Categories
শিক্ষা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের খোলা চিঠি

সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের ( SACT) মনোদর্পণ

মুখ্যমন্ত্রীকে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের খোলা চিঠি

মাননীয়া, মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু,

শ্চিমবঙ্গ সরকার

   মহাশয়া,

স্টেট এডেড কলেজ টিচারস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (SACTWA)-এর পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

গত ১৯শে অগাস্ট, ২০১৯ হাওড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে আপনি আমাদের সংগঠনের (তৎকালীন  WBGLA) প্রায় এক দশকের দাবীকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যের কলেজ গুলিতে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক সকল শ্রেণির শিক্ষকের, যথা — পার্ট টাইম, হোল টাইম কন্ট্রাকচুয়াল, গেস্ট লেকচারার প্রভৃতির ভেদরেখা মুছে দিয়ে “স্টেট এডেড কলেজ টিচার” পদমর্যাদা দান করেন। সকলকে একছাতার তলায় এনে  এক ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক সম্প্রদায় গড়ে তোলার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সাধুবাদ যোগ্য। যা গত ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত মেমোরেন্ডামের ( 2081- EDN (CS) /10M- 83/2019, Dated- 23.12.2019) দ্বারা ১লা জানুয়ারি, ২০২০ সাল থেকে কার্যকরী হয়।  কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রাজ্যব্যাপী ৪৬১ টি কলেজের ১২,৯৭৫ জন স্টেট এডেড কলেজ টিচার এক সুরে যে কথা আপনার কাছে নিবেদন করতে চান, তা তাঁদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত।

প্রথমেই বলতে হয় স্টেট এডেড কলেজ টিচার বিষয়ে উক্ত মেমোরেন্ডামে বেশকিছু অসংগতির কথা। যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকগণও স্বীকার করেছেন। এই অসংগতি দূরীকরণের জন্য আমরা সাংগঠনিক ভাবে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, ডিপিআই, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, মুখ্যসচিব, বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সহ সকল সদস্য  এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রায় সকল আধিকারিকের কাছে কয়েক দফায় লিখিতভাবে আবেদন জানাই। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তার কোনো সুরাহা হয়নি।

উপরন্তু গত ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে  নতুন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি (NEP-2020) চালু হয়েছে।  তিন বছরের UG Course- এর পরিবর্তে চার বছরের কোর্স। বহু কলেজে পোস্ট গ্রেজুয়েশন কোর্স ও রিসার্চ সেন্টার চালু করেছে। এর পরিণাম স্বরূপ কলেজ গুলির সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের (SACT) ওপর পাহাড় পরিমাণ দায়িত্ব ও কাজের চাপ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রের সেই চাপের সঙ্গেই নতুন শিক্ষাপদ্ধতির উপযোগী উচ্চমানের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার গড়তে রাজ্যানুমোদিত কলেজ শিক্ষকগণ (SACT) সর্বদাই সচেষ্ট — যা বহু ক্ষেত্রেই রীতিমতো ব্যয় সাপেক্ষ।

এমতাবস্থায় স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের পূর্বের মেমোরেন্ডামের দ্রুত পরিমার্জন যেমন অতি আবশ্যক, তেমনি শিক্ষকদের ওপর নতুন দায়িত্বভার অর্পণের কারণে নতুন কিছু ভাবনাও অত্যন্ত অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সঙ্গে রয়েছে আকাশচুম্বী বাজার মূল্য। তাই আজ এই খোলা চিঠিতে বর্তমান সময়, ক্রম প্রসারিত কর্মক্ষেত্রের চাপ ও তার প্রেক্ষিতে স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের প্রাপ্তি জনিত বৈষম্যকে সামনে রেখে আমরা প্রাণ খুলে কিছু কথা আপনার নিকট তুলে ধরতে চাই।

১) SACT -এর জন্য ছুটি সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা রয়েছে, তাতে কিছু অসংগতির কথা সরকারি আধিকারিকগণও স্বীকার করেছেন। যেমন Child Care Leave অধরা। নেই এক্সট্রা-অর্ডিনারি লিভ বা পিতৃত্বকালীন ছুটি। যা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামায় বর্তমানে ভারতবর্ষের সব স্টেটের সব ধরনের কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। এই রাজ্যেও তা কার্যকর। বঞ্চিত শুধু স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ।

২) স্টেট এডেড কলেজ টিচার সংক্রান্ত বর্তমান মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ অবসরকালীন পাঁচ লক্ষ টাকা (এককালীন) পাবেন। কিন্তু কোনো শিক্ষক যদি চাকুরিরত অবস্থায় মারা যান, তবে বর্তমান নিয়মানুযায়ী  তিনি অর্থাৎ তাঁর পরিবার চাকুরিজনিত সেই সুবিধা পাবেন না। এমনকি ৫৯ বছর বয়সে মারা গেলেও নয়। এই বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। একদিকে উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবায় নিয়োজিত হলেও স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের জন্য  নেই স্থায়ী সরকারী কর্মীদের মতো মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) বা এইচ আর এ কিংবা পিএফ/ ইপিএফের সুবিধা, অন্যদিকে নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে তাঁদের পরিবার যদি চাকুরিরত অবস্থায় মৃত্যুজনিত ন্যূনতম সুবিধা টুকু না পায়, তবে এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর নেই। এই দুই বিষয়েও আপনার সহানুভূতিশীল দৃষ্টি আকর্ষণ করছে আমাদের সংগঠন।

৩) রাজ্যের সকল শ্রেণির চুক্তিভিত্তিক কর্মীগণ পিএফ/ ইপিএফের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু স্টেট এডেড কলেজ টিচাররা এই সুবিধা পান না — যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।

৪) স্টেট এডেড কলেজ টিচারগণ যেন তার সমগ্র কর্মজীবনে অন্তত একবার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের সুযোগ পান, সে বিষয়ে অতিদ্রুত নির্দেশিকা প্রকাশের জন্য আবেদন জানাই।

৫) বর্তমানে আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যের বাজারে স্যাকটরা যা সাম্মানিক ভাতা পান, তাতে তাঁদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সময়ের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্য, যেমন পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড সহ (04-1-13512016 (101401, dated- 11.05.2023) পাঞ্জাব(DPIHE-COLGOMISC/161/2021-COLLEGE EDUCATION-DPI-HIGHER EDUCATION, dated- 15.09.2022), হরিয়ানা (KW4/36-2010 CI(5), dated 27.06.2019), কেরালা (1293/2018/HEdr, dated 04.07.2018), এমনকি লাদাখের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও(25 HE (UTL) of 2024, dated 09.08.2024) কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল এড হক/চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষকদের মাসিক সাম্মানিক ভাতা ন্যূনতম ৫৭,৭০০/- টাকা করেছে। সেখানে আমরা, স্টেট এডেড কলেজ টিচাররা মাসিক সাম্মানিক ভাতা পাই অর্ধেকেরও কম।

আমরা অনেকটাই প্রত্যাশা করেছিলাম ২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনে আমাদের এই হতাশাময় দিনগুলির অবসান ঘটবে। কিন্তু আমরা পুনরায় হতাশ হলাম। এই বাজেটে সরকারি কর্মচারী দের জন্য ৪% মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বর্তমানে কলেজ-শিক্ষা সহ অধিকাংশ দপ্তরে সরকারি কর্মীর তুলনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর সংখ্যা সমধিক। যেমন কলেজ-শিক্ষায় অধ্যাপক/সহকারী অধ্যাপকের তুলনায় স্টেট এডেড কলেজ টিচার বেশি। আমাদের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরাও সরকারি কর্মচারীর মতো একই বাজারে ব্যাগ হাতে বাজার করতে যেতে হয়। একই রকমের সামগ্রী আমাদেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সাম্মানিকে  আমাদের কি দুরবস্থা হয়, একবার ভেবে দেখবেন।

যাই হোক, প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, সম্মানীয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মহাশয় বেশ কয়েকবার আমাদের সমস্যা গুলি সমাধানের ও নতুন কিছু ভাবনার আশ্বাস প্রদান করেছেন। তাঁর আশ্বাস প্রদানকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে ১২৯৭৫ জনের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরকে কেবল আশ্বাস প্রদানে আর রোধ করা যাচ্ছে না। বলতে গেলে ২০১৯ সালের আগেও আমাদের জন্য কেউ কিছু ভাবেনি। একমাত্র আপনি আমাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছিলেন বলেই আমরা রাজ্য ব্যাপী এতগুলো পরিবার নতুন জীবন পেয়েছিলাম। এমতাবস্থায় আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, কেবল  আপনি ছাড়া আগেও আমাদের কথা কেউ ভাবেনি, আর এখনো ভাবছে না। তাই একমাত্র আপনিই পারেন এই স্থবিরতা থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের অপূর্ণ দাবি সমূহকে পূর্ণতা দিতে। আশা করি নতুন অর্থবর্ষের শুরুতে আপনার হাত ধরেই আমাদের দীর্ঘ হতাশাময় দিনগুলির পরিসমাপ্তি ঘটবেl

ধন্যবাদান্তে

  শ্রী গোপাল চন্দ্র ঘোষ,                                              রাজ্য সাধারণ সম্পাদক,                                       স্টেট এডেড কলেজ টিচারস’                                   ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।

বিঃদ্রঃ: এই বিষয়ে লেখা সম্পূর্ণরূপে সংগঠনের ব্যক্তিগত, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কোন ভাবে দায়ী নয় l

Categories
শিক্ষা

ডঃ বি.আর.আম্বেদকরের জয়ন্তী  উদযাপন উপলক্ষে একদিবশীয় জাতীয় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হলো

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :

ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অফ দলিত স্টাডিজ এন্ড রিসার্চ” সংগঠনের উদ্যোগে “ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের দৃষ্টিভঙ্গি পুনঃবিবেচনা” এই বিষয়ের ওপর এক দিবসীয় জাতীয় আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপিকা ডঃ দেবী চ্যাটার্জী , বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ অনিল বিশ্বাস  এবং নিউ দিল্লির মানভি ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এন্ড টেকনোলজি কলেজের প্রিন্সিপাল  ডঃ মুক্তা গোয়েল। এদিন অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর ডক্টর কীর্তিবাস দত্ত স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে জাতীয় আলোচকচক্রের সূচনা করেন।

ডঃ দেবী চট্টোপাধ্যায় ভারতের দলিত আন্দোলন এবং আম্বেদকর বিষয়ে আলোচনা করেন। ডঃ অনিল কুমার বিশ্বাস সমাজে মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গে আম্বেদকরের অবদান এর উপর আলোচনা করেন । এছাড়াও ডঃ মুক্ত গোয়েল ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের শিক্ষা -চিন্তা বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষকরা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন এবং আলোচকরা সেই বিষয়ে আলোকপাত করেন। অধ্যাপিকা শ্রীপর্ণা মন্ডল ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে এদিনের এক দিবসী জাতীয় আলোচনা চক্রের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করের কনভেনার অধ্যাপক প্রদীপাদিত্য সিং ও সহ-কনভেনার অধ্যাপক সুদীপ মন্ডল। এদিনের আলোচনায় ৪৬৫ অংশগ্রহণ করেন।

Categories
শিক্ষা

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীন কলেজ গুলিতে-শিক্ষার নানা অসঙ্গতি নিয়ে উপাচার্য -কে চিঠি স্যাকটোয়ার

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি :-

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার নানা অসঙ্গতি নিয়ে চিঠি দিল স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংগঠন স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
রাজ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু এই পঠনপাঠনে নানা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেছে স্যাকট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। রাজ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষানীতি চালু হলেও সেই অনুযায়ী এখনো পুরো চার বছরের সিলেবাস প্রণীত হয়নি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোথাও দুই সেমিস্টারের আবার কোথাও বা চার সেমিস্টারের। ফলে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক সকলেই অসুবিধায় পড়ছেন।

সম্পূর্ণ সিলেবাস প্রকাশ না হওয়ায় অসুবিধার সম্মুখীন লেখক ও প্রকাশকগণও। তাঁরা বই লেখা বা প্রকাশের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ছেন। এর ফল ভুগতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। স্টাডি মেটেরিয়াল এর একান্ত অভাব দেখা দিচ্ছে। একই সঙ্গে পাঠ্য বিষয়ে প্রশ্নের ধরন বা নম্বর বিভাজন নিয়েও ধন্দে আছে ছাত্রছাত্রীরা। নেই কোনো মডেল প্রশ্ন। পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও নানা সমস্যা। আগে প্রশ্ন রাখা হতো থানায়। পরীক্ষার সকালে প্রশ্ন কলেজে আসতো। কিন্তু এখন কয়েকদিন আগে সরাসরি প্রশ্ন আসে নোডাল সেন্টার কলেজে গুলিতে । ফলে এখানে প্রশ্ন ফাঁস হবার সম্ভাবনা প্রবল। সমস্যা রয়েছে খাতা মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও। বছর বছর একই ভেন্যুতে পরীক্ষা হচ্ছে, সেই কলেজের পরীক্ষকরাই মূল্যায়ন করছেন ও অনলাইনে নম্বর পাঠিয়ে দিচ্ছেন, স্ক্রুটিনি হচ্ছে না।

এই বিষয় গুলি অত্যন্ত সংবেদনশীল বলেই মনে করছেন শিক্ষক সংগঠন l স্যাকটোয়ার রাজ্য  সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, “এগুলির ওপর ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত নির্ভর করছে। আশা করি উপাচার্য মহোদয় দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যের মধ্যে দুই মেদিনীপুর জেলায় এডেড কলেজের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে সব কলেজেই স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের সংখ্যা অধিক। তাই উপাচার্যের কাছে সংগঠন থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে কলেজের টিচার্স কাউন্সিলে এই শ্রেণির শিক্ষকদের প্রতিনিধি থাকেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে টিচারস কাউন্সিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ কলেজ টিচারগণের থাকা বাঞ্ছনীয়”।

Categories
শিক্ষা

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানব অধিকার বিষয়ক এক দিবসীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো

বিশ্বনাথ দাস, মেদিনীপুর :-

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মানব অধিকার বিষয়ক এক দিবসীয় রাজ্য স্তরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী । উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী জেলা শাসক আই এ এস কেম্পা হননাইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী, কলা ও বানিজ্য অনুষদের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তপন কুমার দে এবং বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সত্যজিত সাহা।

বক্তারা সকলে মানুষের অধিকার রক্ষার নানা দিক তুলে ধরেন । পরিবেশের অধিকার নিয়ে কথা হয় । অধিকার ও কর্তব্যের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয় । মানব অধিকারের বিবর্তন ও দার্শনিক দিক আলোচনায় উঠে আসে।

দ্বিতীয় অধিবেশনে পাঁচ জন গবেষক গবেষণা পত্র পাঠ করেন। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সুজয় ঘোষ । সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. ইয়াসিন খান ।

Categories
শিক্ষা

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আলিয়া মডেল মিশনের উদ্যোগে রক্তদান শিবির ও শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো

জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর :

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের সিহল বেলপুকুর এলাকার আলিয়া মডেল মিশনের উদ্যোগে রক্তদান শিবির ও শিক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো। সাড়ম্বরে, সাংস্কৃতিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান ও শিক্ষা সেমিনারের মধ্যে দিয়ে শিক্ষক দিবস দিনটি পালন করা হলো। মূলত, মঙ্গলবার ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বেলা বারোটা থেকে রক্তদান শিবির ও শিক্ষা সেমিনারের সূচনা হয়। মোট ৩০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। এরপর প্রত্যেক রক্তদাতাদের হাতে একটি করে গাছের চারা, শংসাপত্র ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আল আমিন মিশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব এম নুরুল ইসলাম l, চেয়ারম্যান জনাব মাউদ্দিন আহমেদ , বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার, বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিলচন্দ্র বর্মন, ছাত্র-ছাত্রী সহ তাদের অভিভাবকরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের সিহল গ্রাম থেকে আরো প্রত্যন্ত গ্রাম বেলপুকুরে ছাত্র সমাজকে শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত ও প্রসারিত করায় আলিয়া মডেল মিশনের উদ্দেশ্য বলে জানান সম্পাদক আবেদুর রহমান।

আলিয়া মডেল মিশনের এই মহান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষরা। এইদিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বেলপুকুর আলেয়া মডেল মিশনে রক্তদান শিবির ও শিক্ষা সেমিনারে উপস্থিত অভিভাবকদের হাতে বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা মাথায় রেখে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।

Categories
শিক্ষা

রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহাবিদ্যালয়ে(স্বশাসিত ) দলিত; সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক একদিবসীয় আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো

বিশ্বনাথ দাস, মেদিনীপুর :

রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহাবিদ্যালয়ের (স্বশাসিত) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং মানব অধিকার শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে ও নাব্যস্রোত পত্রিকা গোষ্ঠীর সহযোগিতায় একদিবসীয় আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল কলেজের রবীন্দ্রনীড় সভাগৃহে । উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো ।

সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ ড. জয়শ্রী লাহা। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী, কলা ও বানিজ্য অনুষদের অধ্যক্ষ ড. তপন কুমার দে, অধ্যাপক সুধীন্দ্রনাথ বাগ। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. অঞ্জনা মাহাত, সিধু কানু বীরষা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবিন্দ নস্কর, বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মহম্মদ আব্দুস সালাম, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম প্রমুখ ।

বিদ্যায়তনিক চর্চায় দলিত সমাজের যন্ত্রনা এবং তা থেকে মুক্তি লাভের নানা কৌশল সম্পর্কে বক্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন। নাব্যস্রোত পত্রিকা গোষ্ঠীর সম্পাদক ড. ইয়াসিন খান বলেন যে, “আজকের যুগে দলিত পরিচয়ের রাজনীতি নানা জটিলতা অনুসারী। প্রয়োজন দলিতদের মুক্তির জন্য যথার্থ মূল্যবোধ ও সামাজিক নিরাপত্তার জাগরণ” ।

ড. রেজা আহমেদ এর পরিচালনায় সমগ্র অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় । ২৫ জন বিশিষ্ট  অধ্যাপক ও গবেষক এবং ১৫০ জন ছাত্রীর উপস্থিতিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী মহাশয়ের হাতে দলিত ও পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর উন্নয়নে অবদানের জন্য দলিত বন্ধু সন্মান  ২০২৩ স্মারক তুলে দেওয়া ।

 

Categories
শিক্ষা

খড়্গপুর আইআইটিতে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ

বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন,খড়্গপুর,২৯ শে জুলাই 

রাজ্যের নামী প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), খড়্গপুরে বিভিন্ন গবেষণা সংক্রান্ত কাজে মাঝেমধ্যেই পড়ুয়াদের নিয়োগ করা হয়। তেমনই একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ রয়েছে। শুক্রবারই সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তরফে। তিনটি ভিন্ন পদে নিয়োগ করা হবে প্রার্থীদের। অনলাইনেই এর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন আগ্রহীরা।

প্রতিষ্ঠানের এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য নিয়োগ হবে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে। মোট শূন্যপদ রয়েছে পাঁচটি। সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের বয়স হতে হবে যথাক্রমে ৩২, ৩৫ এবং ২৫ বছর। সংরক্ষিতদের জন্য ছাড় থাকবে। সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে নিযুক্তদের মাসিক পারিশ্রমিকের পরিমাণ হবে যথাক্রমে ৩৫,০০০ টাকা, ৫৪,০০০ টাকা এবং ২৫,০০০ টাকা। মাসিক পারিশ্রমিক ধার্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতাকে।

গবেষণা প্রকল্পটির নাম, ‘সেলফ লাইফ স্টাডি অফ ফর্টিফায়েড রাইস/ ফর্টিফায়েড রাইস কার্নেলস (এসএলএস)’। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)।

প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি/ বায়ো সায়েন্স/ মাইক্রোবায়োলজি/ বায়োকেমিস্ট্রি অথবা সম্পর্কিত বিষয়ে স্নাতক হতে হবে। এ ছাড়াও খাদ্যগুণ পরীক্ষার সমস্ত নিয়মবিধি সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। একই ভাবে অন্য পদগুলির জন্যেও ধার্য করা হয়েছে যোগ্যতার আলাদা মাপকাঠি।

আগ্রহীরা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে সমস্ত নথি-সহ পদগুলিতে আবেদন জানাতে পারবেন। প্রজেক্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে আবেদনের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হলেও অন্য পদগুলির জন্য কোনও আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে না। আবেদনের শেষ দিন আগামী ১৮ অগস্ট। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দেখতে হবে।

Categories
শিক্ষা

AI, ঝুমুর সহ একাধিক বিষয়ে কোর্স শুরু হচ্ছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে

বিশ্বনাথ দাস, মেদিনীপুর :

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হতে চলেছে ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স। ঝুমুর, জনস্বাস্থ্য, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ একাধিক বিষয় থাকছে সেই কোর্সে। সরকারি সংস্থা/ ব্যাঙ্ক/ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা/ মিডিয়ায় কর্মরত, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কন্টিনিউয়িং অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশনের তরফে মোট ন’টি বিষয়ে ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স শুরু হবে।

কোর্সগুলি যথাক্রমে ইংলিশ ফর অল, ঝুমুর, অ্যাজাইল সফটঅয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এপিডেমোলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ, সাঁওতালি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফর অল: চ্যাট জিপিটি, কম্পিউটার মেন্টেনেন্স অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড প্রোগ্রামিং, কম্পোজিট বায়োফার্টিলাইজার ফর সাস্টেনেবল এগ্রিকালচার। বিভিন্ন কোর্সের মেয়াদ কোর্স অনুযায়ী ছয় দিন থেকে শুরু করে তিন মাস বা ছয় মাস অথবা এক বছর পর্যন্ত।

কোর্স অনুযায়ী আসনসংখ্যা ২৫টি বা ৪০টি বা ৫০টি বা ১০০টি। ক্লাস হবে সপ্তাহে ২ দিন থেকে ৩ দিন। উৎসাহীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে তা পূরণ করে প্রয়োজনীয় নথি সহ নির্দিষ্ট ঠিকানায় বা মেল আইডিতে জমা দিতে হবে। আবেদনের খরচ ২০০টাকা। আবেদনের শেষ দিন ৩১ জুলাই। কোর্সগুলিতে প্রথমে আবেদনের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে।

Categories
শিক্ষা

রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের শোহার্দ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :-

রাজ্য জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (wbjee) চতুর্থ স্থান অধিকার করল মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা তথা ঐতিহ্যমন্ডিত মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র সৌহার্দ্য দণ্ডপাঠ। উচ্চমাধ্যমিকে মাত্র তিন নাম্বারের জন্য মেধা তালিকাতে জায়গা করেনিতে পারিনি সে। উচ্চমাধ্যমিকে শোভার্দর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৪, বিদ্যালয়ে দ্বিতীয়( সর্বোচ্চ নাম্বার ৪৮৫)।

মেদিনীপুর শহরের ধর্মা সংলগ্ন বিবেকানন্দ নগরের বাসিন্দা, পেশায় প্রাক্তন সেনা অফিসার প্রণব দণ্ডপাট। তার স্ত্রী শ্রাবণী দণ্ডপাট একজন গৃহবধূ। তাদের একমাত্র ছেলে সৌহার্দ্য শৈশব থেকেই মেধাবী। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলেরই ছাত্র সৌহার্দ বরাবরই বিদ্যালয়ে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এসেছে। ২০২১ সালের মাধ্যমিকে ৬৭২ নাম্বার পেয়েছিল সে। এবার উচ্চমাধ্যমিকেও ভালো ফলাফল করেছে সোহার্দ্য।

তবে সারা রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে অবিভক্ত মেদিনীপুরবাসিকে গর্বিত করলো সৌহার্দ্য । যদিও সৌহার্দ্য আই আই টির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ইচ্ছে কম্পিউটার সাইন্স এডভান্স নিয়ে আইটি থেকে পড়াশোনা করার। আগামী চৌঠা জুন সেই পরীক্ষা আছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা মা। আপাতত সেই দিকেই মনোনিবেশ করেছে মেদিনীপুর শহরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সৌহার্দ্য।

Categories
শিক্ষা

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ! নবম দাসপুরের তুহিন রঞ্জন অধিকারী

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেক্স :-

বুধবার প্রকাশিত হল এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে ফলাফল ঘোষণা করেন। এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কোভিড অতিমারির কারণে মাধ্যমিক দিতে পারেনি। সেই হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিক ছিল তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। পাশের হারে সেরা পূর্ব মেদিনীপুর। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের তুহিন রঞ্জন অধিকারী মেধাতালিকায় নবম।

এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকের পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৯১ জন এবং পাশ করেছেন ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮০৭ জন। ছাত্রদের পাশের হার ৯১.৮৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের ৮৭.২৬ শতাংশ। পাশের হারে সেরা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার পাশের হার ৯৫.৭৫ %। মেধাতালিকায় সেরা হুগলি জেলা। মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন ৮৭ জন। হুগলির ১৮ জন পরীক্ষার্থী মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৯৬ নম্বর তথা ৯৯.২% নম্বর পেয়ে প্রথম নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের শুভ্রাংশু সর্দার। ৪৯৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় বাঁকুড়ার বঙ্গ বিদ্যালয়ের সুষমা পাল এবং উত্তর দিনাজপুরের আবু সানা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তমলুকের চন্দ্রবিন্দু মাইতি, বালুরঘাটের অনুসূয়া সাহা, আলিপুরদুয়ারের পিয়ালি দাস। তাদের প্রাপ্ত ৪৯৪। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর বিবেকানন্দ হাইস্কুলের তুহিন রঞ্জন অধিকারী ৪৮৮ নম্বর পেয়ে নবম হয়েছে।