প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারি BJP ও ABVP এর নেতার! ভাইরাল ভিডিও
প্রকাশ্য রাস্তায় মারামারি BJP ও ABVP এর নেতার! ভাইরাল ভিডিও
বেঙ্গল সমাচার প্রতিবেদন, চন্দ্রকোনা,২ জুলাই :-
রাজ্য সড়কের ধারে প্রকাশ্য বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সাথে এবিভিপির জেলা নেতার হাতাহাতি মারধরের ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই শোরগোল চন্দ্রকোনায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবিভিপির জেলা নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেলেও পরে উভয়ের মিটমাট হয়ে ছাড়া পেয়ে যায় বলে খবর। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল সমাচার, তবে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে এমনই মারধরের ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার গোঁসাইবাজার এলাকায় ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়কের ধারে। মারধরের সেই ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক জল্পনা। মারধরের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনজনকে, এদের মধ্যে একজন বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি, একজন তার অনুগামী বুবুন সামুই, অপরদিকে আর একজন যাকে দেখা গেছে তার নাম শুভেন্দু মালস। শুভেন্দু মালস পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এবিভিপি’র নেতা, SFD পদে রয়েছেন বলে জানা যায়। তিনজনেরই বাড়ি চন্দ্রকোনায়। জেলা নেতা সুদীপ কুশারি উপস্থিত থাকলেও মারধরের ঘটনাটি হয়েছে মুলত এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস ও জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারির অনুগামী বুবুন সামুইয়ের সাথে। দুজনকে ছাড়াতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সুদীপ কুশারিও। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে শুভেন্দু মালস নামের এবিভিপি’র জেলা নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
যদিও পরে অবশ্য উভয়ের মধ্যে মিটমাট করে নিলে এবিভিপি’র জেলা নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মারধরের ঘটনায় চোট লাগে বুবুন সামুই ও শুভেন্দু মালসের। চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাও করানো হয়। তবে কি কারণে বিজেপির জেলা নেতার অনুগামীর সাথে এবিভিপি’র জেলা নেতার প্রকাশ্য এই মারধরের ঘটনা ঘটল তা স্পষ্ট না হলেও এমন ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একে অপরের এলাকায় ঢোকাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিনের এই বিবাদ। আর তা থেকেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান।
এবিষয়ে এবিভিপি জেলা নেতা শুভেন্দু মালস বলেন,”আমাকে টাউনে ডেকেছিল যে টাউন আসলে দেখে নেবো বলে। আমি টাউনে একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম, হটাৎ দেখি সুদীপ কুশারি জেলা নেতৃত্ব ও বুবুন সামুই সেখানে আসে। সুদীপ কুশারির উপস্থিতিতে বুবুন সামুই আমাকে মারধর শুরু করে। তৃণমুল থেকে বিজেপিতে এসেছে সুদীপ কুশারি। বিজেপিতে এসে ছড়ি ঘুরাচ্ছে, তৃণমুলের গোপন আঁতাত রয়েছে সুদীপ কুশারির সে সম্পর্কে আমার কাছে প্রমান রয়েছে তাই হয়তো আমার ওপর এই হামলা করা হয়।” যদিও এবিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারি। তিনি জানান, “দুজন নিজেদের ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল, আমরা ছিলাম, ছাড়িয়ে দিয়েছি। দুজনে বসে চা খেয়ে বাড়ি গেছে তেমন কিছু হয়নি, আর এগুলো নিয়ে যারা রাজনীতির রং চড়াতে চাইছে তারা ভুল করছে।” তবে বিজেপি ও এবিবিপির নেতাদের প্রকাশ্য এই মারধরের ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
যেকোনো ধরনের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : 8918270591