Categories
টেকনোলজি

ব্যাটারিতে চলবে চার চাকা গাড়ি, মেদিনীপুরের কাঠের মিস্ত্রি সেরাফত আলির তৈরী বাহন চলছে রাস্তায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর :-

ব্যাটারিতে চার্জ নিয়ে চলবে চারচাকা গাড়ি। বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ জুড়ে নিজেই অভিনব চার চাকার বাহন তৈরি করলেন মেদিনীপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আকর্ষা নগরের বাসিন্দা পেশায় কাঠের মিস্ত্রি সেরাফত আলি। সেই গাড়ি এখন চলছে মেদিনীপুরের রাস্তায়।

অভিজ্ঞ ও বর্ষীয়ান কাঠের মিস্ত্রি মেদিনীপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আকর্ষা নগরের বাসিন্দা সেরাফত আলি। বয়সের কারণে দু’চাকার বাহন চালানো নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়ে নিজেই বানিয়ে নিয়েছেন চার চাকা গাড়ি। গাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ। টাটা ন্যানোর স্টিয়ারিং, মাহিন্দ্রার স্টিয়ারিং বক্স, টোটোর চাকা ইত্যাদি। গাড়িতে লাগানো ছোট ব্যাটারিটি একবার চার্জ নিয়ে চলবে ১৫-২০ কিলোমিটার। গাড়ি বানাতে যন্ত্রাংশের খরচ পড়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

ব্যাটারি চালিত চার চাকা গাড়ির কারিগর সেরাফত আলি জানিয়েছেন, গাড়িটিতে লিথিয়াম ব্যাটারি বসালে একবার চার্জ দিলে ৬০-৭০ কিলোমিটার পাড়ি দেবে গাড়ি। কিন্তু লিথিয়াম ব্যাটারির দাম বেশি হওয়ায় তিনি ছোটো ব্যাটারি ব্যবহার করেছেন। তবে সেরাফত মিস্ত্রির কেরামতি এই প্রথম নয়। এর আগে তিনি ব্যাটারি চালিত তিন চাকা গাড়ি বানিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই গাড়ি চালানোর সময় কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ও অন্যান্য সমস্যা লক্ষ্য করে নতুন ভাবে চার চাকা গাড়িটি তৈরি করেছেন তিনি।

কাঠের মিস্ত্রি হওয়ায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যপ্রণালী তিনি জেনে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আগে বানিয়েছেন কাঠের সার্কুলার ব্লেড শান দেওয়ার ও প্রেসের ব্লেড শান দেওয়ার যন্ত্র। এখন চার চাকা গাড়ি তৈরি করলেও ব্যবসায়িক ভাবে এই গাড়ি তৈরির বিষয়ে অনীহার কথাই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “বয়স হয়েছে! তাই ব্যবসায়িক ভাবে বানানো সম্ভব নয়৷ এটি নিজের শখে ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই বানানো।”

Categories
টেকনোলজি

অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে এবার থেকে জানতে পারবেন ব্যক্তির নামও; বিশেষ সুবিধা আনতে চলেছে ‘ট্রাই’

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ফোনে কোনো অচেনা নম্বর থেকে কল আসলেই মনের মধ্যে প্রথম প্রশ্ন আসে, “এটা আবার কার নাম্বার রে বাবা”! ফোনে অচেনা নম্বর জানার বিশেষ অ্যাপ থাকলে ভালো, না হলে সমস্যা আরো বাড়ে। ট্রুকলার অ্যাপ থাকলেও অনেক সময়ই কলারের বিশদ বিবরণী পাওয়া যায় না। এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ‘ট্রাই’ অর্থাৎ ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নিয়ে আসতে চলেছে বিশেষ সমাধান, যাতে এবার থেকে ফোনে নম্বর দেখার সাথে সাথে ব্যক্তির নামও ফুটে উঠবে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে বলে সূত্র মারফত জানা যায়।

ব্যস্ত সময়ের মাঝে হঠাৎ এমন কিছু ফোন আসে যা আমাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন লোনের জন্য ফোন, ক্রেডিট কার্ডের জন্য ফোন ইত্যাদি। এতে অনেক সময় মানুষের উপকার হয় ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যায়।

 

ট্রুকলার অ্যাপ ফোনে থাকলে একটি বিশেষ সুবিধে হয়। কে ফোন করছে তার নাম এবং ফোন নাম্বার স্ক্রিনে ভেসে ওঠে। তবে এক্ষেত্রেও যে ১০০% পরিষেবা পাওয়া যায় তা নয়। আবার কিভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে ট্রুকলার অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয় অনেকেই পারেন না। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ট্রাই’।

নতুন সিম কেনার সময় গ্রাহকরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যসম্বলিত নথি টেলিকম অপারেটরদের কাছে জমা দিয়ে তবেই নতুন সিম কেনে। এবার সেই সব নথিকে কাজে লাগিয়েই ‘ট্রাই’ আনতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের সুবিধা, যাতে আপনার কাছে ফোন এলেই আপনি স্ক্রিনে ভেসে ওঠা নাম এবং নম্বর দেখে বুঝতে পারেন যে ফোনটি তোলা আদৌ জরুরি কিনা।

Categories
টেকনোলজি

দিল্লির নির্ভয়া থেকে শিক্ষা! ফেব্রুয়ারিতে সমস্ত বড় গাড়িতে বসতে চলেছে ট্র্যাকিং সিস্টেম, দপ্তর হচ্ছে মেদিনীপুরে

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

দিল্লির নির্ভয়া থেকে শিক্ষা! ফেব্রুয়ারিতে সমস্ত বড় গাড়িতে বসতে চলেছে ট্র্যাকিং সিস্টেম, দপ্তর হচ্ছে মেদিনীপুরে। একসময় দিল্লির এক নির্ভয়া কাণ্ডে গোটা দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। আর সেই কান্ডের পরই কিন্তু সরকার তৎপর হয়েছিল সমস্ত কমার্শিয়াল চার চাকা, দশ চাকা, কুড়ি চাকা সহ বড় বড় যানবাহনে ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করার। এই মোতাবিক এবার শুরু হয়ে গেল পুরোপুরি ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানোর কাজ। এই ট্র্যাকিং সিস্টেম নাম দেয়া হয়েছে VLTS (ভেহেকেল লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম) তাই এই সিস্টেমের মধ্যে সমস্ত যানবাহন আনার চেষ্টা করছে সরকার।

যার উদ্দেশ্যই থাকবে এই যানবাহন গুলি কোনরকম কোথাও দুর্ঘটনার শিকার হলে একটি বোতাম থাকছে সেই লাল বোতাম টিপে দিলেই তার সিগন্যাল চলে যাবে পার্শ্বস্থ যেকোন থানার পুলিশের কাছে।এর সঙ্গে এরই মেসেজ চলে যাবে স্থানীয় পরিবহন দপ্তরে। যার ফলে অতি সহজেই তৎক্ষণাৎ পুলিশ গিয়ে সেই যানবাহনটির যেমন লোকেশান জানতে পারবে সে সঙ্গে পৌঁছে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন উদ্ধার এবং বিপদগ্রস্ত যাত্রীদেরও অতি তৎপরতা সঙ্গে উদ্ধার করা যাবে। এছাড়া কোন মহিলা অথবা পুরুষ কমার্শিয়াল গাড়িতে যাতায়াতের সময় কোন রকম বিপদ বুঝলে এই বাটান টিপলেই পুলিশ উদ্ধারের জন্য আসতে পারবে। এই সিস্টেমে গোটা রাজ্যজুড়ে পাঁচটি দপ্তর করা হচ্ছে। কলকাতা, মালদা, আসানসোল সহ মেদিনীপুরে থাকছে একটি দপ্তর।

মেদিনীপুরের এই দপ্তরের মধ্য দিয়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ এই পাশের কয়েকটি জেলার নজরদারি চালাতে পারবে প্রশাসন।তাই এখন যে কোন নতুন যানবাহন কিনলেই সেই যানবাহনে যেমন ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগানো হচ্ছে সে সঙ্গে পুরনো সমস্ত যানবাহনের উপর ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগাতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। শুধু মোটরবাইক, অটো টোটো সহ কয়েকটি যানবাহনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে এই ট্র্যাকিং সিস্টেম আওতা থেকে।

এই বিষয়ে এদিন পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক অমিত দত্ত সাক্ষাৎকারে বলেন “এই সিস্টেম ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখের পর থেকে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে গোটা রাজ্য জুড়ে। যার সদর দপ্তর কলকাতার পাশাপাশি মেদিনীপুরের দপ্তর রাখা হয়েছে। এই সিস্টেম সমস্ত নতুন বড় গাড়িতে লাগানো হচ্ছে এরই সঙ্গে পুরনো গাড়িতে পুরোপুরি এই সিস্টেম লোড করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে কোনো রকম দুর্ঘটনায় পড়লেই তৎক্ষণাৎ গিয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে পারে এবং তাকে নজরদারিতে রাখতে পারে। কোন এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ধরনের সিস্টেম কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আনতে চাইছে বলেই তিনি বলেন”।

Categories
টেকনোলজি

২৫ বছর ধরে স্ক্যাল্পচার আর্টের দিশা দেখাচ্ছে শিল্পী সুজিত করন! পড়ে থাকা জং ধরা লোহা দিয়ে বানালেন ১৭ ফুটের পেন, নাম দিলেন I love my India

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর : 

বছর ৫৪ র মেদিনীপুরের শিল্পী সুজিত কুমার করন,বাড়ি মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর এলাকায়। তিনি গত ২৫ বছর ধরে স্ক্যাল্পচারের ভাস্কর্য গড়ে নজর কাড়ছে জেলায় আর তারই ডাকে তিনি ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করে এলেন গৌরবের সাথে। সম্প্রতি এই সুজিত বাবু ডাক পেয়েছেন কর্নাটকের হাম্পি এলাকায়। কলকাতার দুজনকে সঙ্গে তিনি নিজে এসেছিলেন এই আর্টের কাজ করতে। সেখানে Ichal আর্ট গ্যালারি মধ্যপ্রদেশের উদ্যোগে এই আর্টের কাজটি হয়। মূলত জাঙ্ক মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি করা হয় একটি পেন। যার উচ্চতা ১৭ ফুট। ১৭ ফুট সুদৃশ্য এই কলমটি দেখা যাবে কিলোস্কয়ার কোম্পানি প্রোডাক্ট ইউনিট অফিসের ওপেন এয়ার গার্ডেনে।

গত ৩ রা জানুয়ারি থেকে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিন ধরে এই কাজটি করেছেন এই শিল্পী। কলমটির নাম দেওয়া হয়েছে আই লাভ মাই ইন্ডিয়া। এছাড়াও সুজিত বাবু আগ্রার দয়ালবাবাগ এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিমা ইউনিভার্সিটির National ক্যাম্পে ‘স্যান্ড স্টোন কার্ভিং’ এর ডাক পান। যেখানে দুজন বরোদার শিল্পী, একজন রাজস্থান এবং বাংলা থেকে ডাক পেয়েছিলেন সুজিত বাবু। সঙ্গে তাদের সহযোগিতার জন্য ৬ জন মহিলা পড়ুয়াও ছিলেন যারা এই কাজের সহায়তা করেছেন।

এখানে তিনি লম্বায় ৬ ফুট চওড়ায় তিন ফুট এবং আড়াই ফুটের পাথরের একটি ভাস্কর্য বানিয়েছেন।যে পাথর টি আনা হয়েছিল বেনারস থেকে। ১০ দিনে কাজটি শেষ করে কাজটি তিনি নামকরণ করেন’ Cleaner’। এইসব কাজেই দুটোতেই খরচা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।তবে বাংলার থেকে ডাক পাওয়ায় খুশি এই শিল্পী। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন বড় বড় থিমের পুজো মণ্ডপেও জমে থাকা পড়ে থাকা লোহা লক্কড় দিয়েই তিনি তৈরি করেছেন স্ক্যাল্পচার আর্টের কাজ। দিল্লি মুম্বাই গুজরাট রাজস্থানের পর এবার সুজিত বাবুর ইচ্ছে বিদেশের কাজে হাত লাগানো।

এইদিন এক সাক্ষাৎকারের সুজিত বাবু বলেন এই আর্টের ক্ষেত্রে প্রতিভা কম এবং নতুন নতুন শিল্পীদের পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চেষ্টা করছি এই আর্টের ছেলেমেয়েদের খুঁজে বার করা। তবে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করার পাশাপাশি এবার চাইছি বিদেশের কাজে হাত লাগানো। শুধু আক্ষেপ শিল্পীরা তার সৃজনশীল কাজের জন্য যথার্থই মর্যাদা পাচ্ছে না রাজ্যে ও জেলায়। তবে যতদিন বাঁচবো এই কাজ চালিয়ে যাব।

Categories
টেকনোলজি

আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার মানুষের বদলে যন্ত্রপাতিতে মিষ্টি তৈরি হতে চলেছে জঙ্গলমহলে! সম্মেলনে প্রদর্শিত হল প্রায় শতাধিক মিষ্টি তৈরির মেশিন

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর ; 

আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার মানুষের বদলে যন্ত্রপাতিতে মিষ্টি তৈরি হতে চলেছে জঙ্গলমহলে! সম্মেলনে প্রদর্শিত হল প্রায় শতাধিক মিষ্টি তৈরির মেশিন।যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ডিজিটাল পরিবর্তন আর তাই এবার হাতে গড়া ছানা টিপে না, যন্ত্রপাতি দিয়েই মিষ্টি তৈরি হচ্ছে মিষ্টি দোকানে। আর সেই ক্ষেত্রেই প্রায় শতাধিক মেশিন প্রদর্শিত হল মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ীদের রাজ্য সম্মেলনে। প্রসঙ্গত কুড়ি ও একুশে ডিসেম্বর দুদিন ব্যাপী শুরু হয়েছে মেদিনীপুর মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের রাজ্য সম্মেলন।যে সম্মেলনে ভিন্ন ভিন্ন জেলা থেকে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা যোগদান করেছে।এই সম্মেলনের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ খানা স্টল বসেছে যে স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে মিষ্টি তৈরি করার মেশিন।

 

ছানা পাকানো থেকে সন্দেশ তৈরি গোলাপ জামুন,রসগোল্লা,পান্তুয়া থেকে ক্ষীরের মিষ্টি সবই তৈরি করছে যন্ত্র। আর সেই যন্ত্রই এখন প্রধান ভরসা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের। কারণ যেভাবে প্রতিদিন মিষ্টি ব্যবসায় কারিগরদের সমস্যা তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্য সহ জঙ্গলমহলে আর তারই মেকআপ দিতে এবার যন্ত্রকেই হাতিয়ার করল মেদিনীপুরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।এই মেশিন দিয়ে মিষ্টি গোটা রাজ্য ব্যাপকভাবে শুরু হলেও জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু গুটি কয়েক দোকানে এই যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়।কিন্তু প্রতিদিন যেভাবে কারিগর ও শ্রমিকের ঘাটতি ঘটছে তাতে যন্ত্রপাতির উপরে ভরসা রাখছে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।তাই এই দিনের এই মেশিন প্রদর্শনীতে ভিড় জমালো শহর ও জেলা ও রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন এই যন্ত্রপাতির কলা কৌশল। দেখলেন কিভাবে এক পাশে ময়দা দিতে আর এক পাশে পুরোপুরি মিষ্টি হয়ে বেরিয়ে আসছে এই মেশিনে।

প্রদর্শিত মেশিন দেখে ব্যবসায়ী নাড়ু হালদার,বাপ্পা বণিক,তাপস দাসরা জানালেন এই মেশিন আমাদের মিষ্টি তৈরি করার ক্ষেত্রে বিশেষ কাজে লাগবে। কারণ আমরা প্রতিদিনই মিষ্টি তৈরি করা নিয়ে কারিগরদের ঘাটতির সমস্যা বুঝি।কারিগররা বিভিন্ন সময় আসতে চায় না,এলেও সঠিক মত কাজ করে না। সঠিক সময়ে সঠিক কারিগর পাওয়া যায় না তাই আমাদের এই মেশিন বহু কাজে লাগবে এবং মিষ্টি ও ব্যবসাতে আমাদের ঘাটতি মেটাবে।

এই যন্ত্রপাতি এবং মেশিন প্রদর্শনকারি ব্যবসায়ী প্রবাল মুখার্জি,বাপ্পা ভৌমিকরা জানান তাদের এই মেশিন গোটা রাজ্যজুড়ে বিখ্যাত। এখন কারিগরদের সমস্যা মেটাতে এই মেশিন কিনছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।কম দামে কম বাজেটে এবং একদম হাতে তৈরি করা মিষ্টি এখন পাওয়া যাবে দোকানে। এক ঘন্টায় প্রায় ছয় হাজার রসগোল্লা তৈরি করতে পারবে এই কম বাজেটের মেশিনগুলো।

যদিও এই সম্মেলনে মিষ্টির মেশিন প্রদর্শনী সম্পর্কে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সভাপতি গণেশ মাইতি বলেন এই প্রথম রাজ্য সম্মেলনে আমাদের এই যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত।যেখানে আমরা জঙ্গলমহলের মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ীদের উৎসাহিত করতে চাইছি এবং বর্তমানে কারিগরদের সমস্যা সমাধানে আমরা এই ব্যবস্থা করেছিলাম। আর এই প্রদর্শিত মেশিন সঙ্গে মিষ্টি কুইন প্রতিযোগিতা বিভিন্ন ধরনের স্টল নিয়ে আমাদের এই রাজ্য সম্মেলন শেষ হলো দুদিনের।

মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদেরএই রাজ্য সম্মেলন ঘিরে ইতিমধ্যে উৎসাহ জেলা জুড়ে।যেখানে জেলার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া সম্মিলিত বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা হয় এবং সমস্যার সমাধানে উপদেশ দেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

Categories
টেকনোলজি

এই বছর গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা রোগ এবং তাদের চিকিৎসার তালিকা দেখুন

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

২০২২ সাল শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। নানা কারণে এই বছরটি আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে। বছর শুরু হওয়ার সাথে সাথে কোভিডের মতো রোগ মানুষকে কষ্ট দেয় এবং সময় বাড়ার সাথে সাথে সর্দি, কাশির মতো রোগ মানুষকে বিরক্ত করতে শুরু করে। এই রোগগুলি গুগলে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা হয়েছিল। এ ছাড়া তাদের ঘরোয়া প্রতিকারও চাওয়া হয়। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই বছরে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা রোগগুলো।

১) ওজন কমানোর উপায় –

লকডাউনের পরে মানুষের ওজন যেভাবে বেড়েছে তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। লোকেরা গুগলে ওজন কমানোর টিপস নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করেছে। কেউ স্বাস্থ্যকর খাদ্য, কেউ ব্যায়াম এবং কেউ যোগব্যায়ামকে বেছে নিয়েছে।

২) অনাক্রম্যতা বাড়ানোর টিপস –

কোভিড-১৯-এর সময় থেকে লোকেরা অনাক্রম্যতা বাড়ানোর টিপসগুলির জন্য গুগলে প্রচুর অনুসন্ধান করেছে। অনাক্রম্যতা উন্নত করতে ফল, শাকসব্জি বা শস্যজাত মশলা দিয়ে তৈরি ক্বাথের মতো জিনিসগুলি সম্পর্কে গুগলে প্রচুর অনুসন্ধান করেছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য উপকারী।

৩) ঠান্ডা নিরাময়ের প্রতিকার –

কোভিড -১৯ এর সূত্রপাতের সাথে, সর্দি, কাশি বা গলা ব্যথার মতো অসুস্থতাগুলির প্রতিকার অনেক বেশি খোঁজা হয়েছিল। মানুষ ইন্টারনেট থেকে এই রোগগুলি সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। এগুলো থেকে বাঁচার উপায় ও প্রতিকার খোঁজা হয়েছে।

৪) ক্বাথের রেসিপি –

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ক্বাথ রেসিপিগুলি গুগলে প্রচুর অনুসন্ধান করা হয়েছিল। কোন মশলা ব্যবহার করা উচিত নয়, তুলসী, লিকোরাইস, কালো মরিচ থেকে শুরু করে হলুদ সম্পর্কে গুগলে একটি অনুসন্ধান করা হয়েছিল।

৫) কোভিড এড়ানোর উপায় –

এ বছর কোভিড আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ ঘরে বন্দি। এই সময়ে মানুষ কোভিড এড়ানোর উপায়গুলি গুগল করেছে। স্যানিটাইজেশন থেকে ভেন্টিলেটর এবং মেডিটেশন পর্যন্ত, বেশিরভাগ তথ্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

৬) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় –

ভুল লাইফস্টাইলের কারণেই হোক অথবা কোভিডের সময় চাপের কারণে, মানুষ অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় পড়েছে। সে সময় লোকজন বাড়িতে থাকায় গুগলে এ সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার সার্চ ইঞ্জিনে অনেক অনুসন্ধান করা হয়েছে।

Categories
টেকনোলজি

দক্ষিণ কোরিয়াকে উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে অস্বীকার আমেরিকার; ভারতের সাথেও এই ঘটনা ঘটবে না তো…!

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ভারত আমেরিকার কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র কিনছে এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্পষ্ট। তবে আমেরিকার সাথে মেশার আগে বেশ কিছু বিষয় সবসময় মাথায় রাখা উচিত। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যা ঘটছে তা খুবই দুঃখজনক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার যৌথ পঞ্চম-প্রজন্মের ফাইটার জেট প্রকল্প KAI KF-X-এর জন্য চারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। যা দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার জন্য এই মুহূর্তে বেশ চাপের।

এই চারটি উন্নত প্রযুক্তি হল ইএসএ রাডার, ইও টার্গেটিং পড, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামার এই চারটি প্রযুক্তি দক্ষিণ কোরিয়াকে দেবে না বলে আগেই জানিয়েছে আমেরিকা। মজার ব্যাপার হল, যখন দক্ষিণ কোরিয়া F-35A চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, লকহিড মার্টিন এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এখন তা অস্বীকার করছে।

ভারতের প্রজেক্ট MMRC2 ভারতের স্বদেশী ফাইটার জেট AMCA-কে গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল অনেক দেরি হয়ে যাবে, অর্থাৎ প্রথম প্রোটোটাইপের জন্য হয়তো ২০২৫ বা ২০২৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং ফাইটার জেটটি ২০২৯ সালে উৎপাদন শুরু করবে। আর সেই কারণেই অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন যে, বেশ কিছু আমেরিকান ফাইটার জেট বিলম্ব ছাড়াই কেনা উচিত।

কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, আমেরিকা আজ কোরিয়ার সাথে যা করেছে কাল ভারতের সাথে করবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এই সমালোচনামূলক প্রযুক্তিগুলি বিকাশ করতে সময় লাগে। তাই এটা নিশ্চিত যে দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট কর্মসূচি আপাতত বিলম্বিত হয়েছে।

Categories
টেকনোলজি

ব্লুটুথ ডিভাইসের আড়ালে চলছে বড় ধরনের হ্যাকিং, হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

ডিজিটাল যুগে হাতে স্মার্টফোন আর কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে এগুলি দ্রুত অ্যাক্সেস করা যেতে পারে এবং এগুলি আরও ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। কিন্তু এখানেই বিপদ। সম্প্রতি বিভিন্ন ব্লুটুথ ইয়ারবাড ও ইয়ারফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনা সামনে এসেছে।

ওয়্যারলেস গ্যাজেটগুলির ব্যবহার বৃদ্ধি সত্ত্বেও, লোকেরা এখনও এর সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি সম্পর্কে সচেতন নয়। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকাররা ওয়্যারলেস গ্যাজেটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ব্যক্তির স্মার্টফোনকে লক্ষ্য করে। এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্লুটুথ ডিভাইসগুলি খুবই সংবেদনশীল হয়। এর দ্বারা সাইবার অপরাধীরা ফোন হ্যাক করে এবং এতে বিভিন্ন উপায়ে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেয়।

ব্লুটুথ হ্যাকিংকে সাধারণত দুটি নামে ডাকা হয় – ব্লুবাগিং এবং ব্লুজ্যাকিং। এটি এমন একটি কৌশল যেখানে হ্যাকাররা প্রথমে একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর ব্লুটুথ ইয়ারফোনকে লক্ষ্য করে। তারপর যখন ইয়ারফোনটি ১০ মিটারের মধ্যে আসে তখন তারা এটি সংযোগ করার চেষ্টা করে। এটি সংযোগ করতে ব্রুট ফোর্স পেয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা মূলত কানেক্টিভিটি কোড ক্র্যাক করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করা হয়।

একবার আইফোন সংযুক্ত হয়ে গেলে, হ্যাকাররা ব্যক্তির ফোনে ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার ইঞ্জেক্ট করতে পারে এবং তাদের সংবেদনশীল ডেটা, কল ইতিহাস, বার্তা, পরিচিতি ইত্যাদির উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে পারে। এমনকি তারা ব্যাঙ্কিং অ্যাপে গিয়ে অর্থ লেনদেন করতে পারে। ব্যক্তিটির ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে তাকে ব্ল্যাকমেইলও করতে পারে।

এই হ্যাকিং যেকোন ওয়্যারলেস ব্লুটুথ ডিভাইসে করা যেতে পারে। তাই সচেতন ও সতর্ক থাকতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখুন।

১) সর্বদা ব্যবহারের পরে ইয়ারফোন বা TWS-এর ব্লুটুথ বন্ধ করুন।

২) ব্লুটুথ সেটিংসে যান এবং আপনার ডিভাইসটি অন্য ডিভাইসে ‘দৃশ্যমান’ হলে বিকল্পটি বন্ধ করুন।

৩) ফোনে আসা নোটিফিকেশন অনুযায়ী সফ্টওয়্যার আপডেট করতে ভুলবেন না যাতে আপনি তাদের সর্বশেষ নিরাপত্তা দ্বারা আচ্ছাদিত হন।

৪) পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

৫) জনসমক্ষে বা অজানা ডিভাইস থেকে ব্লুটুথে সংযুক্ত হওয়ার অনুরোধ গ্রহণ করবেন না।

৬) অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করুন যা ম্যালওয়ারের জন্য ফোন স্ক্যান করে। এই ক্ষেত্রে, Google Play Protect (Play Store এ উপলব্ধ) কাজে আসতে পারে।

৭) ফোনে ব্লুটুথের নাম কখনই নিজের নামে রাখা উচিত নয়।

৮) ব্লুটুথের মাধ্যমে সংবেদনশীল ডেটা শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন।

৯) ব্লুটুথ ইয়ারফোনের সাথে সংযুক্ত ডিভাইসগুলি পরীক্ষা করুন, ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন যেকোনো ডিভাইস মুছে ফেলুন৷

Categories
টেকনোলজি

আইসিইউতে থাকলে রোগীর হাসপাতালের বিল এত বেড়ে যায় কেন? কি এমন বিশেষ পরিষেবা রোগী পায়!

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

বিগত বেশ অনেকদিন ধরে আইসিইউ-এর বেডে লড়াই করে চলেছেন টলিউড অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর আরোগ্য কামনা করছে গোটা টলিউড। সমাজমাধ্যমে ঐন্দ্রিলার অনুরাগীদের প্রার্থনার ঢল নেমেছে। সবার একই মনস্কামনা, “ফাইটার ঐন্দ্রিলা তাড়াতাড়ি মারণ রোগকে পরাজিত করে আবার জীবনে ফিরে এসো”। এরই মধ্যে অভিনেতা অনিন্দ্যপূলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাজমাধ্যমে করা একটি পোস্ট সামনে নিয়ে এলো অনেক প্রশ্ন। সম্প্রতি অভিনেতা অনিন্দ্যপূলক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন, “ফাইটার ঐন্দ্রিলাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার চেয়ে অর্থের সাহায্য জরুরী কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার”।

বর্তমানে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বছর ২৪-এর এই টলিউড অভিনেত্রী। ‘অ্যান্টিবায়োটিক ট্র্যাকিওস্টোমি কেয়ার’ -এর মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলছে। আইসিইউতে এয়ার ম্যাট্রেস সহ সমস্ত পরিষেবাই তাঁর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। যেকোনো বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রোগীর চিকিৎসা চলা মানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচা। তাছাড়া আইসিইউ-এর কি কি পরিষেবা ওই রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজন হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করে খরচা আরো বাড়ে। এই হিসেবে দেখতে গেলে এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর চিকিৎসায় প্রতিদিন অসম্ভব পরিমাণে খরচা হচ্ছে।

ছবি সংগৃহীত

কোনো রোগীকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তার বিল অনেক বেশি হয়। সেই নিয়ে ক্ষোভ জমা হয় রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। কিন্তু এমন কি পরিষেবা দেওয়া হয় আইসিইউতে সেটাও তো আমাদের জানা দরকার তাই না?

এই ব্যাপারে চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু আমাদের জানান, “ক্রিটিকাল কেয়ারে রোগীর তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি কেমন তা জানার জন্য প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। সেন্ট্রাল লাইন, গ্যাজেটার, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, সাপোর্ট সিস্টেম ইত্যাদি রোগীকে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ঐন্দ্রিলার মতো রোগী যার কিনা ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে, আগে ইতিমধ্যেই দুবার ক্যান্সার হয়েছে, তাঁর আইসিইউ-এর খরচা প্রতিদিন ৫০ হাজারের থেকে খানিক বেশি হবে তবু কম নয়”। এর ওপর আবার আইসিইউতে থাকা রোগীকে দেখাশোনা করার জন্য একটি বড় দলকে সর্বক্ষণের জন্য নিযুক্ত করা থাকে হাসপাতালে তরফে। তারও একটা বিশাল খরচ রয়েছে।

আইসিইউতে থাকা রোগীর হাসপাতালের বিলের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে রোগীর ডায়েটের খরচ। কারণ যে কোনো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে আমাদের প্রয়োজন হয় প্রোটিনের। তাই ইন্টেন্সিভ কেয়ারে থাকা রোগীদের ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে হাই প্রোটিন প্রেসক্রাইব করা থাকে। এদিকে আমাদের সাধারণ রান্নাঘরে রান্না হওয়া প্রোটিন খাদ্য রোগীকে দেওয়া যায় না। তাই রোগীর জন্য ফর্মুলেটেড প্রোটিন খাদ্য দেওয়া হয়। এই ফর্মুলেটেড প্রোটিন খাদ্যের দাম অনেক বেশি।

আইসিইউতে যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, সহকারি কর্মী ও টেকনিশিয়ানরা কাজ করেন তাঁদের কাজের গতি, তাৎক্ষণিকতা, রোগ নির্ণয় এই সব কিছুর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খরচা অনেকাংশে বেড়ে যায়। ক্রিটিকাল কেয়ারে থাকা বেশিরভাগ রোগীরই দেখা যায় কোনো না কোনো একটা অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করছে না। যেমন হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে ভেন্টিলেটরের দ্বারা সেই অঙ্গটিকে কাজ করানো হয়। এর জন্যেও খরচা অনেকটা বেড়ে যায়।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বেসরকারি হাসপাতালগুলি আইসিইউ-এর বিল যেন মাত্রাতিরিক্ত হারে না বাড়ায় তার জন্য নির্দেশিকা জারি করা আছে। প্রয়োজনে সরকারের তরফে বিশেষ ছাড়েরও ব্যবস্থা রয়েছে।

Categories
টেকনোলজি

ঘরে বসে কাস্ট সার্টিফিকেট অনলাইনে নিখরচায় বানিয়ে নেওয়ার নতুন নিয়ম জারি

বেঙ্গল সমাচার, ডিজিটাল ডেস্ক :-

সরকারি অফিসে আর কষ্ট করে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে কাস্ট সার্টিফিকেট জোগাড় করার দিন শেষ। এবার থেকে আবেদনকারী নিজেই অনলাইনে ঘরে বসে অতি সহজেই হাতে পাবেন। নিম্নলিখিত কিছু সহজ নিয়ম ধাপে ধাপে পালন করলেই কাস্ট সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ১লা নভেম্বর থেকেই অনলাইনে পাওয়া যাবে কাস্ট সার্টিফিকেট বা জাতিগত শংসাপত্র। এর জন্য আবেদনকারীর ছবি প্রয়োজন হবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই এই আবেদন করা যাবে। সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করার নিয়মাবলী :-

১) প্রথমে castcertificatewb.gov.in সরকারি ওয়েবসাইটটি ওপেন করতে হবে,

২) Apply for SC/ ST/ OBC আবেদনকারীর প্রয়োজন অনুসারে অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এর সঙ্গে কাস্ট, ট্রাইব অথবা কমিউনিটি সিলেক্ট করতে হবে,

৩) এরপর জেলা, সাব ডিভিশন অথবা ব্লক ড্রপডাউন থেকে সিলেক্ট করতে হবে,

৪) নিজের নাম এন্টার করতে হবে,

৫) বাবার নাম এন্টার করতে হবে,

৬) মোবাইল নম্বর এন্টার করতে হবে,

৭) ইমেইল আইডি এন্টার করতে হবে,

৮) ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং খাদ্য সাথী কার্ডের নম্বর এন্টার করতে হবে।

৯) জন্ম তারিখ ও স্থান এন্টার করতে হবে,

১০) এরপর বর্তমান ঠিকানা অর্থাৎ জেলা, পুলিশ স্টেশন, ওয়ার্ড বা গ্রাম পঞ্চায়েত, গ্রাম বা পাড়া বা বাড়ির নম্বর পোস্ট অফিস ও পিন কোড এন্টার করতে হবে,

১১) স্থায়ী ঠিকানা এন্টার করতে হবে, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা এক হলে ইয়েস অপশন চুজ করতে হবে,

১২) ভারতীয় নাগরিকত্ব বাছাই করতে হবে,

১৩) ধর্ম ও লিঙ্গ বাছাই করতে হবে,

১৪) বাবা মা অথবা পরিবারের অন্য কোনো আত্মীয়ের কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে সেই ব্যক্তির নাম, আবেদনকারীর সাথে সম্পর্ক, সার্টিফিকেটের নম্বর, সার্টিফিকেট ইস্যুর তারিখ ও প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নাম এন্টার করতে হবে,

১৫) ২ জন স্থানীয় রেফারেন্সের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে,

১৬) অন্য কোনো দেশ অথবা রাজ্য থেকে স্থানান্তরিত হলে উত্তরে হ্যাঁ লিখে মাইগ্রেশন সার্টিফিকেটের ইস্যু ডেট, দেশ অথবা রাজ্য, জেলা, পুলিশ স্টেশন, গ্রাম বা ওয়ার্ড ও স্থানান্তরের সাল উল্লেখ করতে হবে,

১৭) এবার নিচে সেভ এন্ড কন্টিনিউ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে,

১৮) ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করলে বাবা-মায়ের রোজগারের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে কন্টিনিউ বাটন সিলেক্ট করতে হবে,

১৯) মা-বাবা এবং নাবালক সন্তানদের মালিকানাধীন মোট চাষের জমির পরিমাণ জানাতে হবে,

২০) মা-বাবার মোট আয় এবং সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে,

২১) এবার সেভ এন্ড কন্টিনিউ বাটন সিলেক্ট করতে হবে,

২২) পরবর্তী পেজে ছবিসহ সব নথি ভুক্তিকরণ করতে হবে,

২৩) বয়সের প্রমাণ, নাগরিকত্বের প্রমাণ ও স্থানীয় ঠিকানার প্রমাণ আপলোড করতে হবে,

২৪) এবার সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে,

২৫) অটো জেনারেটেড এপ্লিকেশন ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে।

এই স্থানে একটি একনলেজমেন্ট নম্বর দেওয়া থাকবে। সেই নম্বরটি আবেদনকারীকে নিজের কাছে রাখতে হবে।

আবেদনকারীর আবেদন পত্রটি জমা দেওয়া হয়ে গেলে তা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে পৌঁছবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। তারপর অনলাইনে কাস্ট সার্টিফিকেটটি ডাউনলোড করা যাবে। এই স্থানে উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আবেদনকারীর কাছে কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তাও অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে।

এ তো গেল আবেদন করার পালা। এবার কাস্ট সার্টিফিকেটটি অনলাইনে ডাউনলোড করার পদ্ধতিটিও জেনে নেওয়া যাক :-

১) Castcertificatewb.gov.in ওয়েবসাইটটি খুলতে হবে,

২) ডাউনলোড সার্টিফিকেট অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে,

৩) এখানে সার্টিফিকেট নম্বর অথবা এপ্লিকেশন নম্বরটি এন্টার করতে হবে,

৪) আবেদনকারীর নাম ও জন্ম তারিখ এন্টার করতে হবে,

৫) এরপর ডাউনলোড সার্টিফিকেট অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

ডাউনলোড করে সার্টিফিকেটটি প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারে আবেদনকারী। উপরিউক্ত উপায়ে খুব সহজেই ঘরে বসে বিনা খরচাতেই আবেদনকারী কাস্ট সার্টিফিকেট বানিয়ে নিতে পারবে।।