Categories
লাইফস্টাইল

চুলের পরিচর্যায় গোলাপজলের এই নিয়মে ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে রেশমি, নরম ও চকচকে

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ঘরোয়া রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার সুপ্রাচীন কাল থেকেই সুবিদিত। মিশরের ক্লিওপেট্রা থেকে শুরু করে আমাদের সাধারণ বাড়ির মা কাকিমারাও আমাদের ছোট থেকেই ত্বক ভালো রাখতে, জেল্লা বাড়াতে গোলাপ জলের ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এমনকি নানা প্রসাধনি তৈরিতেও গোলাপ জলের ব্যবহার অনস্বীকার্য। তবে আজ আমি আপনাদের বলব, শুধু ত্বক নয় চুলের পরিচর্যাতেও গোলাপজলের অনেক গুনাগুন রয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন চুলের চর্চাতেও গোলাপ জলের জুড়ি মেলা ভার। তবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, সেই নিয়ম অনুসরণ করে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারলে চুল হয়ে উঠবে একদম সিনেমার নায়িকাদের মতন রেশমি নরম, সুন্দর ও প্রাণোচ্ছ্বল।

একথা অনেকেই জানে যে, ত্বকের পি এইচ ভারসাম্যকে রক্ষা করে গোলাপজল। তাই রোজ ওয়াটার টোনার রূপচর্চার একটি বিশেষ অঙ্গ। কিন্তু এই একই কাজ গোলাপজল চুলের ক্ষেত্রেও করে থাকে। আমাদের মাথার স্ক্যাল্পের পি এইচের ভারসাম্যকে ধরে রাখে গোলাপজল, চুলকে মজবুত করে তোলে, তার সাথে নির্জীব নিষ্প্রাণ চুলে আনে সজীবতার ছোঁয়া। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে’র একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, গোলাপের পাপড়ির নির্যাসে থাকে প্রদাহ বিরোধী উপাদান যা আমাদের স্ক্যাল্পের চুলকানি বা অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে, জ্বালা ভাব কমায়, খুশকির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করে, স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

বাড়িতে খুব সহজেই রোজ ওয়াটার হেয়ার স্প্রে বানিয়ে স্প্রে বোতলে করে রেখে দেওয়া যায়। কোঁকড়ানো চুল অথবা ফ্রিজি চুল হলে প্রতিদিন এই রোজ ওয়াটার হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। প্রত্যহ বাইরে বেরোনোর সময় ব্যাগে করে এই ছোট্ট স্প্রে বোতলটি রেখে দেওয়া যায়। সারাদিন বাইরে থাকার সময় চুল ফ্রিজি হয়ে গেলে চুলে রোজ ওয়াটার স্প্রে করে নিন। ফ্রিজিভাব কেটে যাবে, উপকারও পাবেন।

এক্ষেত্রে বলা যায় বাজার চলতি গোলাপজল ব্যবহার করাই যায়, তবে বাড়িতে তৈরি করা গোলাপ জলের কিন্তু কোনো তুলনা হয় না। তবে বাজার চলতি গোলাপজল ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখবেন সেটি যেন সালফার, প্যারাবেন, এবং টক্সিন মুক্ত হয়। আর বাড়িতে তৈরি গোলাপজল একমাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো শীতল এবং শুকনো স্থানে রাখলে ঘরে তৈরি গোলাপজল অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

উল্লেখ্য, স্ক্যাল্প বা চুলের কোনো চিকিৎসা চললে গোলাপজল ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বিশেষভাবে জরুরী। গোলাপজলের ব্যবহার বিধি প্রসঙ্গে বলা যায়, গোলাপজল বিবিধভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনো হেয়ার প্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগানো যেতে পারে, গোলাপজল এমনিও স্ক্যাল্পে স্প্রের মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে।

গোলাপজল তৈরি করতে প্রধানতঃ তিনটি উপাদান লাগে। অর্গানিক গোলাপ, স্প্রে বোতল, ডিস্টিলড ওয়াটার। তৈরীর প্রক্রিয়াটিও বেশ সহজ। প্রথমে গোলাপের সব পাপড়িগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খুব হালকা হাত সওয়া গরম জলে ধুয়ে ফেলতে হবে, যাতে পাপড়িতে লেগে থাকা কোনোরকম কৃত্রিম রং ধুয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর পাপড়িগুলো ডিস্টিলড ওয়াটারে সম্পূর্ণ ডুবিয়ে ২৫ মিনিট হালকা আঁচে গরম করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না জলটির রং বদল হয়ে হালকা গোলাপি বর্ণ ধারণ করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর জল ছেঁকে পাপড়িগুলো আলাদা করে নিয়ে ফেলে দিতে হবে। আর জলটিকে একটি কাচের বোতলে সংরক্ষিত করে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনমতো স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করুন।

Categories
লাইফস্টাইল

রূপচর্চায় যোগ করুন এই ৫টি সহজ টিপস, আর শীতকালেও পেয়ে যান চকচকে উজ্জ্বল কোমল ত্বক 

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :- প্রতিদিন নিয়ম মেনে মাত্র ৫টি কাজ করলে শীতে ত্বক থাকবে টানটান, মসৃণ এবং তারুণ্যময়। শীতকাল সকলেরই খুব প্রিয় গরমের প্যাচপ্যাচে ঘাম এবং ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার আদর্শ সময় হল এই শীতকাল। হরেক রকম সবজি, ফলমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব, মেলা, ভ্রমণ এই সব কিছুরই সবথেকে উপযুক্ত সময় হল এই শীতকাল। কিন্তু সব আনন্দের সাথে সাথেই সমস্যা বয়ে আনে আমাদের ত্বক। বিশেষতঃ যাদের রুক্ষ ত্বক তারা শীতে বড় বেশি নাজেহাল হয়ে পড়ে।

কিছুতেই ত্বকের রুক্ষতা শুষ্কতাকে দূর করতে পারে না। অথচ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে না পারলে পড়বে অসময়ে বার্ধক্যের ছাপ, আসবে নানান সমস্যা। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক যত্ন না নিতে পারলে ত্বক তার নিজস্ব আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। শুরু হয় নানান সমস্যা। এই সময়ে প্রয়োজন বিশেষ যত্নের যা প্রিয় ত্বককে মাধুর্যে ভরিয়ে রাখবে। তার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৫টি জরুরী টিপসের। সেগুলি হল :-

১) গরম ঠান্ডা জলে মুখ ধোয়া :- শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই জল খুবই ঠান্ডা থাকে। এই ঠান্ডা জলে কখনোই সরাসরি মুখ ধোয়া উচিত নয়। এতে ঠান্ডাও লেগে যেতে পারে। আবার ত্বকেরও ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা অথবা অতিরিক্ত গরম কোনো জলই ত্বকের জন্য সঠিক নয়। তাই মুখ ধোয়ার জন্য সবসময়ই ঠান্ডা জলের সঙ্গে হালকা গরম জল মিশিয়ে একটি মাঝামাঝি উষ্ণতার জল প্রস্তুত করে সেই জলে মুখ ধুতে হবে। এতে ঠান্ডাও লাগে না আর ত্বকের জন্যেও খুব উপকার হয়।

২) ত্বকের উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে :- ত্বকের যত্নে সারা বছরই ময়েশ্চারাইজার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। কিন্তু সারা বছর সাধারণ তাপমাত্রায় যে ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়, শীতকালে কিন্তু সেই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে চলবে না। তার থেকে একটু ভারী ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বকে ক্রিম বেস ময়েশ্চারাইজার এবং তৈলাক্ত ত্বকে জেল বেস ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সারাদিনে ২ বার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

৩) অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন কখনোই নয় :- ত্বক ভালো রাখার জন্য এক্সফোলিয়েশনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু শীতকালে শুষ্ক ত্বকে এই এক্সফোলিয়েশন বেশি না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করলেই যথেষ্ট। তৈলাক্ত ত্বক অথবা মিশ্র ত্বকেও সপ্তাহে অন্তত একবার এক্সফোলিয়েট করতে হবে। তবে এক্সফোলিয়েশনের সময় লক্ষ্য রাখবেন, অতিরিক্ত জোরে জোরে মুখের চামড়ায় ঘষবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

৪) সানস্ক্রিন ছাড়া কখনোই রোদে যাওয়া নয় :- শীতের মিঠে রোদ গায়ে মাখতে ভালোবাসে না এমন কোনো মানুষ নেই। আবার রোদে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও বিশেষভাবে প্রয়োজন। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে, শীতে রোদে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে বেরোতে হবে। তা না হলে কিন্তু রোদ ত্বকের বিশেষ ক্ষতি করবে। কারণ শীতকালেই মানুষের অতিরিক্ত ট্যানিং-এর সমস্যা হয়।

৫) শরীরকে সবসময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে :- সবকিছুর মধ্যে হাইড্রেটেড থাকাটা খুব জরুরী। সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার জল অবশ্যই পান করুন। সারাদিনের এই ৩ লিটার জল আপনার ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রাখবে। এছাড়াও যদি সম্ভব হয় বাড়িতে একটি হিউমিডিফায়ার ইন্সটল করতে পারেন। এটি ঘরের ভিতরের আর্দ্রতাকে ধরে রেখে ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে।

সবশেষে মনে রাখবেন, সারা বছরই ত্বকের যত্ন নেওয়া ভীষণ প্রয়োজন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সারাদিন ধরে স্কিন কেয়ার বা অতিরিক্ত বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নিতে থাকবেন। কারণ কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। অতিরিক্ত ত্বকের যত্নও কিন্তু ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক।

Categories
লাইফস্টাইল

লিভ ইন সম্পর্কের ভাঙনে সঙ্গীর বিরুদ্ধে আনা যাবে না ধর্ষণের অভিযোগ, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- লিভ ইনে স্বেচ্ছায় একত্রবাস করলে সম্পর্কের ভাঙনে সঙ্গীর বিরুদ্ধে আনা যাবে না ধর্ষণের অভিযোগ, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কোনও মহিলা যদি স্বেচ্ছায় কোনও পুরুষের সঙ্গে সহবাস করেন, তবে সম্পর্ক ভেঙে গেলে মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে পারেন না, সহবাস সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিযুক্তের জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিক্রম নাথের বেঞ্চ।

মামলা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেন এক মহিলা। মহিলার অভিযোগ, বছর চারেক আগে ২১ বছর বয়সে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও হয়। ১৯ মে রাজস্থান হাই কোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন অভিযুক্ত। কিন্তু রাজস্থান হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি।

 

‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর খবর অনুযায়ী দুই বিচারপতি জানিয়েছেন, “অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। তাই এখন সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সময় ওই সম্পর্ক ৩৭৬(২)(এন) ধারায় এফআইআর দায়ের করার ভিত্তি হতে পারে না”। এই মর্মে অভিযুক্তের জামিনও মঞ্জুর করেছে সর্বোচ্চ আদালত। তবে আদালত এও জানিয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধু আগাম জামিন সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাকি তদন্ত নিজের পথেই চলবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।

Categories
লাইফস্টাইল

অপরাধের নতুন ইতিহাস! সঙ্গীনির সন্তান চাই, বন্ধুর গর্ভনিরোধকে ফুটো করে বীর্য চুরির অপরাধে জেল!

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- শুধু বন্ধু ছিলেন, প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন না। তবে শারীরিক চাহিদায় মাঝে মাঝেই মিলিত হতেন দু’জনে। কিন্তু বছর ঊনচল্লিশের মহিলা শুধু ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস’ হয়ে থাকতে চাননি। তাই মা হতে পুরুষ সঙ্গীর অজান্তেই ছিদ্র করে রেখেছিলেন গর্ভ নিরোধকে। শেষ পর্যন্ত বীর্য চুরির অপরাধে ছয় মাসের হাজতবাসের সাজা হল এক মহিলার।

 

এমন‌ই আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটেছে, পশ্চিম জার্মানির বেলিফিল্ডে। ঘটনাক্রমে জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকেই ৪২ বছর বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ওই মহিলার। প্রথমে দু’জনেই স্থির করেন কেবল যৌনতা ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না তাঁদের মধ্যে। সেই মতো বারংবার মিলিত হতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই তাল কাটে। আদালতে মহিলা জানিয়েছেন, কিছু দিন পর থেকেই সঙ্গীর প্রতি ‘বিশেষ অনুভূতি’ জন্মাতে থাকে তাঁর। কিন্তু পুরুষসঙ্গী আর এগোতে চাননি।

 

তারপরই গর্ভ নিরোধকে ছিদ্র করার ফন্দি আঁটেন ওই মহিলা। হোয়াটসঅ্যাপ মারফত সঙ্গীকে জানান তিনি অন্তঃসত্ত্বা। একই সঙ্গে জানান কী ভাবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। যদিও জানা গিয়েছে মহিলা আদৌ অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন না। বিষয়টি জানা মাত্র ধর্ষণের অভিযোগ করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পুরুষ সঙ্গীটি। পরে ধর্ষণের অভিযোগ বদলে যৌন নিগ্রহ ও চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে করা হয় মামলায়। আদালতে নিজের কীর্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত ওই মহিলা। সাজা শোনানোর সময় বিচারক জানান, দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল, তাই এই রায়ের মধ্যে দিয়ে কার্যত ইতিহাস তৈরি করলেন তাঁরা।

Categories
লাইফস্টাইল

‘এক নয়, দু’জোড়া বাবা মা’! বহুগামী সম্পর্কের জেরে একই বাড়িতে বাস দুই দম্পতির, কোন সন্তানের বাবা কে, জানেন না কেউই

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- দুই বধূর আলাপ নেটমাধ্যমে। ক্রমে দু’জনের পরিচয় হয় পরস্পরের স্বামীর সঙ্গেও। অল্প দিনের মধ্যেই দুই দম্পতির বন্ধুত্ব গাঢ় হয়ে ওঠে। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই তাঁরা বুঝতে পারেন সম্পর্ক শুধু আর বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ নেই। শেষ পর্যন্ত দুই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন একই সঙ্গে, একই বাড়িতে থাকবেন চারজন। সেই থেকেই একই ছাদের তলায় থাকছেন চারজন। দুই বধূও পরস্পরের স্বামীর সঙ্গে লিপ্ত হয়েছেন শারীরিক সম্পর্কে। দুই বধূই মা হয়েছেন। কিন্তু কোন সন্তানের বাবা কে, তা নিয়ে নিশ্চিত নন চারজনের কেউই!

 

আমেরিকার অরেগন প্রদেশের ঘটনা। দুই বধূ টায়া হার্টলেস ও অ্যালিসিয়া রজার্স এবং তাঁদের স্বামী সিন ও টাইলার নিজেরাই খোলাখুলি ভাবে জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি। সন্তানদের পিতৃপরিচয় নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন কেউই। ২৭ বছর বয়সি টায়া জানিয়েছেন, তাঁরা আসলে একটি বড় পরিবার, বাবা মা হিসেবেও তাঁরা একই সঙ্গে সব দায়িত্ব পালন করবেন।

 

দুই দম্পতি জানাচ্ছেন, প্রথমে কিছুটা সঙ্কোচ থাকলেও, মনের কথা লুকিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না কারও পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের শুরুতে একই সঙ্গে থাকা শুরু করেন তাঁরা। এই সম্পর্কের আগেও অবশ্য দুই দম্পতির সন্তান ছিল। কিন্তু একসঙ্গে থাকার পর, ফের এক বার মা হতে ইচ্ছে হয় দুই বধূর। তার পরই সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত। দুই দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথম দুই সন্তান এখন গর্ব করে বলে যে, “তাদের এক নয়, দু’জোড়া বাবা মা”!

Categories
লাইফস্টাইল

বিশ্বের সবচেয়ে ‘খুশি’র দেশ ফিনল্যান্ড, তালিকায় পাকিস্তান-বাংলাদেশের পরে ভারতে’র স্থান!

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- মানুষের নিজস্ব খুশির মূল্যায়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং সামাজিক তথ্য-সহ নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রসংঘ তৈরি করে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা ‘সুখী’ দেশের তালিকা। এটি শূন্য থেকে ১০ স্কেলে একটি সুখের রেটিং নির্ধারণ করে, যা তিন বছর সময়ের ডেটার গড়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি। আর এখানেই সমৃদ্ধিতে সর্বাধিক বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে সার্বিয়া, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া। অর্থনৈতিক পতনের সম্মুখীন লেবানন রয়েছে ১৪৫ নম্বরে। টানা পঞ্চমবার রাষ্ট্রসংঘের বার্ষিক সূচকে ফিনল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

 

তার ঠিক উপরে রয়েছে জিম্বাবোয়ে (১৪৪)। সবচেয়ে অসুখী দেশে হিসাবে তালিকায় স্থান পেয়েছে আফগানিস্তান। ১৪৬টি দেশের সূচকে শেষ স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। গত আগস্টে তালিবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। ইউনিসেফ অনুমান করেছে যে, চিকিৎসা না পেলে পাঁচ বছরের কম বয়সি এক মিলিয়ন শিশু এই শীতে অনাহারে মারা যেতে পারে। গত বছরের তালিকায় ভারতের অবস্থান ছিল ১৩৯ নম্বরে। চলতি বছরে সামান‌্য উন্নতি ঘটিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (৯৯) ও পাকিস্তানের (১০৩) পরে ১৩৬ নম্বরে রয়েছে ভারত।

 

যদিও এই হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা World Happiness Report 2022 অবশ্য তৈরি হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের আগে। উত্তর ইউরোপীয়রা বরাবরই সুখের ব্যাপারে তালিকার উপরের দিকে আধিপত্য বিস্তার করে। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস গড়ে সুখী দেশ। সুখের ব্যাপারে আমেরিকা তিন ধাপ উঠে ১৬তম স্থানে এসেছে। তারা ব্রিটেনের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। ফ্রান্স উঠে এসেছে ২০ নম্বরে। কোভিডের আগে এবং পরে মানুষের আবেগ তুলনা করার জন্য সামাজিক মিডিয়া থেকে ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮টি দেশে উদ্বেগ এবং দুঃখ বেড়েছে। তবে রাগের অনুভূতি হ্রাস পেয়েছে।

 

✴️একনজরে দেখেনিন বিশ্বের প্রথম ১০ সুখী দেশের নাম:-
১. ফিনল্যান্ড
২. ডেনমার্ক
৩. আইসল্যান্ড
৪. সুইজারল্যান্ড
৫. ন্যাদারল্যান্ডস
৬. লাক্সেমবার্গ
৭. সুইডেন
৮. নরওয়ে
৯. ইজরায়েল
১০. নিউজিল্যান্ড

Categories
লাইফস্টাইল

ঘরে বসেই কাজ করতে চাইছেন ভারতীয়রা! এমন‌ই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল সমীক্ষায়

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- প্রায় দু-বছরের করোনা যেরে অভ্যাসের ক্ষেত্রে বেশ বড়সড় বদল ঘটেছে। মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে, নিজেদের কমফোর্ট জোন হিসেবে ঘরে বসে কাজ করতেই বেশি পছন্দ করছেন। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল সমীক্ষায়। ভারতের চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি খুঁজছেন ওয়াক ফ্রম হোমের জন্য, অফিসে গিয়ে কাজ করাকে অনেকেই পছন্দ করছেন না।

 

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীরা বাড়ি থেকে স্থায়ী কাজের বিকল্প প্রদানকারী সংস্থাগুলি বেছে নিতে পছন্দ করেছেন। কোভিড-১৯ মহামারীতে বহু মানুষ বাড়িতে বসে কাজ করাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের বলে মনে করছেন। Naukri.com-এর মতে, চাকরির প্ল্যাটফর্মটিতে গত বছরের জুলাই থেকে প্রায় ৯৩ হাজার স্থায়ী এবং অস্থায়ী দূরবর্তী চাকরি তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে, ২২ শতাংশ চাকরি শুধুমাত্র স্থায়ী দূরবর্তী কাজের জন্য ছিল। গত ছয় মাসে, Naukri.com ভারতীয় চাকরিপ্রার্থীরা স্থায়ী এবং অস্থায়ী দূরবর্তী চাকরির জন্য ৩২ লাখ চাকরির সন্ধান করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ অনুসন্ধান একই সময়ে স্থায়ী দূরবর্তী চাকরির জন্য করা হয়েছিল, সর্বোচ্চ অনুসন্ধান ৩.৫ লক্ষেরও বেশি শুধুমাত্র ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে করা হয়েছিল।

 

সাধারণভাবে, বড় এবং ছোট উভয় কোম্পানি তিন ধরনের চাকরি যেমন নিয়মিত চাকরি, বাড়িতে থেকে অস্থায়ী কাজ এবং সম্পূর্ণ দূরবর্তী চাকরি পোস্ট করেছে। তথ্য অনুযায়ী, আইটি সফটওয়্যার, সফটওয়্যার পরিষেবা, আইটিইএস এবং নিয়োগ/স্টাফিং সেক্টরগুলি স্থায়ীভাবে দূরবর্তী চাকরি পোস্ট করছে। যে কয়েকটি কোম্পানি অস্থায়ী এবং স্থায়ী দূরবর্তী উভয় ধরনের চাকরি পোস্ট করছে তারা হল অ্যামাজন, টেক মাহিন্দ্ৰা, এইচসিএল, পিডব্লিউসি, ট্রিজেন্ট, ফ্লিপকার্ট, সিমেন্স, ডেলয়েট, ওরাকল, জেনসার, টিসিএস, ক্যাপজেমিনি ইত্যাদি।

Categories
লাইফস্টাইল

দাম্পত্যের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন স্বামীর অধিকারের মধ্যে পড়ে না, জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- ‘স্ত্রী কোনওভােবই স্বামীর সম্পত্তি নন’ সুপ্রিমকোর্টের এই পর্যবেক্ষনের উপর ভিত্তি করে দিল দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়ে দিল বিয়ের পরেও স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন স্বামীর অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কখনওই যৌন সম্পর্কের জন্য জোর করা যায় না সঙ্গীকে। এমনকী, দাম্পত্যের ক্ষেত্রেও সঙ্গম করার অধিকার ফলানো যায় না সঙ্গীর কাছে। সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল দিল্লি হাই কোর্ট। বিচারপতি সি হরি শংকর বলেন, “এমনকী বিয়ের ক্ষেত্রেও আমরা যৌন সম্পর্ক নিয়ে যতই উঁচু প্রত্যাশা রাখি না কেন, আপনি কখনও সঙ্গীর কাছে যৌন মিলনের অধিকার দাবি করতে পারেন না”।

 

উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে আদালতে। ওই ধারায় স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের বেশি হলে তার সঙ্গে বলপূর্বক সঙ্গমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই ওই পিটিশনগুলি জমা পড়েছে। বৈবাহিক ধর্ষণকে ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করার আরজি জানিয়ে জমা পড়া একাধিক পিটিশনের শুনানি শুরু হয় গত সপ্তাহে। সেই পিটিশনের শুনানিতেই আদালত এই মন্তব্য করেছে।

 

এই মামলায় ‘অ্যামিকাস কিউরি’ তথা নিরপেক্ষ পরামর্শদাতার দায়িত্বে থাকা রেবেকা জন বলেন, “বিয়েতে যৌন সম্পর্কের ন্যায্য প্রত্যাশা থাকেই। প্রত্যাশা কখনও শাস্তিযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু প্রত্যাশা থেকে যদি জবরদস্তি ও বলপ্রয়োগ করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সেটা অবশ্যই অপরাধ”। স্ত্রীর সম্মতির বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হচ্ছে বলে তিনি আদালতকে জানান।

 

এর আগে গত মাসে গুজরাট হাই কোর্ট দাম্পত্য বিবাদের একটি মামলার শুনানিতে জানিয়েছিল, স্ত্রীকে কখনও যৌন সম্পর্কে বাধ্য করতে পারেন না স্বামী। তারও আগে মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল, স্ত্রী কোনওভােবই স্বামীর সম্পত্তি নন। তাই তাঁকে জোর করে সঙ্গম কিংবা কোনও বৈবাহিক দায়িত্বে পালনের জন্যই বাধ্য করতে পারেন না স্বামী।

Categories
লাইফস্টাইল

হঠাৎ ফেসবুক জুড়ে ভাইরাল “১১৭৬ হরে কৃষ্ণ”! শুধুই কি ট্রেন্ড নাকি ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি..? আসল রহস্য কী..?

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- কখনও ডালগোনা কফি তো কখনও আবার শাড়ি-নারী চ্যালেঞ্জ। কেউ কেউ তো ঘর মোছা, ঝাঁট দেওয়াকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করেছিল। করোনার তৃতীয় ঢেউতে সকলে যখন প্রায় ঘরবন্দি, ঠিক তখন ফেসবুক জুড়ে ফের নতুন ট্রেন্ডের আবির্ভাব। ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ছে চার অঙ্কের একটি সংখ্যা-১১৭৬। সঙ্গে লেখা হরে কৃষ্ণ। কেউ জেনে বুঝে ওয়ালে লিখছেন এসব। কেউ আবার না বুঝেই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী?

 

করোনার দাপাদাপিতে আবার সকলে প্রায় ঘরবন্দি। ল্যাপটপ-মোবাইলে মুখ গুঁজে কেটে যাচ্ছে সময়। এমন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি! অন্তত তেমনটাই দাবি করছেন একদল নেটিজেন। ১১৭৬ হরে কৃষ্ণ শব্দটা নাকি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি এই শব্দবন্ধ লিখলেই হয়ে যাচ্ছে ইচ্ছেপূরণ। কেউ কেউ অবশ্য মানতে রাজি নয়।

 

কেউ কেউ বলছেন, আসলে ১১৭৬ নম্বরটি হল একটি ‘অ্যাঞ্জেল’নম্বর ৷ এই নম্বর ‘উইশ’ বা মনের ইচ্ছে পূরণ করার ক্ষমতা রাখে। নেটিজেনদের দাবি, এই সংখ্যা এবং শব্দবন্ধ লিখে কেউ যদি মনের ইচ্ছা জানায়, তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নাকি সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। আর এই ধারণা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল ভরে গিয়েছে এই শব্দ বন্ধে। ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার চলছে হাসিঠাট্টা। যাঁরা এই পোস্ট করছেন, তাদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না নেটিজেনরা।

 

কিন্তু এই ‘ইচ্ছেপূরণের চাবিকাঠি’ নম্বর নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে রাজি নন অনেকেই। তাঁদের দাবি, জ্যোতিষশাস্ত্র এবং নিউমেরোলজি অনুযায়ী ১১৭৬ নম্বরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাঞ্জেল নম্বর। কী এই অ্যাঞ্জেল নম্বর? নিউমেরোলজি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “অঙ্কশাস্ত্রে বেশকিছু নম্বর আছে যাদের বিশেষ ধরনের ক্ষমতা আছে। যে নম্বরগুলো দেখলে বা মন্ত্রোচ্চারণের মতো করে পড়লে জীবনে কিছু ভাল ঘটনা ঘটে। মনস্কামনা পূর্ণ হয়”। তাঁদের আরও দাবি, ওই সংখ্যা সারাদিন জপ করে মনের ইচ্ছের কথা বলতে হয়। তাহলেই মিলে যায় সেই কাম্য বস্তু।

 

১১৭৬ হরে কৃষ্ণ আসলে কি…?
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র হল ১১৭৬ শব্দের একটি মন্ত্র যা রঘুনন্দন ভট্টাচার্য রচিত কলি-সন্তরণ উপনিষদে বর্ণিত, এবং যা ষোড়শ শতাব্দীর সময় থেকে চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষণের মাধ্যমে ভক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মন্ত্রটি পরম সত্তার তিনটি সংস্কৃত নাম দ্বারা রচিত। গীতাতে উল্লেখ করা আছে যদি কেউ মন্ত্রটি না বলে হরে কৃষ্ণ বা রাধা কৃষ্ণর আগে ১১৭৬ পাঠ করে তাহলে সেই ব্যক্তি সিদ্ধি লাভ করতে পারে বা মনের বাসনা পূর্ণ হবার সম্ভবনা থাকে। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। নেটিজেনরা এই দাবি মানুন আর না মানুন, সংখ্যা পোস্ট করে চলেছেন তাঁরা।

Categories
লাইফস্টাইল

পরকীয়া: কোন পেশার মানুষ সবচেয়ে বেশি আগ্রহী..? সমীক্ষার শীর্ষে চিকিৎসক-নার্সরা, সবশেষে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক:- যত দিন যাচ্ছে, পরকীয়া যেন নতুন নতুন রূপ পাচ্ছে। তবে সবার দ্বারা কিন্তু পরকীয়া হয় না। অনেকের মনে মনে ইচ্ছে থাকলেও, সাহস করে পা বাড়তে পারেন না। সম্প্রতি পরকীয়া নিয়ে এক সমীক্ষা করেছে জনপ্রিয় একটি ডেটিং সাইট। যে সমীক্ষায় দেখা হয়েছে, ঠিক কোন কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা এই পরকীয়া নামক সমাজের চোখে জঘন্য অপরাধে জড়িয়ে পড়েন সবচেয়ে বেশি। সমীক্ষায় সামনে এসেছে অবাক করা এক তথ্য। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১২ টি পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মধ্যেই পরকীয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

 

পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে শীর্ষে রয়েছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডাক্তার ও নার্স একসঙ্গে অনেকক্ষণ কাজ করেন। বহু সময়ই নানা মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাঁদের। সেই কারণে নার্স ও চিকিৎসকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরকীয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।

 

এরপরেই রয়েছেন শিক্ষক বা প্রফেসর পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। এক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে, একসঙ্গে বেশিক্ষণ অফিসে থাকা ও মানসিক চাপই এই ধরনের প্রেমে এগিয়ে দেয় মানুষকে। শুধু তাই নয়, চোখের উপর স্কুল বা কলেজে পড়ুয়াদের প্রেম দেখার ফলেও, অনেকে নাকি প্রেমে পড়েন নতুন করে।

 

এরপরেই রয়েছে অর্থনীতিবিদ। সমীক্ষা অনুয়ায়ী, এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ৯ শতাংশ ব্যক্তি পরকীয়ায় আগ্রহী। এর পর তালিকায় একে একে উঠে এসেছে আইটি কর্মী, বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি থেকে শুরু করে খেলার জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও উকিলরা। সবশেষে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা।