Categories
খেলাধুলো

পেনাল্টি বক্সে গোল মারলেন পুলিশ সুপার আর গোল রক্ষক  তৃণমূলের জেলা সভাপতি !

বেঙ্গল সমাচার, নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :

পেনাল্টি বক্সে বল রেখে গোল মারলেন জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। আর গোল রক্ষক  তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান সহ ৫ জন সকলেই গোল খেলেন।এভাবেই শুরু হলো জঙ্গল কন্যা মহিলা ফুটবল কাপ ।
দেশের হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, রাজস্থান সহ বিভিন্ন রাজ্যের মহিলা ফুটবল দল খেলায় অংশ নিয়েছে। দুদিন ধরে এই খেলা চলবে।

সি.এ.বি সদস্য দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক সুজয় হাজরা জানান, “তরুণ সংঘ ক্লাবের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এর ফলে মহিলাদের উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বাড়বে”।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভারানী মাইতি, সমাজসেবী শান্তনু চক্রবর্তী , সুতনু চক্রবর্তী, তপন ভকত , নন্দলাল ভকত , নির্মাল চক্রবর্তী প্রমূখ।

Categories
খেলাধুলো

জাপানে এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াাবিদদের সম্বর্ধনা জানানো হলো তরুণ সংঘ ব্যামাগার এবং লায়ন্স ক্লাব অফ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল -এর যৌথ উদ্যোগে

বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ৩০ জুলাই :

তরুণ সংঘ বেয়ামাগার এবং লায়ন্স ক্লাব অফ মেদিনীপুর সেন্ট্রাল এর যৌথ উদ্যোগে জাপানে অনুষ্ঠিত ওয়াল্ড মাস্টার অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ এবং শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মাস্টার অ্যাকোয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের সম্বর্ধিত এবং সাফল্য কামনা করা হলো। এই দুই আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী সমস্ত ক্রীড়াবিদদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এদিন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর শহরের তরুণ সংঘ ব্যামাগার।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তরুণ সংঘ ব্যামাগারের  সভাপতি লায়ন উদয়রঞ্জন পাল, তরুণ সংঘ বেয়ামাগারের সম্পাদক নন্দলাল ভকত, ক্রীড়া সম্পাদক লায়ন তপন ভকত , সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী আবির আগরওয়াল, লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন সুশান্ত চক্রবর্তী, সম্পাদিকা লায়ন তাপসী দে, লায়ন আশিস ভকত সহ অন্যান্যরা । এছাড়াও অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লায়ন সুমন চ্যাটার্জী

এ দিনের এই অনুষ্ঠানে সম্বর্ধনার মধ্যে দিয়ে ক্রীড়াবিদদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল কামনা এবং সাফল্য কামনা করা হয়।

Categories
খেলাধুলো

খেলার ছলে পড়ুয়াদের শিক্ষা দিচ্ছে পলাশী বিদ্যালয়! গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল সাইটে

নিজস্ব প্রতিনিধি, খড়গপুর : 

মোবাইল স্মার্টফোনের দাপটে হারিয়ে গেছে বহু কিছু তার মধ্যে এক অন্যতম হলো ছোট কিশোর এবং খুদেদের জঙ্গলমহলের কিছু রীতিনীতি ও খেলাধুলা। ১৯৮০-৯০ দশকের যে খেলার ছলে বিকাশ ঘটতো মানসিকতা এবং বুদ্ধির সেই খেলা হারিয়ে গেছে জঙ্গলমহলে তাই এখন আর সেই খেলাগুলো ভুলে গিয়েছে এখনকারের খুদে পড়ুয়া সহ কিশোর ও টিনএজাররা। তাই খড়গপুর গ্রামীণের পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের উদ্যোগে সেই হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলো ফিরিয়ে আনছে আবার তাদের খুদেদের মধ্যে দিয়ে। প্রতিদিন ক্লাস এরপর এই পড়ুয়াদের দিয়ে হাডুডু, কিতকিত, সাত গুটি, কুমির ডাঙ্গা, লাফদড়ি, খাবো খাবো বিভিন্ন ধরনের কবিতা ও ছড়ার মজার মজার খেলা খেলছেন শিক্ষকেরা।উদ্দেশ্য এই খুদে কচি কাঁচাদের  মানসিক বিকাশ ও সংযোগ আনা। এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মাধ্যমে। যেখানে কচিকাঁচারা সেই খেলার ছলেই স্কুলে তাদের বন্ধুদের  সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে।

যদিও উল্লেখ ক্রমে বলা যায় এই পলাশী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে ১৩৩ জন খুদে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। যাদের শিক্ষাদানের জন্য রয়েছে পাঁচ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। তবে এই স্কুলের ইতিহাস উজ্জ্বল। কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উপস্থাপনা করে স্কুল পেয়েছে বিভিন্ন পুরস্কার ও অ্যাওয়ার্ড। নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার ২০১৭ সালে পায়, শিশু মিত্র পুরস্কার ২০১৯ সালে। এছাড়াও জেলাস্তরীয় স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার ২০২১-২২  পেয়েছে এই বিদ্যালয়। উদ্যোক্তা এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র।

এই দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্য সুন্দর মহাপাত্র বলেন “স্মার্টফোনের দাপটে হারিয়ে গিয়েছে সেই বাচ্চাদের ও কচিকাঁচাদের খেলা। এই খেলা ১৯৮০- ৯০ দশকের মানসিক বিকাশ ঘটাতো। আমরা পড়ুয়াদের সেই পড়ার পাশাপাশি খেলার ছলেই বুদ্ধির বিকাশের ঘটানোর চেষ্টা করছি। যাতে স্মার্ট ফোন ছেড়ে তারা আবার খেলামুখী হয়ে ওঠে”।

স্কুলের এই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট এর পরেই অনেকেই কমেন্ট করেন। অনেকেই বলেন পুরনো দিনের চিরস্মরণীয় সেই খেলা এবং ছোটবেলা মনে করে দিয়েছে এই পোস্ট।

Categories
খেলাধুলো

স্ট্রেস কাটাতে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন ইলেকট্রিসিটি এমপ্লয়েজ রিক্রেশন ক্লাবের! দুদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিল ইলেকট্রিক কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

স্ট্রেস কাটাতে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন ইলেকট্রিসিটি এমপ্লয়েজ রিক্রেশন ক্লাবের! দুদিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিল ইলেকট্রিক কর্মীরা। সারা বছরই ঝড়-ঝঞ্ঝা হলেই যারা জরুরী কালীন অবস্থায় অতি তৎপরতার সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তারা হলো ইলেকট্রিক কর্মীরা। যেই সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয় যখন মানুষ ফাঁকা স্থান ছেড়ে দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে পড়ে সেই সময় এইসব লোকেরাই মাঠে ময়দানে নেমে জীবন ভয়কে তুচ্ছ করেই কাজে অবিচল থাকে। আর তাই সারা বছরই দিনের পাশাপাশি রাতেও মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এসেছে এই ইলেকট্রিক কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং তার দপ্তর।

সারা বছরের স্ট্রেস চিন্তা এবং টেনশন ভয়ভীতি কাটাতে এবার ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করল ইলেকট্রিসিটি এমপ্লয়েজ রিক্রেশন ক্লাব। এদিন দপ্তরের সামনেই প্যান্ডেল করে চলে এ প্রতিযোগিতা।এই প্রতিযোগিতা চলবে দুদিন ধরে। সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করবেন এই দপ্তরের আধিকারিকরা। পূর্ব,পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া পুরুলিয়া সহ মোট পাঁচটি জেলার এই কর্মীরা এতে অংশগ্রহণ করেছে। এই নকআউট টুর্নামেন্টে প্রায় ৩২ টিম অংশগ্রহণ করেছে। এই টুর্নামেন্টে প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছে ১৪ টি ডিভিশন এর সঙ্গে জোনাল দপ্তর গুলি এবং কন্টাকটার অ্যাসোসিয়েশনের চারটি দল। এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন রিজনাল ম্যানেজার সৌভিক বেরা, ডেপুটি ম্যানেজার এইচ আর এ স্বপন কুমার মাইতি সহ বিশিষ্ট আধিকারিক বৃন্দ।

রিজনাল ম্যানেজার সৌভিক বেরা বলেন “সারা বছর ধরে জরুরি কালীন তৎপরতার সঙ্গে আমরা এই পরিষেবা দিয়ে আসছি এবং এতে যুক্ত কর্মী ও আধিকারিকরা স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতেই সঙ্গে এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। এটা দ্বিতীয় বছর পড়েছে। আমরা বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি”।

Categories
খেলাধুলো

বয়স যে সংখ্যা মাত্র তা বুঝিয়ে দিল ১০৬ বছরের রামবাই! আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক মিটে প্রথম হয়ে নজর কাড়লো হরিয়ানার বৃদ্ধা

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

বয়স যে সংখ্যা মাত্র তা বুঝিয়ে দিল ১০৬  বছরের রামবাই! আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক মিটে প্রথম হয়ে নজর কাড়লো হরিয়ানার বৃদ্ধা। গত কয়েকদিন ধরে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে চলছে তরুণ সংঘ ব্যানাগারের ৪২ তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক মিট ২০২৩। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে শুধু রাজ্য বা দেশের না বরং বাংলা দেশ শ্রীলঙ্কা সহ ভিনদেশের বহু প্রতিযোগী।প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রায় ১২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং এই প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করাতে নেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়াম,জামতলার মাঠ সঙ্গে রাখা হয়েছে আইআইটিতে এই প্রতিযোগীদের রাখার ব্যবস্থা।

 

এই প্রতিযোগিতায় বয়স্কদের দৌড়,শট পুটে অংশগ্রহণ করে রীতিমত প্রথম হয়ে তাক লাগালো হরিয়ানার ১০৬ বছরের বৃদ্ধা রামবাই। এই রামবাই তার নাতনি এবং মেয়ের সঙ্গে এসেছে এই অ্যাথলেটিকে যোগ দিতে।যখন তার বয়স ১০৪ বছর তখন তার ইচ্ছে জাগে এই অ্যাথলেটিকের বিভিন্ন কম্পিটিশনের নাম দেওয়া। আর সেই থেকেই সে নাম দিয়ে আসছে। তাই এবারও সেই তিনটি ইভেন্টের নাম দিয়েছে এই মেদিনীপুর তরুণ সংঘর অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায়। যেখানে অন্যান্য প্রতিযোগিদের হারিয়ে সে রীতিমতো শর্টপুটে প্রথম ২০০ মিটারে প্রথম এবং ১০০ মিটারও প্রথম প্রথম হয়ে নজর কেড়েছে এই প্রতিযোগিতায়। এই ১০৬ বছর বয়স যে তার কাছে এই দৌড়ানো রীতিমতো বাচ্চাদের মত তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

বয়স যে কেবল সংখ্যা মাত্র তা তিনি ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই প্রতিযোগিতায় দৌড়ে। অন্যান্য প্রতিযোগিতা হারিয়ে তিনি সেরার সেরা শিরোপা ছিনিয়ে নিলেন এই প্রতিযোগিতায়।যদিও এই বয়সেও কোন ওষুধের প্রয়োজন হয়নি নেই তার, নেই ব্লাড সুগার প্রেসার অথবা কোন ছোট বড় অসুখ। প্রতিদিন নির্ভেজাল দুধ ও ঘি এর খেয়েই আজ রামবাই হরিয়ানার নাম উজ্জ্বল করল এই আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায়।

এদিন এই প্রতিযোগিতার শেষে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামবাই জানাই আগামী দিনের ইচ্ছে আরও দৌড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা,অংশ নেওয়া বিভিন্ন ইভেন্টে।

তবে নাতনি শর্মিলার বক্তব্য ঠাকুমা এখনো পর্যন্ত ইয়ংদের মতন দৌড়ঝাঁপ করতে ভালোবাসে।যখন বয়স ১০৪ বছর ছিল তখন থেকে তার ইচ্ছে জাগে এসব কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে নেওয়া। ঠাকুরমা এখনো পর্যন্ত কোনো রকম অসুবিসুখে পড়েনি বা ওষুধ খাচ্ছে না বরং দিন দিন আরো তরতাজা ইয়ং হয়ে দৌড় ঝাঁপে অংশগ্রহণ করছে।

এই ঘটনায় খুশির তরুণ সংঘ ব্যায়ামাগার। তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এই ধরনের প্রতিযোগীকে পেয়ে।

Categories
খেলাধুলো

জাতীয় মার্শাল আর্টে গাড়ি চালকের মেয়ে পেল গোল্ড ও সিলভার! বড় হয়ে পুলিশ হয়ে সংসারের হাল ধরার ইচ্ছে ছোট্ট রিতি’র

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

মেদিনীপুর শহরের আট নম্বর ওয়ার্ড হাসপুকুর এলাকায় ছোট রিতির পরিবার থাকে। তার বাবা গাড়ি চালিয়ে সংসার চালায় বহু কষ্টে।এক চিলতে এসবেস্টারের ঘরে রিতির ভাই আর বাবা মাকে নিয়েই সংসার। রীতি ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল খুব মার্শাল আর্টের কুংফু শেখার। স্থানীয় প্রশিক্ষক তাপস দাসের হাত ধরে সে কুংফুতে রীতিমত প্র্যাকটিস করতে থাকে। সম্প্রতি ২১-২২ ও ২৩ জানুয়ারি আসামের গোহাটিতে পঞ্চম জাতীয় মার্শাল আর্ট গেম ২০২৩  প্রতিযোগিতায় ১৮ টি রাজ্যের সাড়ে চারশো প্রতিযোগীর মধ্যে সাড়ে ১২ বছরের রিতি রায় কুংফুর তাইলু তে (Tai-lu)দ্বিতীয় হয়ে সিলভার পায় সঙ্গে ফাইটে সানডাতে (sanda) প্রথম হয়ে গোল্ড পেয়ে নজর কেড়েছে মেদিনীপুরের।

অভাবের সংসারেও পড়াশোনার সঙ্গে প্র্যাকটিস করে গেছে সে। তাই কঠোর পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি এই সপ্তম শ্রেণীর কিশোরী। আর গোল্ড সিলভার পাওয়ায় খুশি রিতির বাবা সুনীল রায় ও মা সুনামি রায়। প্রাইজ নিয়ে বাড়ি ফিরতেই রীতিমতো এলাকার কাউন্সিলর তাকে সংবর্ধিত করেছে এবং পাশে থাকার আশ্বাস জানিয়েছে। অপরদিকে অভাবের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে রিতি রীতিমতো কঠোর পরিশ্রম করে বড় হওয়ার চেষ্টা করছে এবং বড় হয়ে পুলিশের চাকরি স্বপ্ন দেখছে সে।

এদিন এক সাক্ষাৎকারে রিতি জানায় “ছোট থেকে তালিম পেয়েছি এই প্রশিক্ষকের কাছ থেকে। আমরা ৬ জন অংশগ্রহণ করেছিলাম এর প্রতিযোগিতায়। ছয় জনই আমরা গোল্ড ও সিলভার নিয়ে এসেছি। আমরা এই প্রত্যন্ত জঙ্গল মহলের মানুষজন। এই অভাবের সংসারে ইচ্ছা আছে কুংফুর উপর ভর করে পুলিশের চাকরি করার সঙ্গে সংসারের দেখভাল করার”।

রিতির গোল্ড পাওয়াই স্বভাবতই খুশি প্রশিক্ষক তাপস দাস তিনি বলেন “আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ায় জঙ্গলমহলের বহু দক্ষ ট্যালেন্ট যুক্ত ছেলেমেয়ে রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে আর্থিক অসচ্ছলতার অভাবেই ছিটকে গিয়েছে প্রতিযোগিতা থেকে।এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় আমাদের ৬ জন প্রতিযোগী ৭ টি গোল্ড,২ টি সিলভার ও ২ টি ব্রোঞ্জ জিতে নিয়ে এসেছে। আমরা চাই আমাদের এই সাফল্য বজায় রাখার জন্য সাহায্য করুক বাকিরা। যাতে এই খেলোয়াড়রা আগামী দিনের জেলার মান উজ্জ্বল করতে পারে। রিতির ট্যালেন্ট আমাদের গর্বিত করেছে”।

Categories
খেলাধুলো

নেশার চোটে আদি ভারতীয় শাওলিনের ট্রেনিং দিচ্ছে বছর ৪৫ এর তপন পণ্ডিত! ক্যাম্পের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

ছোট থেকেই জ্যাকি চ্যানকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছে বছর ৪৫ এর তপন পন্ডিত। এক সময় চায়নার ডাং ফাং হেনান সিটির শাওলিন টেম্পল থেকে ট্রেনিং করে আসেন তিনি। এই তপন পন্ডিত বর্তমানে মেদিনীপুর শহরের কর্ণেরগোলাতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। কিন্তু তিনি প্রায় সময়ই দেশ-বিদেশে দৌড়ে যান শুধুমাত্র নেশার চোটে। এক কথায় বলা যায় শাওলিন শেখানোর নেশায়। তাই তার হাত ধরে প্রায় হিন্দি মুভি সহ বিভিন্ন সিনেমাতে ট্রেনিং নেয় হিরো হিরোইনরা এবং তিনি ট্রেনিং করাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিএসএফ, NSG ও কোবরা বাহিনীকে।তপনের ঝুলিতে ইতিমধ্যে ভারতরত্ন ডক্টর, আম্বেদকর অ্যাওয়ার্ড সহ আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে।

তপন বাবু ২৫ বছর ধরেই তার এই শাওলিন শিখিয়ে আসছেন। তপন বাবুর সাফ বক্তব্য “যেখানে এই শাওলিন এবং কুংফুর জন্মদাতা ভারত, যার স্রষ্টা ভারত এই কুংফু শাওলিনের চতুর কলা কৌশল শিখে নিয়ে গিয়ে বিদেশীরা নিজেদের নাম ট্যাগ করে চালাচ্ছে গোটা বিশ্বজুড়ে। কিন্তু এই ভারত হল সেই শাওলিনের আদি জন্মদাতা”। তাই শুধু সেনা বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানো নয়, সেই সঙ্গে ভারতীয় ছেলে-মেয়েদের দক্ষ ও আত্মনির্ভর হতে শেখাচ্ছেন এই তপনবাবু। এই পর্যন্ত গোটা দেশে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছে তপনবাবু। তিনি তরুণ প্রজন্ম স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েদের এই শাওলিন কুংফু শেখাচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনে পয়সায়। তার উদ্দেশ্য ভারতীয় আদি স্রষ্টা এই শাওলিনকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তাছাড়া এই শাওলিনের ট্রেনিং এর জন্য আর চায়না, জাপান যেতে হবে না বরং যাতে ভারতীয়রা এখান থেকে ট্রেনিং নেয় এবং আদি ভারতকে চেনে ভারতের ইতিহাস জানে সেই উদ্দেশ্যেই তিনি কাজ করে চলেছেন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে। এই পর্যন্ত তার enter the dragan girl’s, টাইগার শ্রফের বাগি, বিরাপ্পন সহ প্রায় ১৭ টি বিভিন্ন মুভিতেও তিনি অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। গোটা দেশজুড়ে তার ১৭ টি ব্রাঞ্চ রয়েছে যেখান থেকে তিনি শাওলিন শেখান ভারতীয়দের।

এইদিন  বেঙ্গল সমাচারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তপন পন্ডিত বলেন “ছোটবেলা থেকে দেখেছি জ্যাকি চ্যানের এই কুংফু ও শাওলিন। পরবর্তীকালে ট্রেনিং নিয়েছি চায়না থেকে। কিন্তু এরপর যত দেখেছি তত শিখেছি এবং এই শেখার নেশায় ভারতীয়দের শেখানোর উদ্দেশ্যে নেমে পড়েছি ময়দানে। বহু জায়গায় ডাক আসে শেখানোর জন্য তাই স্কুল,কলেজ, ইউনিভার্সিটি ছেলে এবং মেয়েদের আত্মনির্ভর সঙ্গে দক্ষ হওয়ার ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এই শাওলিনের আদি জন্মদাতা ভারত। ভারত হচ্ছে বাপ আর সেই বাপের কপি চুরি করেছে বিভিন্ন দেশ। তারা এগুলো কপি করে চালাচ্ছে নিজেদের নাম দিয়ে। তাই আমরা চাই আমরা ভারতীয়রা ভারতের আদি কলা কৌশল শিখে নিজেদের তৈরি করতে। তিনি এও বলেন অসময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যদি পাঁচ কোটি ভারতীয়কে এই শাওলিন শিখিয়ে দক্ষ করতে পারি তাহলে কোন দেশই আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠবে না”।

Categories
খেলাধুলো

দীপা কর্মকার: ডোপিং আইন লঙ্ঘনের দায়ে নিষিদ্ধ দীপা! বাঙালি জিমন্যাস্টের ক্যারিয়ার শেষ.?

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ডোপিং আইন লঙ্ঘনের জন্য দীপা কর্মকার ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ! আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন (এফআইজি) তাঁকে বরখাস্ত করেছে, এই বছরের শুরুতে এমনটাই রিপোর্ট করা হয়েছিল।

কী কারণে শাস্তি পেলেন ভারতীয় জিমন্যাস্টের পোস্টার গার্ল দীপা কর্মকার? দীপা নিজে এবং তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী অন্ধকারে ছিলেন। এরপর থেকে দীপা প্রায় ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। সেই মার্চ থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত দীপার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণ সম্পর্কে তথ্য উঠে আসে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোপিং বিরোধী আইন লঙ্ঘনের জন্য দীপাকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে, আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছিল।

জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (GFI) এবং ভারতীয় অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (NADA) এই বিষয়ে কিছুই বলতে চায়নি। সাত বছর আগে রিও অলিম্পিক জিতেছিলেন বাঙালি জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। সিমোন বাইলসের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিলেন তিনি। পদক অল্পের জন্য মিস হয়ে যায়। কঠিন প্রোদুনোভা ভল্টে ছিটকে পড়ার পর দীর্ঘদিন ধরেই চোটে ভুগছিলেন দীপা। এই কয়েক বছরে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন।

২০১৮ সালে তিনি আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জে সোনা জিতেছিলেন। তবে অলিম্পিক মঞ্চে দীপাকে পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের গোড়ার দিকে, দীপার নিষেধাজ্ঞার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি (WADA) ডোপ টেস্টের জন্য ডেকেছিল দীপাকে। সেই ডাক এড়িয়ে যান দীপা! এজন্য তিনি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকে ভারতীয় জিমন্যাস্টরা সাসপেনশনে ভুগছেন। এই ঘটনার পিছনে দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীকে ‘ভিলেন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শুরু থেকেই দীপার সঙ্গে আছেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বেশ্বর নন্দীর পদ্মশ্রী, খেলরত্ন এবং অর্জুন পুরস্কার বিজয়ী জিমন্যাস্ট দীপাকে গাইড করার কথা। তাই স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং NADA নন্দীর দিকে আঙুল তুলেছে। দীপার কোচ এবং ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়া দফতরের ‘দায়িত্বহীনতার’ দায় নিতে চায় না স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। ২০১৭ সালে দীপার অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠার পর তিনি শেষবার ২০১৯ সালে জিমন্যাস্টিকস বিশ্বকাপে খেলেছিলেন।

দীপা প্রথম ভারতীয় জিমন্যাস্ট যিনি অলিম্পিক মঞ্চে পা রাখেন। কিন্তু ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাননি দীপা। বারবার ইনজুরি, সার্জারি, করোনা আর এবার ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা। তাহলে কি রিও অলিম্পিকেই শেষ হয়ে গেল দীপার ক্যারিয়ার? উঠছে প্রশ্ন।

Categories
খেলাধুলো

বাংলাদেশের সিরিজ হারের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে কঠিন শাস্তি দিতে চলেছে বিসিসিআই

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

বাংলাদেশ সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে গেলেও টানা দুইবার ওয়ানডে ম্যাচ হেরে সিরিজ হারতে হয়েছে রোহিত শর্মার দল ভারতকে। এর পরই রিভিউ মিটিং ডাকতে চলেছে বিসিসিআই। বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ফেরার পর এই পর্যালোচনা বৈঠকে থাকবেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ রাহুল দ্রাবিড়, এনসিএ পরিচালক ভিভিএস লক্ষ্মণ, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারের পর বোর্ড নিজেই একটি পর্যালোচনা সভা করার কথা বলেছিল। কিন্তু বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা ব্যস্ত থাকায় বৈঠক হয়নি। তবে আইসিসি র‍্যাংকিং-এ সপ্তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে মীরপুরে সিরিজ হারের পর বিপদের ঘণ্টা বেজেছে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আর এক বছরেরও কম সময় বাকি, এমন পরিস্থিতিতে এমন ফলাফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বোর্ড কর্তারা।

২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর ভারত গত এক দশকে আইসিসি শিরোপা জিততে পারেনি। বোর্ডের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “বাংলাদেশে যাওয়ার আগে টিম ইন্ডিয়ার সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায়নি কারণ কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন। তবে, দলটি বাংলাদেশ থেকে ফেরার পরে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করা হবে। এই সিরিজ হার যথেষ্ট বিব্রতকর। টিম ইন্ডিয়া যে বাংলাদেশ সিরিজও হারবে এটা আশা করা যায়নি”।

টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়া বোর্ডে প্রায় পাকাপাকি স্থান অধিকার করেছেন। রোহিতকে কতদিন ওয়ান ডে-এর অধিনায়ক হিসেবে ধরে রাখা হয়, এখন সেটাই দেখার। ব্যাট হাতে শোচনীয় ফর্মে রয়েছেন রোহিত নিজেও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া যেভাবে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে, তাতে ভারতের একাধিক ভুল প্রকাশ্যে এসেছে।

আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে অধিনায়ক হতে পারেন ৩৫ বছর বয়সী রোহিত। ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে হার্দিক পান্ডিয়াকে এখন প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে নেতৃত্বের এই দোদুল্যমান অবস্থা পর্যালোচনা বৈঠকের পরে স্পষ্ট হয়ে যাবে।

অস্ট্রেলিয়ায় বোঝা গেছে যে ভারত এক বছর ধরে পরিকল্পনা করেও টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটের জন্য প্রস্তুত ছিল না। পাওয়ারপ্লেতে ওপেনারদের দুর্বল ব্যাটিং, ফিনিশারের অভাব, বোলিং লাইন আপে এক্সপ্রেস পেস বোলারের অভাব, রিস্ট স্পিনারের অভাব; ভারতের ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত একের পর এক কারণ প্রকাশ করেছে। বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব বারবার ভারতের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

নির্বাচকদের পুরানো প্যানেল ছাঁটাই করার পরে বোর্ড এখনও একটি নতুন প্যানেল নিয়োগ করতে পারেনি। চেতন শর্মা, দেবাশিস মোহান্তি, হরবিন্দর সিং, সুনীল জোশিদেরকে বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায় নিয়ে চলে যেতে হয়েছে।

Categories
খেলাধুলো

বাংলাদেশের ম্যাচে রক্তাক্ত রোহিত! তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তারকাকে

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জীবন-মরণ দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচেই বিপত্তির মুখে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। আঙুলে বড়োসড় চোট পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তারকাকে।

বুধবার প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ওভারে স্লিপে ফিল্ডিং করছিলেন এই তারকা। সে সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। রক্তাক্ত হাতে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের একটি প্রান্তের শট রোহিতের ঠিক সামনে পড়ে যায়। সেই বল পামিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পান তিনি। মুহূর্তে রোহিতের আঙ্গুলগুলো রক্তে ঢেকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রণায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দ্বিতীয় ওয়ানডে’তে ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে বড় চোট পান রোহিত শর্মা। বিসিসিআই মেডিকেল টিম পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। বর্তমানে স্ক্যানের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে”।

তার আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ভারতীয় একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। কুলদীপ সেন ও শাহবাজ আহমেদের জায়গায় এসেছেন উমরান মালিক ও অক্ষর প্যাটেল। কুলদীপ সেনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পিঠে হালকা চোটের কারণে।

বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বোর্ডের মেডিকেল টিম কুলদীপের অবস্থা পর্যালোচনা করে তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডে’তে খেলতে পারবেন না তিনি। বাংলাদেশ একাদশে একটাই পরিবর্তন হয়েছে। হাসান মাহমুদকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং নাসুম আহমেদকে আনা হয়েছে। তিন ম্যাচের সিরিজে বর্তমানে বাংলাদেশ ১-০ তে এগিয়ে আছে।

ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, শার্দুল ঠাকুর, উমরান মালিক, মোহাম্মদ সিরাজ।