Categories
পশ্চিমবঙ্গ

পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে কেন্দ্রের বড় সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে বড় পদক্ষেপ

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

দেশে পোস্ট অফিসের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে তাদের সঞ্চয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলায়। ফলস্বরূপ, এই রাজ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট (POSA) রয়েছে। এবার সেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদী সরকার।

যার জেরে রাজ্যের ৭৫ লাখেরও বেশি নাগরিককে কিছুটা ভোগান্তির মুখে পড়তে হতে পারে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আগামী বছরের ১লা এপ্রিলের মধ্যে দেশের সমস্ত পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলিকে একটি মোবাইল নম্বরের সাথে আধার নম্বর যুক্ত করতে হবে। তার মানে পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা হবে। যদি তা না করা হয় তবে ১লা এপ্রিল থেকে সেই সমস্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করা হবে। সম্প্রতি, এমন একটি নির্দেশিকা জারি করেছে ডাক বিভাগ (ভারতীয় পোস্ট)।

ডাক বিভাগের মতে, আগামী বছরের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কোনো পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে না। সেই সব অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা যাবে। কিন্তু ১লা এপ্রিলের মধ্যে সেই সমস্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলিকে আধার-সক্ষম মোবাইল নম্বরগুলির সাথে লিঙ্ক করতে হবে। অন্যথায় ১লা এপ্রিল থেকে ব্লক করা হবে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? ডাক দফতরের আধিকারিকদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বহুদিন ধরেই মোবাইল নম্বরকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাধ্যতামূলক না হওয়ায় অনেকেই তা নিয়ে মাথা ঘামায়নি। কিন্তু এ বার তা বাধ্যতামূলক করছে কেন্দ্র। অন্য কথায়, যদি আধার-সক্ষম মোবাইল নম্বর পোস্ট অফিসের সঞ্চয় অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করা না থাকে তবে এটি ১লা এপ্রিল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক হয়ে যাবে। কেন্দ্রের দাবি, গ্রাহকদের আর্থিক সুরক্ষা দিতেই এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। একই সঙ্গে যেকোনো লেনদেনের জন্য পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল ফোন নম্বর লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি লেনদেনের জন্য মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন ছিল। এখন থেকে সেই সীমানা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট গ্রাহকের মোট সংখ্যা প্রায় ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার। এই সংখ্যক লোককে ৩১শে মার্চের মধ্যে তাঁদের আধার-সক্ষম মোবাইল নম্বরগুলিকে তাঁদের পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করতে হবে। যেহেতু রাজ্যে বয়স্ক লোকেরা এই অ্যাকাউন্টগুলি বেশি ব্যবহার করেন, তাই মনে করা হচ্ছে যে, তাঁরা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি হয়রানির সম্মুখীন হবেন। এখনও পর্যন্ত দেখা গেছে যে একই গ্রাহক বিভিন্ন পোস্ট অফিসে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলতেন এবং একই গ্রাহকের বিভিন্ন তথ্য ফাইল বা সিআইএফ তৈরি করা হয়েছিল। এখন ডাক বিভাগ একজন গ্রাহকের সমস্ত অ্যাকাউন্ট বা সেভিংস স্কিমকে একটি CIF-এর অধীনে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে আধার সক্ষম মোবাইল নম্বর যোগ করা হবে। এটি শুধু নিরাপত্তাই দেবে না, গ্রাহকরা এসএমএস, ই-পাসবুক বা আইভিআরএসের সুবিধাও পাবেন।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

লালনের মৃত্যু নিয়ে হাইকোর্টে সিবিআইয়ের মামলা! এতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপাকে পড়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

বগটুই মামলার প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছে সিবিআই। পুলিশের এফআইআর খারিজ করার দাবি জানায় সিবিআই। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আদালতে মামলার শুনানি হয় বলে জানা গেছে। সিবিআই আদালতকে জানায়, “একজন আত্মহত্যা করেছে, পুলিশ ৭ সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে”।

আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআইও। কিন্তু পুলিশের এফআইআরের ফলে বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারী অফিসার। তাই এফআইআর খারিজ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানির জন্য আবেদন করেছে সিবিআই। অনুমতি পাওয়ার পর এদিনই শুনানি হওয়ার মামলা হয়েছে।

কী আছে পুলিশের এফআইআর-এ, যা খারিজ করার জন্য সিবিআই মামলা করেছে? জানা গেছে যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে খুন, তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে এবং সিবিআইয়ের ডিআইজি এবং এএসপি সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেই ৭ জনের মধ্যে সুশান্ত ভট্টাচার্য নামে একজন সিবিআই অফিসারও রয়েছেন। তিনি গরু চোরাচালানের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করছেন। এমনকি অনুব্রত মন্ডলকেও গ্রেপ্তার করেছিলেন সুশান্ত।

সিবিআই দাবি করেছে যে, সাম্প্রতিক কালে লালন শেখের মৃত্যু এবং অফিসারের বিরুদ্ধে পুলিশি এফআইআরের ফলে তদন্তকারী অফিসার বিপদে পড়েছেন। তাই রাজ্য পুলিশের এফআইআরকে এ বার কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করল সিবিআই।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর স্থগিত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

জোড়া শুভ দিন শুভেন্দুর। গুজরাটের সুখবরের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত এফআইআর স্থগিত করেছে। বিভিন্ন ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে করা সমস্ত এফআইআর স্থগিত করেছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে বিচারক এই স্থগিতাদেশ দেন।

তাঁর বিরুদ্ধে করা ২৬টি এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করুন নতুবা সিবিআইকে অভিযোগের তদন্ত করতে দিন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের পর্যবেক্ষণ হল, “শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা। তিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। পুলিশ নিজেরাই অথবা অন্য কারো নির্দেশে বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের করে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে”।

আসলে, আদালত শুভেন্দুকে সুরক্ষা দিয়েছে। তার পরেও কীভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এতগুলি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারক। এ বিষয়ে রাজ্যের কাছ থেকে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। হলফনামা ৬ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে এসব মামলার তদন্ত অন্য কোনো সংস্থার কাছে ন্যস্ত করা হবে কিনা।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

“সাদা খাতার মজাই আলাদা”, সঠিকভাবে রোল নম্বর অব্দি পূরণ করতে পারেননি শিক্ষিকা! ভাইরাল ওএমআর শিট

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত ওএমআর শিটের তালিকা অনুযায়ী, একজন শিক্ষিকা তাঁর রোল নম্বরটাই সঠিকভাবে পূরণ করতে পারেননি। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বিশিষ্ট শিক্ষক কিংকর অধিকারী তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ তাদের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নাম, ওএমআর শীট সহ সাদা খাতার নমুনা প্রকাশ করেছে। সত্যিই ‘সাদা খাতার মজাই আলাদা’, তার প্রমাণ দেখুন। আপনারাই বলুন এর পরিপ্রেক্ষিতে কি বলা যায়! নিয়োগে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি! দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বঞ্চিতদের অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে”।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, “কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। কেউ তাঁদের রোল নম্বরও পূরণ করতে পারেননি। কেউ আবার নীল কালি দিয়ে ওএমআর পূরণ করেছেন। সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে নিয়োগে চূড়ান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। রাষ্ট্রের মানুষ এই দুর্নীতির শেষ ও উৎস দেখতে চায়”।

তিনি আরো বলেছেন, “শুধু চাকরিপ্রার্থী বা শিক্ষিত বেকাররাই বিষণ্নতায় ভোগেন না, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্ররাও রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছে। একটা কথা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, ‘সাদা খাতার মজাই আলাদা’। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিটের সেই বিশেষ নমুনা ধরা পড়েছে”।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

প্রাথমিক শিক্ষকদের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, “ঢাকি সহ বিসর্জন দিয়ে দেব”

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

আবারও সতর্কতার সুর শোনা গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারক ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, “আমি ঢাকি সহ বিসর্জন দিয়ে দেব”। তবে ‘ঢাকি’ বলতে তিনি কী বা কাকে বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যেদিন আমি ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করব, সেদিন আমি ঢাকি সহ বিসর্জনের মানে বলব। মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা না থাকায় মামলাকারীরা চাকরি পাননি”। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। নম্বর বণ্টনের প্রকাশিত তালিকায় অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর সুপারিশপত্র পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

বিচারক বাদীকে আরও কয়েকটি নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ই ডিসেম্বর। ২০১৪-এর টেটের পরে ২০১৬ সালে প্রথম নিয়োগ প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিতীয় নিয়োগের তালিকা ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। অভিযোগ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। অভিযোগের তালিকা অনেক বড় ছিল, কেন নম্বর বৃদ্ধি পেল এবং নতুন প্যানেল প্রকাশের বিষয়ে কেন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারক।

যদিও গ্রহণযোগ্য কোনো উত্তর দিতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে”। একই সঙ্গে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। তাঁদের বেতনও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বরখাস্ত করা প্রাথমিক শিক্ষকরা যাতে কোনোভাবেই স্কুলে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আদালতের এই আদেশে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যারা গত আট বছর ধরে চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। তবে চাকরিপ্রার্থীদের মতে, আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া বছরগুলো আর ফিরে আসবে না। কিন্তু, ভবিষ্যৎ কি অতীতের ক্ষত সারাবে? সেই আশা নিয়ে বসে আছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

দলের প্রতি আস্থা আছে এখনো, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলই জিতবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

দল তাঁর পাশে নেই। তবে দলের প্রতি তাঁর আস্থা আছে। ফের একবার বার্তা দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এদিন ফের আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে প্রবেশের সময় পার্থকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে কে জিতবে..? জবাবে পার্থ দুবার বললেন, “তৃণমূল, তৃণমূল”।

এই প্রথম নয়, যখন জেল থেকে পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, বাইরে আসার সময়ও তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন বলে দাবি করেছেন। যদিও পার্থ বারবার এই ধরনের বার্তা পাঠিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দল থেকে তাঁর প্রতি কোনো নরম মনোভাব দেখা যায়নি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় দলের নেতারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনকে ফের আদালতে হাজির করা হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও প্রাক্তন এসএসসির চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রাক্তন মধ্যশিক্ষা পরিষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রদীপ সিং, প্রসন্ন রায় এবং অশোক সাহাকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়েছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, এদিন সিবিআই গ্রেফতারকারীদের  জামিনের বিরোধিতা করবে। অন্যদিকে, আগের দিন অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সিবিআইকে নানা প্রশ্ন করেন। সে সব প্রশ্নের উত্তর সিবিআই-এর কাছে পাওয়া যায় কি না, সেদিকেও এদিন নজর রাখা হবে। ঘটনাচক্রে, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ২২শে জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে জেল হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্টেড’ করেছিল। এদিন সিবিআই মামলার ভিত্তিতে পার্থ ও বাকিদের আদালতে পেশ করা হয়।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

সিপিএম আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ঘেরাওয়ের হুমকি উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীর

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ করা হবে ৭৫০ জনকে। তাতে কাউন্সেলিং-এর ডাক পেয়েছেন ওই প্যানেলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের ওই ৭৫০ জন শিক্ষক নিয়োগে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুনানির সময় হাইকোর্ট মন্তব্য করে, “রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান যদি এক না হয়, তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভেঙে দেওয়া হোক”।

এই আবহে গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই তালিকার ওয়েটিং লিস্ট থেকে কাউন্সিলিং-এ ডাক পাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাউন্সেলিং-এ ডাক পাওয়া রাজু দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী, “রাজ্যের বিরোধীদলগুলি আমাদের চাকরি পাওয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। আমরা সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছি। এবার সিপিএমের আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ঘেরাও করবো”। উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ হুঁশিয়ারি দেন বামপন্থী আইনজীবীদের, “বামপন্থী আইনজীবীরা ভাল করে শুনে রাখুন, আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন তেমন যদি না থাকেন, যদি বিরোধিতা করেন তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিপিএমের অস্তিত্ব শেষ করে দেব”। এ প্রসঙ্গে রাজুর ব্যাখ্যা, “মূলতঃ এই মামলাটি উত্থাপন করেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। শূন্যপদ থাকলে প্যানেল ভুক্তদের নিয়োগ করাই নিয়ম। অনেক জায়গায় এমন হয়েছে। কিন্তু এখানে আমাদের বাধা দেওয়ার রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে বিরোধীরা”।

গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজুর অভিযোগ, “বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন এবং ফিরদৌস শামিম আমাদের চাকরি পেতে বাধা দিচ্ছেন। আমাদের আন্দোলনের মঞ্চে বাম এবং বিজেপি নেতা-নেত্রীদের অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন সেই সময়”। রাজুর এই কথার সূত্র ধরে ক্ষোভের সুরেই তিনি বাম আইনজীবীদের প্রশ্ন করেন “তাহলে আমাদের আন্দোলনের মঞ্চে যাওয়াটা কি ওদের নাটক ছিল”? যদিও রাজুর এই অভিযোগ ও ক্ষোভের কথা শুনে তা “তৃণমূলের অপপ্রচার” বলে খারিজ করে দিয়েছেন আইনজীবী তথা বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা চাইছি আইনের প্রতি আস্থা রেখে যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছ নিয়োগ হোক। সেখানে তো অযোগ্যদের বাদ দিতেই হবে। শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়মবিরুদ্ধভাবে কেন অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হবে”?

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

ডেঙ্গুর মশার লার্ভার সন্ধান দিতে পারলেই মিলবে পুরস্কার! ঘোষণা কাউন্সিলারের

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার মসার লার্ভার খবর দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। বিগত কয়েক মাস ধরেই সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর হারও। দক্ষিণ দমদম পৌরসভাতেও লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।

ইতিমধ্যেই তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার বিভিন্ন পৌর প্রতিনিধিরা একাধিক জায়গায় বিভিন্নভাবে ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালালেও সেই রকম কোনো লাভ হয়নি। তাই এইবার ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিলেন কাউন্সিলর দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেঙ্গুর মশার লার্ভার সন্ধান দিতে পারলেই পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষনা করলেন তিনি। পাশাপাশি এলাকায় মশার উপদ্রব কমানোর জন্য তেল ছড়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মাত্র দিন কয়েক আগেই দমদমের নাগেরবাজার এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসে। প্রথমে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয় ওই মহিলা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু মহিলার মৃত্যুর পর বলা হয় তিনি নাকি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই ঘটনায় রোগীর আত্মীয় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ আনেন। সেই নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হয়।

গত অক্টোবরেও দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে মহুয়া রায় নামে এক মহিলা দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় যে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর কিছুদিন পরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে এবং মৃত্যু ঘটে। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

“দু’বছর ধরে সোনা পাচার মামলার তদন্ত হওয়া সত্ত্বেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে কেন বারে বারে হয়রান করছে ইডি?” কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

“অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে দু বছর ধরে সোনা পাচার সংক্রান্ত মামলায় কেন হয়রান করা হচ্ছে” এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিসন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে। সেখানেই বিচারপতিরা এই প্রশ্নটি তোলেন। সোনা পাচার সংক্রান্ত মামলাটির তদন্ত চলা সত্বেও কেন এই দুই মহিলাকে বারে বারে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়রান করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। কিন্তু এই দিন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকার জন্য মামলার শুনানিটি পিছিয়ে গিয়ে ডিসেম্বর মাসে করা হয়।

গত ২০১৯ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে শুল্ক দপ্তর সোনা পাচারের অভিযোগ জানায়। ব্যাংকক থেকে সোনা আনার অভিযোগ করে শুল্ক দপ্তর। তবে প্রথম থেকেই এই অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দু’বছর ধরে সেই মামলার তদন্ত চললেও এখনো তার কোনো নিষ্পত্তি না ঘটায় কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন তুলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বর মাসে হবে।

প্রসঙ্গতঃ, গত অক্টোবর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর “মা অসুস্থ তাই” ব্যাংকক যেতে চাওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি গত ১০ই সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাওয়ার সময় অভিবাসন দপ্তরের কাছে বাধা পাওয়া, ঘন্টার পর ঘন্টা বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা এবং ইডির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু আদালত সেই সময় তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করেনি। আদালতে তখন পুজোর ছুটি চলছিল। তাই ছুটির পর রেগুলার বেঞ্চে তাঁকে আবেদন করার পরামর্শ দেয় আদালত।।

Categories
পশ্চিমবঙ্গ

হঠাৎ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশীর আগমন, কি বলতে এলেন তিনি?

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

অদ্ভুত এক দৃশ্যের অবতারণা হল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তখন সমস্ত মামলা শুনে সেদিনের মতো কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমন সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে হাত জোড় করে এসে দাঁড়ালেন। সুনীল ভট্টাচার্য নামের ব্যক্তিটির বয়স পঞ্চাশের আশেপাশেই হবে।

নিজেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী বলে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিটি করজোড়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে অতি বিনম্রভাবে বলেন, “আমি নাকতলায় থাকি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাড়ায় আমার বাড়ি‌। আপনি যা করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের এলাকার বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতি সম্পর্কে সব কিছুই জানতো। আমরাও অনেক আগে থেকেই সবকিছু জানতাম। এমনকি কুকুরের নামে যে সম্পত্তি রয়েছে সেই বিষয়ে বাড়ির পরিচারিকাও জানতো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি পূজনীয়। আমার মা আপনার খুবই প্রশংসা করেন। আমি ভুবনেশ্বরে কাজ করি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে অনেকেই অনেক খারাপ মন্তব্য করে থাকেন। আপনি অনেক কিছু করেছেন। এবার আসল অপরাধী ধরা পড়বে বলে মনে হচ্ছে”।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও ওনাকে প্রতিনমস্কার জানান। সঙ্গে ওনার মাকে প্রণাম জানান এবং ভদ্রলোকের উদ্দেশ্যে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের গর্বের জায়গা নষ্ট হয়ে গেছে। সেই ঐতিহ্যকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করুন তাহলে নিশ্চয়ই একদিন সেই পুরনো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। আমরা আবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য, বাংলার জন্য গর্ববোধ করব। বাংলাকে নিয়ে অনেকেই অনেক খারাপ মন্তব্য এখন করে থাকেন, যা খুবই কষ্টের বিষয়। একবার আমি পুরী থেকে আসছিলাম। আমার এক সহযাত্রী বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হতে হয়। ভুবনেশ্বরে তা হয় না। খুব খারাপ লেগেছিল। আর রইল বাকি অপরাধী ধরার কথা! সে হয়তো আমার জীবনকালে আর ধরা পড়বে না। দেখা যাক ইডি সিবিআই কি করে!”।।