Categories
রাজনীতি

মেদিনীপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে লাগু হলো আদর্শ আচরণ বিধি

বেঙ্গল সমাচার,নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :-

মেদিনীপুর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে লাগু হলো আদর্শ আচরণ বিধি l মেদিনীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচন ১৩ নভেম্বর। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ । প্রত্যাহার করার শেষ দিন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শাসকের অফিসের  সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা শাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক খুরশেদ আলি কাদেরি এবং রিটার্নিং অফিসার মধুমিতা মুখার্জি জানান, মোট ভোটার রয়েছেন ২৯১৬৪৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১৪৮১০০ জন । মোট বুথের সংখ্যা ৩০৪ টি। প্রতিটি বুথেই ওয়েব কাস্টিং হবে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইতিমধ্যেই লাগু হয়ে গেছে আদর্শ আচরণ বিধি। ৩ টে নাকা চেকিং করা হয়েছে। ফ্লাইং স্কোয়াড , স্যটাটিক সারভাইলেন্স টিম কাজ শুরু করে দিয়েছে। ৮৫ বছর বয়সী ২৬০৭ জন বয়স্ক ভোটারের এবং ৭৮২ জন প্রতিবন্ধী ভোটারের বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণ করা হবে।

মেদিনীপুর পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড , মেদিনীপুর সদর ব্লকের ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শালবনি ব্লকের ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটাররা ভোট দেবেন। মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জুন মালিয়া তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জুন মালিয়া সাংসদ হবার পর বিধায়ক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন করাতে হয়। যদিও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের ছয় কেন্দ্রে বিধানসভা উপ নির্বাচন ঘোষণা করে দিলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের শাসকদল ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই সমস্ত রাজনীতির দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করবে l

Categories
রাজনীতি

সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত হলেন বলরাম মন্ডল

বিশ্বনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর :-

সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুরের নুতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত হলেন  বলরাম মন্ডল। সংগঠনের চেয়ারম্যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্য সভাপতি দেবব্রত সরকার ( গগন ) বলরাম মন্ডলকে এই দায়িত্ব প্রদান করেন।

লোকসভা ভোটের আগে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং জেলার কলেজগুলিতে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে এই পদক্ষেপ বলে সংগঠন সূত্রে খবর l

নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি  বলরাম মন্ডল

নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি  বলরাম মন্ডল বলেন “রাজ‍্য নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই, আমাকে যে দায়িত্ব   দেওয়া হয়েছে তা সততা ও  দক্ষতার সাথে পালন করবো,  উচ্চ নেতৃত্ব বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ওপর আস্থা রাখায় আন্তরিকভাবে খুশি”।

Categories
রাজনীতি

তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হল, জেনে নিন কে কোন দায়িত্ব পেলেন!

বিশ্বনাথ দাস, মেদিনীপুর :-

সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো l সংগঠন সূত্রে খবর আর কয়েক মাস পরেই লোকসভার নির্বাচন তাই সংগঠনের কাজে গতি আনতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করা হয়েছে l

দীর্ঘদিনের লড়াকু প্রাক্তন ছাত্র নেতাদেরকেই শিক্ষা বন্ধুর সমিতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়েছে l সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের সভাপতি হয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ দিন্দা, সাধারণ সম্পাদক প্রতীক দে সহ 21 জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে l

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক প্রতীক দে জানান ” মাননীয়া দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুব সমাজের আইকন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি ও আদর্শকে অনুসরণ করে সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ” l

Categories
রাজনীতি

বাংলার পর এবার দিল্লির পদও হারালেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

২০২১ বিধানসভায় বাংলার হারের পর হারিয়েছিল রাজ্য সভাপতির পদ, এবার দিল্লিতে পদ হারালেন দিলীপ ঘোষ। বাংলায় বিজেপি-কে শূন্য থেকে লড়ার মত নিয়ে যাওয়া মেদিনীপুরের সাংসদ বাংলার পর জাতীয় স্তরেও আসন হারালেন। একটা সময় বাংলা বিজেপির শেষ কথা দিলীপ এখন পদ হারাতে হারাতে বেশ কিছুটা তলিয়ে গেলেন। দিলীপ মানেই বঙ্গ বিজেপি, এমন একটা ধারনা ভেঙে ছিল কয়েক বছর আগে, এবার কার্যত ‘সান্তনা পুরস্কারও হারালেন দিলীপ। মেদিনীপুরের সাংসদ এবার তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারকে কোন পথে নিয়ে যান সেটা নিয়ে জল্পনা। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেও দিলীপ সেভাবে ভাল জায়গায় নেই। সম্প্রতি শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে মেদিনীপুর লোকসভায় একেবারে খারাপ ফল করে পদ্মশিবির। পঞ্চায়েতে দিলীপের নিজের এলাকাতেও হেরেছিল পদ্ম-শিবির।

লোকসভা নির্বাচনের জাতীয় স্তরে বিজেপির সংগঠনে বড় বদল এল। তাতে বাদ পড়লেন দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় পদে থাকলেন একমাত্র বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সচিব হিসেবে নাম আছে অনুপমের।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফলের পর বাংলায় রাজ্য সভাপতির পদ হারান দিলীপ ঘোষ। এরপর তাঁকে দিল্লিতে সাম্মানিক পদ দিয়েছিল বিজেপি। যাতে বাংলায় বিজেপিকে শূন্য থেকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়া দিলীপের ক্ষোভ কমে। অমিত শাহ-র ইচ্ছায় দিলীপ ঘোষকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছিল। যে পদে থেকে বড় কিছু ভূমিকা না থাকলেও সম্মানের দিক থেকে বড় ছিল। বছর দুয়েক আগে বাংলার দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদার আসার পর থেকে ক্রমশ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ভিন রাজ্যের কিছু ভোটে দল তাঁকে দিয়ে সভা করলেও সেভাবে বড় দায়িত্ব পাননি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি থাকলেও সেভাবে করে দেখানোর সুযোগ পাননি দিলীপ। ২০২১ বিধানসভার পর বাংলায় বিজেপি যত দুর্বল হয়েছে, দিল্লিতে ততই গুরুত্ব হারিয়েছেন দিলীপ। দিলীপের বদলে উচ্চ শিক্ষিত, মার্জিত, ঠান্ডা মাথা তৃণমূল থেকে দলে আসা অনুপমকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাইছে পদ্ম শিবির।

দিলীপের নেতৃত্বেই ২০১৯ লোকসভায় বাংলা থেকে রেকর্ড ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। তখন বিজেপির শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন দিলীপ। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা বাংলায় বহুবার এসে, রেকর্ড অর্থ খরচের পরেও দিলীপের নেতৃত্বে লড়ে বিজেপি মাত্র ৭৭টি আসন পায়। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা বাংলায় বহুবার এসে, রেকর্ড অর্থ খরচের পরেও দিলীপের নেতৃত্বে লড়ে বিজেপি মাত্র ৭৭টি আসন পায়।

Categories
রাজনীতি

ভোট পরবর্তী হিংসা পশ্চিম মেদিনীপুরে! বৃদ্ধ বিজেপি ইলেকশন এজেন্টকে মারধর তৃণমূলের

 বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, দাঁতন, ১৪ই জুলাই :

ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। দাঁতন এর তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

জানা গিয়েছি, আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে ও অভিযোগ। উল্লেখ্য দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল।

আর এরপরই বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ। যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলের কোথাও কোনো ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে না বলেই দাবি মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Categories
রাজনীতি

নির্বাচনে জেতা কি পাঁচ বছরের চাকরি ?” কমিশনকে কড়া ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, ১৩ ই জুলাই :

কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে কড়া ভর্ৎসনার মুখে পড়লো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ভোটগণনার দিন গণনাকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকা নিয়ে মহম্মদ শাহিন শেখ মামলা করেন। সেই মামলায় কমিশনকে কড়া বার্তা দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনে জেতা কি পাঁচ বছরের চাকরি!

মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন জাঙ্গিপাড়ার ডিএন হাই স্কুলের পাশে ফাঁকা ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। কিন্তু তাতে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছিল। মামলায় জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। তিনি এইদিন আদালতে উপস্থিত হয়ে এজলাসে জানান, তিনি প্রিসাইডিং অফিসারকে ব্যালট পেপারগুলি দিয়েছিলেন। তার পর আর সেগুলি তাঁর দায়িত্বে ছিল না। বিডিও-কে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারের তথ্য আদালতে জমা দিতে বলেন বিচারপতি।

এছাড়াও রাস্তায় উদ্ধার হওয়া ব্যালটগুলিতে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছিল তা উল্লেখ করে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তোলেন, সেইগুলির যে অপব্যবহার করা হয়নি তা কিভাবে নিশ্চিত করা হবে.? অন্যদিকে হাইকোর্টে এই মামলা গৃহীত হওয়াই উচিত নয় বলে সওয়াল করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। তখনই তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “কেন ভোটের পরেও রাজ্যে এত অশান্তি হচ্ছে?” পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অশান্তির বিষয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনে জেতাকে কেউ কেউ পাঁচ বছরের চাকরি বলে মনে করছেন। এটাই তাঁদের টাকা উপার্জনের মাধ্যম।

Categories
রাজনীতি

ব্যালট খেয়েও হল না শেষরক্ষা! ২০টি বুথের ভোট বাতিল কমিশনের

বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, ১৩ ই জুলাই :

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছিল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা। বুধবার তা শেষ হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাজ্যের ২০টি বুথে ভোট বাতিলের ঘোষণা করলো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ঐ বুথগুলিতে পুনরায় হবে নির্বাচন।

সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। কিন্তু তারপরেই ২০টি বুথে ভোট বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ব্যালট পেপার নষ্ট করায় রাজ্যের ২০টি বুথে পুনরায় পঞ্চায়েত ভোট হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

বাতিল এই বুথের তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-২ ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথ। যেখানে হারছেন দেখে তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি ব্যালট পেপার খেয়ে নেন। হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের মোট ১৫টি বুথের ভোট বাতিল করেছে কমিশন। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া-২ ব্লকের ৪টি ও হুগলির সিঙ্গুর ব্লকের ১টি বুথের ভোট বাতিল হয়েছে।

Categories
রাজনীতি

প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারি BJP ও ABVP এর  নেতার! ভাইরাল ভিডিও

বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, চন্দ্রকোনা,২ জুলাই :-

রাজ্য সড়কের ধারে প্রকাশ্য বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সাথে এবিভিপির জেলা নেতার হাতাহাতি মারধরের ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই শোরগোল চন্দ্রকোনায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবিভিপির জেলা নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও পরে উভয়ের মিটমাট হয়ে ছাড়া পেয়ে যায় বলে খবর। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল সমাচার, তবে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে এমনই মারধরের ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার গোঁসাইবাজার এলাকায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়কের ধারে। মারধরের সেই ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা। মারধরের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনজনকে, এদের মধ্যে একজন বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি, একজন তার অনুগামী বুবুন সামুই, অপরদিকে আর একজন যাকে দেখা গেছে তার নাম শুভেন্দু মালস। শুভেন্দু মালস পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এবিভিপি’র নেতা, SFD পদে রয়েছেন বলে জানা যায়। তিনজনেরই বাড়ি চন্দ্রকোনায়। জেলা নেতা সুদীপ কুশারি উপস্থিত থাকলেও মারধরের ঘটনাটি হয়েছে মুলত এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস ও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারির অনুগামী বুবুন সামুইয়ের সাথে। দুজনকে ছাড়াতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সুদীপ কুশারিও। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে শুভেন্দু মালস নামের এবিভিপি’র জেলা নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।

যদিও পরে অবশ্য উভয়ের মধ্যে মিটমাট করে নিলে এবিভিপি’র জেলা নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মারধরের ঘটনায় চোট লাগে বুবুন সামুই ও শুভেন্দু মালসের। চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাও করানো হয়। তবে কি কারণে বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সাথে এবিভিপি’র জেলা নেতার প্রকাশ্য এই মারধরের ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট না হলেও এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একে অপরের এলাকায় ঢোকাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিনের এই বিবাদ। আর তা থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান।

এবিষয়ে এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস বলেন,”আমাকে টাউনে ডেকেছিল যে টাউন আসলে দেখে নেবো বলে। আমি টাউনে একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম, হটাৎ দেখি সুদীপ কুশারি জেলা নেতৃত্ব ও বুবুন সামুই সেখানে আসে। সুদীপ কুশারির উপস্থিতিতে বুবুন সামুই আমাকে মারধর শুরু করে। তৃণমুল থেকে বিজেপিতে এসেছে সুদীপ কুশারি। বিজেপিতে এসে ছড়ি ঘুরাচ্ছে, তৃণমুলের গোপন আঁতাত রয়েছে সুদীপ কুশারির সে সম্পর্কে আমার কাছে প্রমান রয়েছে তাই হয়তো আমার ওপর এই হামলা করা হয়।” যদিও এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি। তিনি জানান, “দুজন নিজেদের ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল, আমরা ছিলাম, ছাড়িয়ে দিয়েছি। দুজনে বসে চা খেয়ে বাড়ি গেছে তেমন কিছু হয়নি, আর এগুলো নিয়ে যারা রাজনীতির রং চড়াতে চাইছে তারা ভুল করছে।” তবে বিজেপি ও এবিবিপির নেতাদের প্রকাশ্য এই মারধরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

Categories
রাজনীতি

বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মুখোমুখি একসময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মাওবাদী তকমা পাওয়া ঝাড়গ্রামের শিলাদিত্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, পীড়াকাঠা :-

১১ বছর আগের ঘটনা। অম্বিকেশ মহাপাত্রর পাশাপাশি আর একজনের নাম চর্চায় উঠে এসেছিল। তিনি ঝাড়গ্রামের কৃষক শিলাদিত্য চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করে, পেশায় কৃষক, শিলাদিত্যর কপালে জুটেছিল মাওবাদী তকমা। শুধু কি মাওবাদী তকমা! সঙ্গে হাজতবাসের অপমান এবং আতঙ্ক। জীবনের সেই অধ্যায় নিয়ে কথা বলতে গেলে আজও শিউড়ে ওঠেন শিলাদিত্য। তিনি বলেন, “দিদিকে প্রশ্ন করেছিলাম, ধানের দাম কম কেন, সারের দাম বেশি কেন! দিদি আমাকে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেফতার করান। দু’দিন পর বিনপুরে লকআপে পুরে দেয়।”
এবার সেই শিলাদিত্যই শালবনির পিড়াকাটাতে শুভেন্দুকে দেখতে পেয়েই বাসের জানালা দিয়ে মুখ বের করে হাত মেলালেন বিরোধী দলনেতার সাথে।

উল্লেখ্য, রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ভীমপুরে একটি রোড শো করা হয় বিজেপির তরফে। বিজেপি প্রার্থীদের প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা সেই রোড শো তে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রোড শো ভীমপুর থেকে পিড়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি বাসে করে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মাওবাদী তকমা পাওয়া শিলাদিত্য চৌধুরী। বিরোধী দলনেতাকে দেখতে পেয়েই বাসের ভেতর থেকে জানালা দিয়ে মুখ বের করে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দেখা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতার সাথে হাতও মেলান শিলাদিত্য চৌধুরী।

আর তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তাহলে কি একসময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মাওবাদী তকমা পাওয়া শিলাদিত্য চৌধুরী যোগদান করতে চলেছেন বিজেপিতে? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Categories
রাজনীতি

প্রচারে বেরিয়ে এলাকার এক বাসিন্দাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী! মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দ্রকোনা :

নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রার্থী পলাশ বাগ, এমনি অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। পলাশ বাগের দাবি তিনি শনিবার শালঝাটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এলাকার এক বাসিন্দা চন্দন ব্যানার্জীর বাড়িতে যান। অভিযোগ তখন চন্দন ব্যানার্জীর ও তার পরিবারের লোক জন পরিকল্পিতভাবে বিজেপি কর্মীরদের উপর চড়াও হন,এমনকি তখন চন্দন ব্যানার্জি নিজে দেওয়ালে মাথা ঠুকে মাথা ফাটয়ে নেয়, ঘটনায় মিথ্যে অভিযোগ করে ।যার ফলস্বরূপ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

অন্যদিকে শালিঝাটি গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি তরুণ পাত্রের দাবি বিজেপির এটি অন্তদ্বন্দ্বের ফল। আমাদের তৃণমূল দল এলাকায় যেভাবে উন্নয়ন করেছে বিরোধীদল বিজেপি সহ কেউই কোন ইসু পাচ্ছিল না। তাই বিজেপি নিজেরা মিটিং করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

যিনি আহত হয়েছেন চন্দন ব্যানার্জি আমাদের দলের কেউ নয়। চন্দন ব্যানার্জি বিজেপির লোক। এটা বিজেপির দলীয় কোন্দল। ওরা কেউই তৃণমূলের লোক নন। এলাকায় ওরা বিজেপির সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। ঘটনা যাই হোক এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা। আহত চন্দন ব্যানার্জিকে প্রথমে ক্ষীরপাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।। অভিযুক্ত বিজেপির প্রার্থী পলাশ বাগকে পুলিশ গ্রেফতার করে ঘাটাল আদালতে পাঠিয়েছে।