Categories
কর্ম সংস্থান

প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে নিয়োগ, বেতনের মানও রাজ্যে সর্বোচ্চ

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

রাজ্য প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে রয়েছে চাকরির সুযোগ। ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশন ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে, ভেটেরিনারি অফিসার পদে ১৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইট https://wbpsc.gov.in-এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। পরের বছর ৩০শে জানুয়ারী থেকে অনলাইন আবেদন পাওয়া যাবে। আবেদনের শেষ তারিখ ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রার্থীকে ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিতে ডিগ্রি থাকতে হবে বা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সায়েন্সে ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়া বাংলা ও নেপালি ভাষা জানা বাধ্যতামূলক। জেনারেল কাস্টের প্রার্থীদের বয়স সীমা ৩৬ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন।

কমিশন ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের বাছাই করবে। আবেদনকারীদের সংখ্যা খুব বেশি হলে তাদের ইন্টারভিউয়ের জন্য বাছাই করার জন্য একটি স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হবে। জেনারেলদের জন্য আবেদন ফি ২১০ টাকা। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের আবেদন ফি দিতে হবে না। ভেটেরিনারি অফিসাররা ৫৬ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পাবেন।

Categories
কর্ম সংস্থান

একসময় 500 কিন্তু এখন 30 টাকা রোজগার করতে হিমশিম হারিয়ে যাওয়া রিক্সাওয়ালাদের! রিক্সা চালানোর সঙ্গে পেট চালাতে ভিন্ন কাজে তারা

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

একসময় বলতে হতো না দিদি ছেড়ে দিয়ে আসবো নাকি কিন্তু এখন বারবার বলেও ভাড়া তো মিলছে না উল্টে, জুটছে তিরস্কার। এ রকমই অবস্থা জঙ্গলমহল অধ্যুষিত খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণি রিকশাওয়ালাদের। তাই তারা এখন রিকশা চালানোর উপর নির্ভরতা কাটিয়ে অন্য কাজেও হাত লাগিয়েছে। যদিও প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এই মেদিনীপুরের বেশিরভাগ অর্ধশিক্ষিত মানুষেরা একসময় রিক্সার চালিয়ে জীবন ধারণ করতেন।

রিক্সাওয়ালাদের জন্য এক সময় পৌরসভা থেকে রিক্সার স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয় এবং জেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছিল রিক্সা স্ট্যান্ড। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড বাস স্ট্যান্ড থেকে কলেজ এবং স্কুল গেটে দেখা মিলতো হাজার হাজার রিক্সাওয়ালাদের। কি দিন কিবা রাত, চলতো এই রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের। কিন্তু যুগের সঙ্গে সময় পাল্টেছে আর তাই রিকশা ছেড়ে এরপর বাজারে এসেছে অটোর   দৌরাত্য । পেট্রোল চালিত অটোতে মানুষ যাতায়াত শুরু করায় রিক্সা ওয়ালাদের রুটি রুজিতে টান পড়েছে। তাও কোনক্রমে ৫০০ ৭০০ টাকা ইনকামের জায়গা কমে এসে দাঁড়ায় ৩০০ ৪০০ টাকা। কিন্তু এখানে থেমে থাকেনি এর পরেই ইলেকট্রিক চালিত টোটো, মোটর দাপটে একেবারেই জীবিকা হারিয়ে ফেলেছেন এই রিক্সাওয়ালারা। একসময় নস্টালজিয়া রিক্সায় বসে যারা নিজেদের ভিভিআইপি ভাবতেন এখন তারাই রিকশা পথ এড়িয়ে টোটো -অটোতে যাতায়াত করছেন। আর তাই জীবন -জীবিকার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রিক্সাওয়ালারা এখন দিনে দুপুরের ফাটা রৌদ্রে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শহরের মোড়ে মোড়ে। একাধিকবার হাঁক ডেকেও পাচ্ছেন না যাত্রীদের সাড়া। তাই মালিকে দেওয়া রিক্সার প্রতিদিন ভাড়া তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা, তাই কোনদিন ভাত জুটলো আবার কোনদিন শুকনো মুড়ি খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

এই অসময়ে পাশে পাওয়া যায়নি মেদিনীপুরের পৌরসভাকে। পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কোন সহৃদয় সাহায্য। তাই এই নস্টালজিয়ার রিকশো আজ উঠে যাচ্ছে প্রতিদিন একটু একটু করে। অনেকেই রিক্সা চালানোর পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করছেন শুধুমাত্র সংসার ও পেট চালাতে। চাইছেন সাহায্যেরহাত বাড়িয়ে দিক মেদিনীপুরের পৌরসভা ও প্রশাসন। এক সময় যার সংখ্যা ছিল হাজার খানেক এখন তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০ টি।

মেদিনীপুরে রিক্সাওয়ালা গোবিন্দ হারু ও চন্দন বেহারা বলেন সেই ছোটবেলা থেকে রিকশা চালাচ্ছি তখন মানুষ  রিক্সায় উঠার জন্য লাইন লাগিয়ে দিত, কিন্তু আস্তে আস্তে সেই যুগ কেটেছে টোটো -অটো দৌরাত্যের ফলে আজ আর ভাড়া পাচ্ছি না। এক সময় যেখানে মালিককে টাকা দেওয়ার পরও উদ্বৃত্ত টাকায় জামাপ্যান্ট ঘরের আশ্বাসপত্র কেনা হতো এখনই মালিকের প্রতিদিনকার ভাড়া 30 টাকা তুলতে হিমশিম খেয়ে উঠেছে আমরা। তাই হাফ বেলা রিক্সা চালানোর পর হাফ বেলা লোকের বাড়িতে বা দোকানে কাজ করছি আমরা। কোন কোন দিন আবার ভাড়া না পেয়ে ভাতের বদলে রাত্রে ছুটেছে শুধু শুকনো মুড়ি আমরা চাই আমাদের দিক নজর দিক প্রশাসন।

এ বিষয়ে মেদিনীপুরের পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অনিমা সাহা বলেন “অটো- টোটোর ওদের জীবন জীবিকা শেষ হয়ে গিয়েছে এটা ঠিক। এক সময় যে রিকশা এক বিলাসবহুল ব্যাপার ছিল তার এখন অবলুপ্তি ঘটতে চলেছে। হাতেগোনা কয়েকশো রিকশা এখন বাজারে ঘোরে। আমাদের কাছে আবেদন করুক আমরা ওদের সাহায্য করার চেষ্টা করব।

Categories
কর্ম সংস্থান

SSC চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ, একি বললেন এসএসসির চেয়ারম্যান !

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :- 

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ! স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাফ জানিয়ে দিলেন, “পূর্বতন নিয়োগ জট না কাটিয়ে এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে না”।

এই মুহূর্তে কমিশন উচ্চ প্রাথমিক এবং নবম দ্বাদশের নিয়োগ জটে জড়িয়ে রয়েছে। সম্প্রতি শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষার ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য চলতি সপ্তাহেই কাউন্সেলিং হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হাইকোর্টের কাছে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের অনুমতি নিতে চলেছে কমিশন। আবার এর মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের বঞ্চিত মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন জারি রেখেছেন।

আর এইসবের মধ্যে নতুন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সওয়ালে তিনি বলেন, “আগের বিজ্ঞপ্তির জট না কাটিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এখন কোন সম্ভাবনা নেই। আমরা এখন আগের বিজ্ঞপ্তির জট কাটাতে ব্যস্ত”। এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ দ্রুত এস এল এস টি-এর দাবিতে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হতে চলেছেন চাকরি প্রার্থীরা।

Categories
কর্ম সংস্থান

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর..! কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ভারতীয় পোস্টে বিপুল শূন্য পদে নিয়োগ

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। পোস্টম্যান, মেলগার্ড এবং মাল্টিটাস্কিং পদের জন্য ভারতীয় পোস্টে বিপুল শূন্য পদে নিয়োগ। আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীরা শীঘ্রই আবেদন করুন। বিশদে জানতে ভারতীয় পোস্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে খোঁজ নিন।

ভারতীয় পোস্ট কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শীঘ্রই অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই আবেদন পত্র দেওয়া হবে। সারাদেশ জুড়ে ২৩টি সার্কেলে মোট ৯৮ হাজার ৮৩টি শূন্য পদে নিয়োগ হবে। যার মধ্যে পোস্টম্যান পদে ৫৯ হাজার ৯৯ জন, মেলগার্ড পদে ১৪৪৫ জন, মাল্টিটাস্কিং পদে ৩৭ হাজার ৫৩৯ জনকে নিয়োগ করা হবে।
পোস্টম্যান পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে।
মেলগার্ড পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস সঙ্গে কম্পিউটারের প্রাথমিক স্তরের জ্ঞান থাকতে হবে।
মাল্টিটাস্কিং পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীর নূন্যতম যোগ্যতা হতে হবে যে কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং কম্পিউটারের প্রাথমিক স্তরের জ্ঞান।
আবেদনকারী প্রার্থীদের বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত শ্রেণির জন্য নিয়ম অনুযায়ী বয়সের ছাড় দেওয়া হবে।
প্রথমে ভারতীয় পোস্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://indiapostgdsonline.gov.in/ এই ঠিকানায় খুলে আবেদনপত্রটি সঠিক তথ্য প্রমাণাদি সহকারে পূরণ করতে হবে। এর সাথে পরীক্ষার ফি জমা করতে হবে। এই আবেদনপত্রের একটা কপি চাইলে নিজের কাছে রাখা যেতে পারে।
কোনো পরীক্ষা মারফত এই নিয়োগ হবে না। কেবলমাত্র একাডেমিক সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকার ভিত্তিতেই নিয়োগ হবে।।

Categories
কর্ম সংস্থান

পোস্ট অফিসে ১৮০টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ইন্ডিয়ান পোস্ট, বেতন আকর্ষণীয়

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :

পোস্ট অফিসে শূন্য পদের বিজ্ঞপ্তি জারি করল ইন্ডিয়ান পোস্ট। গুজরাট পোস্ট সার্কেলের অধীনে গ্রুপ সিতে মোট ১৮০টি শূন্য পদে ক্রীড়াকোটায় নিয়োগ করা হবে। ইচ্ছুক প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট dopsportsrecruitment.in-এ গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনের সময়সীমা ২৩শে অক্টোবর থেকে ২২শে নভেম্বর পর্যন্ত।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডাক সহকারী ও বাছাই সহকারীর ৭১টি, পোস্টম্যানের ৫৬টি, মাল্টি টাস্কিং স্টাফের ৬টি পদে নিয়োগ করা হবে। ডাক বিভাগ সংক্ষিপ্ত তালিকা ভুক্ত প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করবে এবং আগামী ৬ ডিসেম্বর ২০২২-এ তা প্রকাশ করবে। ইচ্ছুক আবেদনকারীদের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ৬০ দিনের কম্পিউটারের কোর্স করা সার্টিফিকেট জমা করতে হবে। পোস্টম্যান, মেল গার্ড পদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট ও ৬০ দিনের কম্পিউটার কোর্স করা সার্টিফিকেট এবং স্থানীয় ভাষায় জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। মাল্টি টাস্কিং পদের জন্য দশম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট এবং স্থানীয় ভাষা জ্ঞান থাকতে হবে। উপরিক্ত শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলি ছাড়াও প্রার্থীদের আন্তর্জাতিক আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় স্তরে নির্ধারিত ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

আবেদনকারীর বয়স সীমা ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে হতে হবে। কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি পদের জন্য থাকবে আকর্ষণীয় বেতন। ডাক সহকারী ও বাছাই সহকারীর বেতন প্রতিমাসে ২৫,৫০০ টাকা থেকে ৮১,১০০ টাকা, পোস্টম্যান ও মেল গার্ডের বেতন প্রতি মাসে ২১,৭০০ টাকা থেকে ৬৯,১০০ টাকা। এমটিএস পদের বেতন প্রতিমাসে ১৮,০০০ থেকে ৫৬,৯০০ টাকা।।

Categories
কর্ম সংস্থান

বাংলা মাধ্যমে শূন্যপদ মাত্র ৫৬৮৫, চাকুরীরত শিক্ষকরাও আবেদনযোগ্য, আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের কপালে

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী কর্তৃক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্য পদ রয়েছে ১১,৭৬৫টি। ইতিমধ্যেই চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করা শুরু করেছেন। এদিকে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষিত প্রায় ২৯ হাজার আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, তাদের সবাইকেই নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১২ ও ২০১৪ সালে টেট পাশ এবং বর্তমানে চাকুরীরত শিক্ষকরা তাদের সাথে ৪০ অনূর্ধ্বরাও এই বছর নতুন নিয়োগে ফের আবেদন করতে পারবেন। ফলে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিযোগিতা আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, বাংলা মাধ্যমে সাধারণ বিভাগে ৩১৪১টি ও সংরক্ষিত বিভাগে (পার্শ্বশিক্ষক, প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং এক্সেম্পটেড) মাত্র ২৫৪৪টি অর্থাৎ মোট ৫৬৮৫টি শূন্য পদ রয়েছে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়ায় কোনো শূন্য পদ নেই। এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের দাবি, “রাজ্যে পড়ুয়াদের অনুপাতে প্রাথমিকে পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন। তাই সেই অনুযায়ীই শূন্য পদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে”। ফলে ওই অংশের ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পাস প্রশিক্ষিত আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে।

২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট পাস করা আন্দোলনকারী এক প্রশিক্ষিতা চাকরিপ্রার্থী পিয়ালী সামন্তের মতে “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৪-র টেট পাস যে ৫৬ হাজার শিক্ষক ২০১৭,১৮ এবং ২১ সালে নিযুক্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে চাকরিরত তারাও যদি আবেদন করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা যারা চাকরিপ্রার্থী তাদেরকে কঠিন প্রতিযোগিতার সামনে পড়তে হবে”। ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ অ অন্তর্ভুক্ত চাকরিপ্রার্থী একতা মঞ্চের সম্পাদক অচিন্ত্য সামন্তের বক্তব্য অনুযায়ী “পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের তথ্য অনুযায়ী আমাদের ব্যাচে নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে এখন ১৬০০০। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আরো ৩০০০ চাকরিপ্রার্থী। এছাড়াও ২০০০ চাকরি প্রার্থীর বয়স বর্তমানে ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে”। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী সাহারূপ আলমের আশঙ্কা “ইংরেজি মাধ্যম এবং সংরক্ষণের কারণে সব জেলাতেই বাংলা মাধ্যমের চাকরিপ্রার্থীদের আসন সংখ্যা সীমিত। আমাদের ব্যাচেই ৯৮৯৬ জন প্রার্থী আছেন। এদিকে শূন্য পদ আছে মাত্র ৫৬৮৫টি। এক্ষেত্রে হয়তো আমাদের অর্ধেকও নিয়োগ পাবো না”।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যের মোট ১১৭৬৫টি শূন্য পদের মধ্যে হাওড়ায় ৯৭৫টি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮৪টি শূন্য পদ থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়ায় কোনো শূন্য পদ নেই। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, “পূর্ব মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলায় ৩২৬৫টিরও বেশি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। এতগুলি স্কুল থাকা সত্ত্বেও একটাতেও কি শূন্য পদ নেই..?। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ জানিয়েছে, “পূর্ব মেদিনীপুর এবং নদীয়া জেলায় উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর শিক্ষক বদলি হয়ে এসেছেন। ফলে এই দুই জেলায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অনুপাত স্বাভাবিক আছে। তাই এই স্কুলগুলিতে কোনো শূন্যপদ নেই।

Categories
কর্ম সংস্থান

ঝাল মুড়ি দিয়ে শিক্ষিত দের উপহাস না করে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়ে তাদের সম্মান করুন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর : 

ঝাল মুড়ি দিয়ে শিক্ষিত দের উপহাস না করে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিয়ে তাদের সম্মান করুন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। মিশন “নিযুক্তি মাস” দিন কয়েক আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০ লক্ষ কর্মপ্রার্থীকে চাকরি দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতন এইদিন ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাকরি নিয়োগপত্র দেন রোজগার মেলা থেকে। শনিবার খড়গপুর সিস্টেম টেকনিক্যাল স্কুল এসটিসি তে সেই অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় 222 জনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল রেল, আইআইটি, ডাকঘর সহ কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন বিভাগ।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক,সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার,খড়গপুর সদর বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়, খড়গপুরের ডি.আর.এম সুজাত হাশমি, আইআইটি ডেপুটি ডিরেক্টর অমিত পাত্র সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে ও কটাক্ষ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর রোজগার মেলা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে রকম ভাবে প্রধানমন্ত্রী রোজগার মেলা সূচনা করেছেন ঠিক এভাবেই আমরা বিভিন্ন রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই ধরনের রোজগার মেলা ও কর্মসংস্থান করব এবং সেই সঙ্গে এই মেলা থেকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠির ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গেও একইভাবে এই যোগ্যতা নিরিখে রোজগার মেলা থেকে কর্মসংস্থান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষিতদের উপহাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষিত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেভাবে ঝাল মুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রি করতে বলেছেন তাতে তাদের উপহাস করা হচ্ছে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে বলব শিক্ষিতদের ধর্না মঞ্চে বসিয়ে না রেখে তাদের উপহাস না করে বরং যোগ্যতা অনুসারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন এবং তাদের চাকরি দিয়ে সম্মানিত করুন। এরপর শিক্ষিতদের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখানকার প্রশাসন এবং শাসক দল এক হয়ে কাজ করছে। ফলে এখানে রাজনীতি বেশি হচ্ছে। তাই শিক্ষিতরা বঞ্চিত হচ্ছে এবং তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তারা অবস্থান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে।

এই শিক্ষিত বেকারদের আন্দোলনকে সবাই সমর্থন করলেও কেউ প্রকাশ্যে নামতে চাইছিল না এতদিন। তবে আস্তে আস্তে সবাই তাদের সমস্যা বুঝতে পেরেছে এবং তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এটা ভালো দিক। এরপর শাসক দলের নেতার দাঁত উপড়ে ফেলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমরা শুধু রাজনীতি নিয়ে কথা বলি এখন রাজনীতি নয় বরং দেশ নিয়ে কথা বলব। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদী যেভাবে কাজ করেছেন ঠিক সেইভাবেই আমরা রাজ্যের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও রাজনীতিকেই সমর্থন করি।

Categories
কর্ম সংস্থান

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে প্রচুর স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সুখবর, কর্মসংস্থানের নতুন সংবাদ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হবে প্রচুর স্বাস্থ্য কর্মী। তবে চুক্তিভিত্তিক হলেও বেতন হবে আকর্ষণীয়। এই স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাসহ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর মারফত। সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এবং নিযুক্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজও করতে হবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু আবেদনকারী কে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

আবেদনকারী  www.wbhealth.gov.in এই ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদন করতে পারবে। ফর্মের নির্দিষ্ট কলম গুলি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে নিজের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। এরপর সমস্ত কলমগুলি পূরণ হয়ে যাওয়ার পর নিজের সই স্ক্যান করে তা আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট স্থানে এবং সবশেষে আবেদন পত্রটি সাবমিট করতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ২৬শে অক্টোবর ২০২২।

নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট www.wbhealth.gov.in -এ গিয়ে বিস্তারিত দেখুন।

নিম্নলিখিত পদগুলির জন্যেই আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারেন,

১) ব্লক পাবলিক হেলথ ম্যানেজারের জন্য শূন্য পদ আছে ৫টি। ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সের প্রার্থীরা এর জন্য আবেদন করতে পারেন মাসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা
এর জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পাশ হতে হবে। সঙ্গে কম্পিউটারের জ্ঞান থাকতে হবে।

২) ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের জন্য শূন্য পদ আছে ১০টি। ১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রার্থীরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন। মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা। এই পদের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হতে হবে। এর সাথে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের কাজে অভিজ্ঞতাসহ সরকার স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা থাকতে হবে।

৩) ব্লক ডাটা ম্যানেজারের জন্য শূন্য পদ আছে ৫টি। ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সি প্রার্থীরা এই পদের জন্য আবেদন করতে পারেন মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা।
এই পদের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতক হতে হবে। সঙ্গে সরকার স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটারে ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা থাকতে হবে। এছাড়াও ডাটা এনালিসিসে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৪) ব্লক এপিডেমিওলজিস্ট পদে ৫টি শূন্য পদ রয়েছে। ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সী আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারেন এই পদের জন্য। মাসিক বেতন ৩৫ হাজার টাকা। আবেদনকারী প্রার্থীর এমএসসি সহ উল্লেখিত পদের ডিগ্রি থাকতে হবে। এছাড়াও কম্পিউটারে জ্ঞান থাকার পাশাপাশি পি.এইচ.ডি, এম.ফিল অথবা জনসাস্থ্য বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আবেদনের ফর্ম পূরণের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি আবেদনকারীকে অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে,
১) প্রার্থীর বয়সের প্রমাণপত্র,
২) জাতিগত শংসাপত্র,
৩) শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিপত্র,
৪) ভোটার কার্ড,
৫) আধার কার্ড,
৬) পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি,
৭) আবেদনকৃত পদের ক্ষেত্রে যদি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে তারও শংসাপত্র জমা করতে হবে।

প্রথমে আবেদনকারী প্রার্থীকে একটি কম্পিউটারের পরীক্ষা দিতে হবে। তারপর ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। আর এরপর সবশেষে প্রার্থীর জমা করা সমস্ত নথিপত্রের সত্যতা যাচাই করা হবে। এর মাধ্যমেই আবেদনকারী প্রার্থীকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অর্জিত পূর্ব অভিজ্ঞতা অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবে।।

Categories
কর্ম সংস্থান

কনস্টেবল, পুলিশ নিয়োগ সহ একাধিক বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কনস্টেবল পুলিশ নিয়োগ সহ একাধিক বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির তরফ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, সেই আবেদনের প্রতি নজর রেখে নিচু তলার পুলিশ কর্মীদের কথা মাথায় রেখে এই  ঘোষণা।

এদিন তিনি ঘোষণায় উল্লেখ করেন,
1) WBP কনস্টেবলের চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা হতে হবে জেনারেল ক্যাটাগরির ক্ষেত্রে 18-30 বছর, SC – ST দের ক্ষেত্রে 18-35 বছর এবং OBC দের ক্ষেত্রে 18-33 বছর।
2) Exempted ক্যাটাগরিতে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রয়োজনীয় উচ্চতাজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রার্থীকে তার উচ্চতা অনুযায়ী ডিপার্টমেন্টের অন্য কোনো চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।

3) রাজ্য পুলিশের ড্রাইভারদের মাসিক বেতন 2 হাজার টাকা বাড়িয়ে 13 হাজার 500 টাকা করা হলো।
4) কলকাতা পুলিশের ড্রাইভারদের মাসিক বেতন 1500 টাকা বাড়িয়ে 15000 টাকা করা হলো।

Categories
কর্ম সংস্থান

আবার ফিরে এলো ঐতিহ্যবাহী কাগজের ঠোঙা ! পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়াতে খুশি গ্রাম-গঞ্জের ঠোঙ্গা বিক্রেতারা

বিশ্বনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর:-

রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পলিথিন নিধন কর্মসূচি। ৭৫ মাইক্রোনের নিচে পলিথিন ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধে হাটে, বাজারে, দোকানগুলিতে প্রচার চালিয়েছে সরকারি দপ্তর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে ক্রেতা থেকে বিক্রেতার জরিমানাও করা হচ্ছে। এই অভিযানের ফলে এখন পলিথিন ব্যবহার বেশ কিছুটা কমেছে বলে দাবি প্রশাসনের।

এরই জেরে বেড়েছে কাগজের ঠোঙ্গার চাহিদা। ফলে ঠোঙ্গা তৈরীর কারিগরদের মুখে ফুটেছে হাসি। ঠোঙ্গা তৈরির কারিগরদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজের সাথে যুক্ত কিন্তু পলিপেপার এসে তাদের এই পেশার বাধার সৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মূলত চাহিদা কমে গিয়েছিল কাগজের ঠোঙার। এর ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিলেন ঠোঙ্গা তৈরীর কারিগররা। সরকারিভাবে পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ায় আবার চাহিদা বেড়েছে কাগজের তৈরি ঠোঙার।দিনরাত এক করে ঠোঙা তৈরি করে এখন সংসারের সুখের মুখ দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়ার, ঘাটাল, চন্দ্রকোনার ঠোঙ্গা তৈরীর কারিগরেরা। একেই বলে কারো সর্বনাশ,কারো পৌষ মাস।

যদিও প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় গ্রামগঞ্জ ছাড়াও মফস্বল এরিয়ার মানুষেরা সারাদিন কাজের পর সন্ধ্যা বেলায় হাত খালি হলেই পুরনো খবরের কাগজ কেটে রীতিমতো ঠোঙ্গা তৈরি করে বসে যেত পরিবারের আর দু পয়সা উপার্জনের জন্য। আর এই ঠোঙ্গা তৈরি করতে পরিবারের মা -পিসিমা- জেঠিমাদের সঙ্গে হাত লাগাতো বাড়ির বৌমা ও নাতি নাতনিরা।

এভাবেই বংশপরম্পরায় এই কাগজের ঠোঙ্গা বাঁচিয়ে রেখেছে বহু মানুষ কিন্তু প্লাস্টিক ও পলিথিনের যুগে তা অবলুপ্ত হওয়ার পথে ছিল। তবে গ্লোবাল ওয়ারমিং ও নালা নর্দমা বন্ধের জেরে প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পৌরসভা। তাই এই ঠোঙ্গার  প্রচলন ফের বাড়তে চলেছে এই শহর ও জেলা জুড়ে।