Categories
খাদ্য ও রেসিপি

মুখরোচক কড়াইশুঁটির কচুরি! সকাল সকাল আসতে হবে দাঁতনে

নিজস্ব প্রতিনিধি, দাঁতন :-

খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে নতুন নতুন খাবার মন ভুলিয়ে দেয়। তাও যদি হয় সকালের মুখরোচক নাস্তা। তবে তো আর কথা নেই। সকালের নাস্তায় যদি থাকে গরম কড়াইশুঁটির কচুরি। তবে তো জিভে জল। প্রতিদিন সকাল থেকেই এমন জিভে জল আনা খাদ্য উপাদান মানুষের জন্য হাজির করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন- এর একটি মিষ্টি দোকান। যেখানে সকাল থেকেই লেগে যায় ভিড়। খাদ্যরসিক বাঙালির কাছে এমন লোভনীয় কচুরির জুড়ি নেই।

দাঁতন ১ ব্লকের সরাইবাজার এলাকায় জগন্নাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার। এখানেই হয় এমন কচুরি। পার্শ্ববর্তী নারায়ণগড়, বেলদা, কেশিয়াড়ির কোথাও এমন কচুরি পাওয়া যায় না। চাহিদা বেশ। ফলে ভিড় ভালোই জমে। প্রতিদিনই প্রায় তিনশোর বেশি কড়াইশুঁটির কচুরি বিক্রি হয়।

খেতে যেমন ভালো তেমনি দামও খুব কম। মাত্র পাঁচ টাকায় পাওয়া যায় এমন কচুরি। তাই সকাল হলেই কচুরির চাহিদা বাড়ে। এলাকার মানুষ কচুরি খেয়ে বেশ তৃপ্তি হন। দোকানির বক্তব্য, ভালো পরিষেবা দেওয়াই তার লক্ষ্য।

 

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

বঙ্গ ছাড়িয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ে সুদূর আমেরিকাতেও বিশেষ খ্যাতি নয়াবাজারের দইয়ের

জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ-

বঙ্গবাসীর মন জয় তো আগেই হয়েছে, সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে দই প্রত্যেক বছর পাড়ি দেয় সুদূর প্রবাসেও। কথা হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার  বিখ্যাত নয়াবাজারের দই এর। যার খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে শহর ছেড়ে গ্রাম, জেলা, রাজ্যে ছাড়িয়ে ভারতবর্ষ সহ বিভিন্ন দেশে।

যেমন অতুলনীয় গন্ধ তেমনিই স্বাদ সেকারণেই বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে নয়াবাজারের দই কিনতে। কথায় বলে বাঙালির শেষ পাতে একটু দই না হলে ঠিক জমে না। নয়াবাজারের দইয়ের মধ্যে ক্ষীর দই, টকদই, সাদাদই, চিনিপাতা দই এবং মিষ্টি দই প্রভৃতি জনপ্রিয়। পুরনো রীতি মেনেই দুধ সংগ্রহের পর মাটির সরা বা পাত্রে দই প্রস্তুত করেন বিক্রেতারা।

জন্মদিন বিয়ে থেকে শুরু করে নানান অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নে নয়াবাজারের দই এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে বহু প্রজন্ম ধরে। নয়াবাজারের দই বিক্রেতা বিপ্লব ঘোষ বলেন “উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা, পার্শ্ববর্তী রাজ্য এমনকি আমেরিকাতেও আমাদের দই পাড়ি দেয় প্রত্যেক বছর । তার কথায় গত দুইবছর লকডাউনে ব্যবসা কিছুটা খারাপ হলেও লকডাউন শিথিল হতেই পুনরায় ব্যাবসা ভালো হচ্ছে।

দই কিনতে আসা এক ক্রেতা মানিক সরকার বলেন, নয়াবাজারের দই রাজ্যজুড়ে নামডাক রয়েছে, সাধ্যের মধ্যে এত সস্তায় এইরকম ভাল দই পশ্চিমবঙ্গে কোথাও পাওয়া যাবেনা।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

দুধের চেয়ে বিয়ার বেশি স্বাস্থ্যকর জানাচ্ছে পেটা

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেক্স :-

মদ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতদিন অবধি এমনটাই মানা হত। হয়তো এজন্যই আমাদের ছোটো থেকে দুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত করা হত। তবে এবার সম্পূর্ণ উল্টো তথ্যই দিল পেটা (People for the Ethical Treatment of Animals)।

পেটা জানাচ্ছে, দুধ নয়, বরং বিয়ার খাওয়ার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য দুধের জুরি মেলা ভার। দুধের এই উপকারিতা দেখেই অধিকাংশ পরিবারে এক বা দু’ গ্লাস করে দুধ খাওয়ার চল আছে।

কিন্তু সম্প্রতি পেটা তাদের এক সমীক্ষায় জানাচ্ছে, দুধের থেকে বিয়ার খাওয়া ভালো। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিয়ার কেবল হাড়কেই শক্ত করে না বরং এটি খেলে মানুষের আয়ুও বাড়ে। এমনকি পেটা মানুষকে দুধ না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। শুধু এই নয়, পেটা দুধ খাওয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষতিকারক দিক নিয়েও আলোচনা করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, দুধ স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিরও কারণও বটে।

হাবার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, পেটা এমনটা দাবি করেছে। পেটার এই দাবিতে নিরামিষ ভোজি মানুষরাও সমানভাবে উপকৃত হবেন কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই বাইরের মহলে এক বিতর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

বিয়ারকে একটি কোলেস্টেরল ব্রেভারেজ বলে মানা হয়। এটি বানাতে যেসব উপকরণগুলি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অনেক পুষ্টিজনিত দ্রব্যাদি রয়েছে। বিয়ার বানাতে গম, ভুট্টা, যব এবং চালের ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, বিয়ারে ৯০ শতাংশ পানি ছাড়াও ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রনসহ শরীরে পুষ্টি যোগায় এমন অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে।

বিয়ার মানুষের হাড়কেও মজবুত করে। শরীরের মাংসপেশিগুলির বিকাশের জন্যও বিয়ারকে যথেষ্ট উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। যেখানে দুধ খেলে বিভিন্নরকমের হার্টের রোগ, স্থূলতা, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

পেটায় আরো বলা হয়েছে, বিয়ার দুধের থেকে অধিক উপকারী হলেও এটি একটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিয়ার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

অবশেষে GI তকমা পেতে চলছে প্রসিদ্ধ বাবরসা! সেই তকমা পেতে সংস্থাকে আবেদন করলো পৌরসভা

নিজস্ব প্রতিনিধি,ক্ষীরপাই : 

অবশেষে GI তকমা পেতে চলছে প্রসিদ্ধ বাবরসা! সেই তকমা পেতে সংস্থাকে আবেদন করলো পৌরসভা।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাইয়ের প্রসিদ্ধ বাবরসা ইতিহাস চর্চিত এক অনন্য স্বাদের মিষ্টান্ন। বাবরসার নাম নিয়ে যেটি পরম্পরায় চলে আসছে। কথিত আছে ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে পাঁচের দশকে বর্গীরা বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করত লুটপাট করে মানুষকে সর্বশান্ত করে চলে যেত।

প্রায় ১৭৪৮ থেকে ১৭৫৩ সালের কোন এক সময়ে বর্ধমান থেকে বর্গীরা আক্রমণ করতে করতে ক্ষীরপাইয়ের  দিকে আসছিল। ক্ষীরপাইয়ের মানুষরা ভয় পেয়ে তৎকালীন ক্ষীরপাই এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইংরেজ অফিসার এডওয়ার্ডস বাবরস্ কে অনুরোধ করেন বর্গী আক্রমণ থেকে ক্ষীরপাইকে রক্ষা করার। এডওর্য়াস্ বাবরস্ ক্ষীরপাইয়ের শহরে অনতিদুরে শ্যামদেবের কাছে বর্গীদের আটকে দেন। পরান আটা নামে জনৈক্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী ময়দা দুধ ঘি মধু দিয়ে নতুন এক মিষ্টি তৈরি করে এডওয়ারস বাবরস্ কে  উপহার দেন। তারপর থেকেই এডওর্য়াস বাবরস্ এর নাম অনুসারে বাবরসা নামটি এসেছে। ভিন্নমতে এলাকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মোঘল সম্রাট বাবরকে খুশি করতে বাবরের সেনাপতির হাতে গাওয়া ঘি ও ময়দা দুধ মধুর সংমিশ্রণ এক নতুন ধরনের মিষ্টি তৈরি করেছিলেন বাবরকে উপহার হিসাবে পাঠান। খোদ বাবর এই মিষ্টি খেয়ে প্রশংসা করেন তার নাম অনুসারে বাবরসা নামটি এসেছে।

বাবরসা মিষ্টি টি খেতে খুবই সুস্বাদু। সারা ভূ ভারতে বাবরসা  মিষ্টির কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে বাবরসা ক্ষীরপাই ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য পাড়ি দিচ্ছে। ক্ষীরপাই পৌর এলাকার মিস্টান্ন ব্যবসায়ীরা বহু কষ্টে পরম্পরায় এই মিষ্টিকে আজও টিকিয়ে রেখেছে। তারা দীর্ঘদিন দাবি করছিলেন বাবরসা মিষ্টান্নকে জি আই তকমার অন্তর্ভুক্ত করা হোক। দাবি উঠেছিল আপামর ক্ষীরপাই এর অধিবাসীদের পক্ষ থেকেও। ক্ষীরপাইবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ক্ষীরপাই পৌরসভা সরকারিভাবে বাবরসার জি আই তকমার জন্য  ইতিমধ্যে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা যায়। দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ল সায়েন্স প্রতিনিধির হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তুলে দেওয়া হয় ক্ষীরপাই পৌরসভার পক্ষ থেকে।

পৌরপ্রধান দুর্গাশঙ্কর পান বলেন “আমরা আশা করছি শীঘ্রই বাবরসার জি আই তকমা পেয়ে যাব”। ক্ষীরপাই পৌর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সভাপতি বীরেশ্বর পাহাড়ি বলেন “বাবরসা জি আই তকমা পেলে বিশ্ব বাজারে তার খ্যাতি বাড়বে”।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  পিঠে মেলা! প্রায় ১০০ ফ্লেভারের পিঠে দেখা গেল এই মেলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও মেদিনীপুর পৌরসভার সহযোগীতায় শহরের জেলা পরিষদ হল প্রাঙ্গনে আয়োজিত হল পিঠে পুলি উৎসব। এদিন এই পিঠে পুলি উৎসবের উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানী এ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান, মহকুমাশাসক সহ পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলারগন। মূলত এই মেলায় গ্রাম বাংলার প্রায় শতাধিক পিঠে দেখা গেল।

এই পিঠের পসরা নিয়ে সাজিয়ে বসে ছিলেন শহরের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। জেলা ও শহরের ৩০ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এখানে পিঠে নিয়ে স্টল দেন। ভাজা পিঠে,পাটিসাপটা,শাল পাতার পিঠে, মুগশাউলি,মাছ পিঠে,সাবুর পায়েস,সুজি পিঠে,গোলাপ পিঠে,ধনিয়া পিঠে, ঝাল পিঠে সহ শতাধিক ফ্লেভারের পিঠে নিয়ে হাজির এই জঙ্গলমহল অধ্যুষিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। আর সেই পিঠের স্বাদ নিতে হাজির পিঠে প্রেমীরা। মূলত দুদিন ব্যাপী এই পিঠের মেলার দ্বিতীয় দিনে ভিড় পড়লো উপচে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই প্রথম এই পিঠে মেলার আয়োজন যদিও এই পিঠে মেলা পরম্পরা ধরে প্রতিবছর চালিয়ে যাওয়ারই আশ্বাস প্রশাসনের। তবে গ্রাম বাংলার এই হারিয়ে যাওয়া পিঠে এইদিন হাতে পেয়ে খুশি পিঠে প্রেমীরা। দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

এদিন স্টল দেওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলেন বাড়িতে থেকে উপার্জনের রাস্তা ছিল না কিন্তু এই সরকারি উদ্যোগে স্টল দিতে পেরে আমরা খুশি। তা ছাড়া জঙ্গলমহলের হারিয়ে যাওয়া এই পিঠে এই উৎসবের মাধ্যমে খুঁজে পায় মেদিনীপুরের মানুষ। এই পিঠে উৎসবের স্বাদ নিতে আসা পিঠা প্রেমিরা জানালো সত্যিই এই অনবদ্য পিঠে উৎসবে। কিছু হারিয়ে যাওয়া পিঠের স্বাদ আমরা খুঁজে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে স্টলে এসে।

এ বিষয়ে মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক আয়েশা রানী এ বলেন “মূলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই পিঠে মেলার আয়োজন। যেখানে এই শহরের প্রায় ৩০ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই পিঠে মেলাতে অংশ নিয়েছে। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই পিঠের পসরা নিয়ে তারা বসে শুধু স্বাদ তুলে দিচ্ছে তা নয় সে সঙ্গে তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এই পিঠে মেলাতে নতুনত্ব আইটেম নিয়ে হাজির হয়েছেন তারা রয়েছে মাংসের পিঠে এবং হারিয়ে যাওয়া তালের পিঠে”।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

প্রায় ন রকমের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একদম দোকানের মত সুস্বাদু মোচার চপ খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিন

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই এই এতগুলি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মোচা অত্যন্ত উপদেয় এবং পুষ্টিকর একটি খাদ্য। এমনিতেই কলা গাছের প্রত্যেকটি অংশই কোনো না কোনো ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং প্রত্যেকটি অংশই বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হয়। সেটা ফল হোক বা ফুল, থোর হোক বা মোচা অথবা কলা পাতা কোনো কিছুই কলা গাছের ফেলে দেওয়ার নয়। তাই বাড়িতে কলা গাছ লাগানো ভীষণ প্রয়োজন।

উপকরণ :- মোচা, বেসন, নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, খাবার সোডা, জল, সাদা তেল, সর্ষের তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরে গুঁড়ো, চিনেবাদাম ভাজা, আলু সেদ্ধ, শুকনো বেসন।

মোচা কাটার পদ্ধতি :- প্রথমে মোচাটা ভালো করে ছাড়িয়ে প্রত্যেকটা ফুলের থেকে শক্ত ডাঁটি এবং পালকের মতো অংশটি আলাদা করে ফেলে দিন। এরপর ফুলগুলি হলুদ জলে ডুবিয়ে রেখে দিন। কুকারে গোটা গোটা ফুল জল, নুন, হলুদ আর তেল দিয়ে ১০ থেকে ১২টি সিটি দিয়ে নিন। কুকার খুললে চুবড়িতে ছেঁকে নিন। তারপর হাত দিয়ে মেখে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে মোচা বসে বসে ছোট্ট ছোট্ট করে অনেকক্ষণ ধরে কাটার ঝামেলা থাকবে না। খুব সহজেই মোচা সেদ্ধ হয়ে মাখা হয়ে যাবে।

পুর তৈরির পদ্ধতি :- কড়াতে সরষের তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। বাদামি বর্ণের হয়ে এলে এতে রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন লাল করে ভাজা হয়ে গেলে আদা বাটা দিয়ে দিন। কুচিয়ে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। আদা, পেঁয়াজ, রসুন, লঙ্কা ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে সেদ্ধ করে রাখা মোচাটা দিয়ে দিন।এরপর হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, চিনা বাদাম ভাজা দিয়ে দিন। আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা আলু হাত দিয়ে ভেঙে ভেঙে দিয়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে। পুর তৈরি হয়ে গেছে। সবশেষে গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে নিন।

বেসনের ব্যাটার তৈরীর পদ্ধতি :- একটি বাটিতে পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে তাতে নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, খাবার সোডা দিতে হবে। শুকনো উপকরণগুলি আগে হাতে করে মিশিয়ে নিতে হবে। অল্প অল্প জল দিয়ে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। প্রথমেই খুব বেশি জল দিলে পাতলা হয়ে যাবে। সেই দিকে নজর রাখতে হবে। খুব বেশি ঘন অথবা খুব বেশি পাতলা ব্যাটার করা যাবে না। ভালো করে ফাটিয়ে নিন।

চপ ভাজার পদ্ধতি :- পুর থেকে চপের আকারে চ্যাপ্টা করে অল্প করে নিতে হবে। এরপর হাতে শুকনো ব্যাসন নিয়ে ওই চপ আকৃতির পুরগুলি শুকনো বেসন মাখিয়ে নিতে হবে। এইভাবে সবকটা চপ তৈরি করে নিতে হবে। কড়াতে বেশি পরিমাণে সাদা তেল দিয়ে গরম করতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে চপগুলিকে বেসনের ব্যাটারের মধ্যে ডুবিয়ে চপের নীচ থেকে হাত দিয়ে উপর দিকে টেনে আনতে হবে। যাতে বেসনটা খুব ভালোভাবে চপের গায়ে লেগে থাকে। ছাঁকা তেলে ব্যাটার মাখানো চপ দিয়ে এপিঠ ওপিঠ লাল লাল করে ভাজতে হবে।

এভাবেই একদম দোকানের মত গরম গরম মোচার চপ রেডি হয়ে যাবে।।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে জঙ্গল মহল গুড়ের স্পেশাল ফ্লেভার! 20 ধরনের আইটেম মিষ্টি আনল মিষ্টি ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

বাঙালি আর বাংলা বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্যতম পার্বণ হল পৌষ সংক্রান্তি। আর এই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে গুড়পিঠে, সিদ্ধ পিঠে সহ এক প্রকার পিঠের উৎসব চলে জঙ্গলমহল জুড়ে। আর এই পিঠের সম্ভারে বাদ যায়নি একাংশ জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুর। তাই শহর ছেড়ে একটু গ্রামের দিকে ঢুকলেই চলে তিন দিন ধরে এই পিঠে উৎসব। প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে এই পিঠে তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কচিকাঁচা থেকে বড়রা।

এবার সেই গুড়ের পিঠের স্বাদ দিতে গুড়ের ভ্যারাইটিস মিষ্টি নিয়ে হাজির হলো মেদিনীপুরের মিষ্টি মহল নামে এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী। নলেন গুড় ও খেজুর গুড় মিলিয়ে এই মিষ্টির সম্ভার রেধেছে এই প্রসিদ্ধ মিষ্টি দোকান। আর তাতে এই গুড়েরই তৈরি বিশেষ মিষ্টি যেমন গুড় জলভরা,গুড় তালসাস,আবার খাবো,গুড় ঘটি,চিরুনি সন্দেশ,গুড় বাটি,মালাই চমচম,শঙ্খ,রসমালাই সহ প্রায় ২০ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি নজর কাড়ছে তার শোকেসে। এই গুড়ের মিষ্টি কিনতে ইতিমধ্যে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।শুধু মেদিনীপুর না মেদিনীপুর বাদেও বিভিন্ন ব্লক থেকেও মানুষ আসছে এই মিষ্টি কিনতে।দাম রয়েছে ৭ থেকে ৩০ টাকার ভেতরে।আর সেই মিষ্টি এখন নজর কাড়ছে জেলায়। যদিও এই পিঠের জগতে পৌস সংক্রান্তিতে এই মিষ্টি কতটা স্বাদ দিতে পারবে এই মানুষদের সেটাই এখন দেখার।


এই বিষয়ে দোকানের ম্যানেজার অনিতা প্রামানিক বলে মূলত এই পৌষ পার্বণ উপলক্ষে গোটা রাজ্যের সঙ্গে জঙ্গলমহলের মানুষ বিশেষ পিঠে পুলি খেতে ভালোবাসে। আর এই গুড় দিয়েই তারা পিঠে তৈরি করে। কয়েক দিন ধরেই চলে এ পিঠে উৎসব। তো সেই গুড়ের স্বাদ কে শহর ও গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিলি করতে আমাদের এই মিষ্টির সম্ভার নিয়ে হাজির হওয়া। তাতেই নজর কাড়ছে মানুষদের।বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই মিষ্টি কিনতে।আমরা সাধ্যমত গুড়ের মিষ্টি স্বাদ দিয়েছি জেলার মানুষকে।

 

 

 

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি বাঙালির কাছে খুবই জনপ্রিয়, আসুন জেনে নিই এর উপকারিতা

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ফুলকপি বাঙালীদের মধ্যে শীতের সবজি হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এটি অন্যতম প্রধান সবজি। মোগল আমলে ভারতে ফুলকপির চাষ প্রথম শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্রই ফুলকপির চাষ হয়। ফুলকপি উৎকৃষ্ট এবং সুস্বাদু, সকলের কাছে প্রিয়।

পুষ্টিগুণের দিক থেকে প্রতি ১০০ গ্রাম ভোজ্য অংশে ৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৩ গ্রাম প্রোটিন, ১.৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন এবং ৫০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে ফুলকপিতে।

ফুলকপির নাম শুনলেই নানান রান্নার কথা মাথায় আসে। ফুলকপির দম, ফুলকপির রোস্ট, মরিচ ফুলকপি, ফুলকপির পাকোড়া জিভে জল এনে দেয়। তাই আপনি এটি সারা শীতকাল জুড়ে খেতে পারেন।

১. ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

২. বেশি পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩. ফুলকপি ক্যালসিয়ামের কারণে হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে।

৪. ফুলকপিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক। যা শরীরের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।

৫. গর্ভবতী মহিলারা ফুলকপি খেতে পারেন। ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘বি’ সমৃদ্ধ হওয়ায় ফুলকপি ভ্রূণ গঠনে সাহায্য করে।

৬. ওজন কমাতে চাইলেও ফুলকপি খেতে পারেন। ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে।

৭. ফুলকপিতে ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এটি ত্বকের বলিরেখা রোধ করতে সাহায্য করে।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

শীত মানেই নলেন গুড় আর পিঠের মেলবন্ধন; কিন্তু খাঁটি নলেন গুড় চিনবেন কিভাবে?

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর শীত পড়ার সাথে সাথেই যেন খাদ্য রসিক বাঙালির মনটাও শীতের সবজি, ফল, পিঠেপুলি-এর পাশাপাশি নলেন গুড়কেও খুঁজতে শুরু করে।

সেইভাবে জাঁকিয়ে শীত এখনও দক্ষিণবঙ্গে পরেনি ঠিকই, তবে আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পারদ কিন্তু আরো নামবে এবং মোটামুটি ডিসেম্বর মাসের প্রায় মাঝামাঝি সময় থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু বাঙালি যে নলেন গুড়ের রসনায় বুঁদ হয়ে থাকে সেই নলেন গুড় জাঁকিয়ে শীত না পড়লে পাওয়া যাবে না। তার কারণ নলেন গুড় তৈরি হয় খেজুরের রস থেকে, আর জাঁকিয়ে শীত না পড়লে সেই ভালো মানের খেজুরের রস পাওয়া যাবে না।

সুতরাং বাজারে চাহিদা থাকলেও ব্যবসায়ীরা খাঁটি নলেন গুড় দিতে অক্ষম হচ্ছে। ফলে ক্রেতার কপালে জুটছে হাইড্রোজ, ফটকিরি, ক্যালসিয়াম-বাই-কার্বনেট, নলেন গুড়ের সুবাসিত গন্ধসমৃদ্ধ প্রোপিলিং গ্লাইকল নামক রাসায়নিক মেশানো ভেজাল গুড়।

এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনের গুড় ব্যবসায়ী শিউলি রহমান আলী বলছেন, “আসলে ভেজাল এবং খাঁটি গুড় চেনা খুবই সহজ। এই ভেজাল গুড়ের থেকে বাঁচতে খেজুর গুড় কেনার সময় দোকান থেকে অল্প একটু গুড় নিয়ে স্বাদ গ্রহণ করে দেখুন নোনতা লাগছে কিনা। যদি নোনতা স্বাদ মনে হয় তাহলে কিন্তু ওই গুড় কিনবেন না। জানবেন ওই গুড়ে ফটকিরি আছে।

নলেন গুড়ের পাটালি খুব নরম হয়। হালকা একটু চাপ দিলেই তা ভেঙ্গে যায়। যদি পাটালি কিনে হালকা চাপ দিয়ে দেখেন ভেঙ্গে যাচ্ছে তাহলে জানবেন আপনি খাঁটি গুড় পেয়েছেন। আর যদি দেখেন খুব শক্ত কিছুতেই ভাঙতে চাইছে না সহজে। জানবেন আপনি ভেজাল গুড় পেয়েছেন।

গুড়ের দানা যদি স্ফটিকের মত স্বচ্ছ হয় বুঝবেন চিনি মেশানো আছে। আসল গুড়ের রং হয় গাঢ় বাদামি। যদি গুড়ের রং গাঢ় লাল হয় তাহলে জানবেন ওতে রাসায়নিক মেশানো আছে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

এমনকি ভীষণ সুবাসে আমোদিত হয়েও অনেকে গুড় কিনে নেন। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ আজকাল গুড়ে সুবাস বৃদ্ধির জন্য রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর”।

খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে জানিয়েছেন, “প্রতিবছরই নিয়ম করে স্পেশাল ড্রাইভ চালানো হয়। গত বছরের গুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে কতটা পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়েছে অথবা আদৌ কোনো রাসায়নিক মেশানো হয় কিনা”। উল্লেখ্য, নদীয়া জেলার সাহেবগঞ্জ, করিমপুর, শিকারপুর, মাজদিয়া প্রভৃতি এলাকায় খুব ভালো মানের গুড় পাওয়া যায়। যা নদীয়া জেলার একাধিক বাজারে রপ্তানি করা হয়। নভেম্বর মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে ভালো মানের গুড় পাওয়া যায়।

Categories
খাদ্য ও রেসিপি

এই বিস্কুট কামড়ালে আওয়াজ হয় না ধুঁয়া বের হয়! স্মোক বিস্কুটে মজেছে মেদিনীপুর

  নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : –

ছোটবেলা থেকেই বিস্কুট নাম শুনলেই মনের মধ্যে যে জেগে ওঠে কড়মড়িয়ে খাওয়া বিস্কুটের স্বাদ। সে মেরি বিস্কুট হোক বা কারখানায় লেড়ুয়া বিস্কুট অথবা মচমচে বার্বন কোথাও বা নোনতা সল্টেড বিস্কুট। তবে বিস্কুট কড়মড়িয়ে খাওয়ার আনন্দ তা কোথাও পাওয়া যায় না। তাই চিরাচরিতভাবে বিস্কুট কড়মড়িয়ে খাওয়া হয়। অথচ এবার এলো এক নতুন ধরনের বিস্কুট তাও আবার নাম স্মোক বিস্কুট।

মূলত বিস্কুটের সঙ্গে এক ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে এই বিস্কুট তৈরি করা হচ্ছে এবং যেই বিস্কুট কামড়ালে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। যত কামড়াবেন তত ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে বিস্কুট প্রেমীদের মুখে। আর তারা দেখতেই ভিড় জমাচ্ছেন আট থেকে আশি সহ যুবক-যুবতী থেকে শিশুরা। সবাই চাইছেন এই বিস্কুটে একবার কামড় দেওয়ার জন্য।এরকমই বিস্কুটের স্টল নিয়ে হাজির মেদিনীপুরে এক তরুণ। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠে বসেছে অগ্নিকন্যা ক্লাবের মেদিনীপুর মেলা। আর সেই মেলায় পাপড়িচাট ,ফুচকা, ঘুগনি জামা প্যান্টের দোকানের সাথে সাথে বসেছে চুড়ি হার ও ট্যাটুর দোকান। এই দোকানের হরেক মালের সঙ্গেই বসেছে একটি স্টল স্মোক বিস্কুটের। আর এই বিস্কুটের চাহিদা এখন তুঙ্গে। মেলা-প্রেমীরা ঢুকলেই সে বিস্কুটের স্বাদ নিচ্ছেন তারিয়ে তারিয়ে। কুড়ি টাকা দাম একটি বিস্কুটের।আর এর স্বাদ না নিয়ে ফিরে আসছেন না কেউই।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা সনু ব্যানার্জি বলেন এ এক নতুন ধরনের বিস্কুটের স্বাদ মেলা প্রেমীদের দেওয়ার জন্যই এই স্টল। এ বিস্কুট কলকাতার একটি মেলাতে বসানো হয়েছিল এরপর মেদিনীপুরে। এই বিস্কুটের স্বাদ নিতে আসছে বহু গ্রামগঞ্জ সহ শহরের মেলা প্রেমীরা।

অন্যদিকে স্মোক বিস্কুটের স্বাদে খুশি মেলায় আসা শহর ও জেলার মানুষজন। তাদের বক্তব্য এই এক অন্য ধরনের অন্য স্বাদের বিস্কুট।যা কোনদিন কোথাও খাওয়া হয়নি। তাই তার স্বাদ নিতেই মেলাতে আসা বার বার ধরে।এই বিস্কুটের স্বাদ নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য। এই স্মোক বিস্কুট ছাড়াও ভিন্ন স্বাদের স্টলে এদিন মজেছে তরুণ তরুণী ও যুবক-যুবতীরা।