয়ে উঠবে। ইউরোপ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। রাশিয়াকে কেউ আটকাতে পারবে না”।