![](https://bengalsamachar.com/wp-content/uploads/2023/02/IMG_20230211_204453-780x470.jpg)
চায়ের সঙ্গে এক্সট্রা পাওনা বই পড়া ! তাই বিটেক করে চা দোকান খুললো কিশলয়, ইচ্ছে ডিজিটাল মোবাইল ছেড়ে বই পড়ুক বইপ্রেমীরা
বই পড়ুন ও পড়ান বার্তা B.Tech চায়েওয়ালার
বিশ্বনাথ দাস ,মেদিনীপুর :
চায়ের সঙ্গে এক্সট্রা পাওনা বই পড়া ! তাই বিটেক করে চা দোকান খুললো কিশলয়, ইচ্ছে ডিজিটাল মোবাইল ছেড়ে বই পড়ুক বইপ্রেমীরা। চায়ের সঙ্গে বই পড়ার মজা তাও আবার একই রুমে। এ এক অন্য চায়েওয়ালার কাহিনী। যা না বললে অনেকটাই অসমাপ্ত থেকে যায় মেদিনীপুরের না জানা ইতিহাস। নাম কি কিশলয় মাইতি, বয়স ২৪ বছর। কিশলয় কম্পিউটার নিয়ে বিটেক করছিল ভুবনেশ্বরে। কিন্তু চাকরিতে কিছুতেই তার মন ভরে না। ইচ্ছে ছিল বই পড়া এবং বই পড়ানো। তার সঙ্গে ব্যবসা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। তাই পড়া শেষ করার মধ্য দিয়ে এসে নিজের বাড়িতে ফিরে আসে Covid পিরিয়ড দ্বিতীয় পর্যায়ের সময়। মেদিনীপুর শহরের শরৎপল্লী ডাক বাংলো এলাকায়।
দুই বন্ধুর সহযোগিতায় সে শুরু করে পেয়ালার। এই পেয়ালাতে শুরু চা ও কফি দিয়ে। তরুণ তরুণী ইয়ং প্রজন্ম সঙ্গে বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা যাতে চা খেতে খেতে তাদের প্রিয় লেখক এর বই বা প্রিয় বইএকটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারে তার এই ব্যবস্থা করেছিল সে। বাংলা লেখক এর মধ্যে সমরেশ মজুমদার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, আমিষ ত্রিপাঠী যেমন বই রয়েছে তেমনি রয়েছে হলিউডের Rick Riordan এর Hero of Olympus, EL James এর Fifth shades of darkar এরই সঙ্গে চেতন ভগতের revolution twenty২০ বই। এছাড়াও থরে থরে সাজানো রয়েছে সানন্দা প্রচ্ছদ সহ তরুণ প্রজন্মের কিশোর কিশোরী ও টিন এজেদের জন্য রূপচর্চার প্রচ্ছদ কাহিনী। আর সেই বই পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বইপ্রেমীরা। দোকানে ঢুকলেই বই সাজানো রয়েছে আর সেই বই অনেকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িও নিয়ে চলে যায়। যদিও তাতেই গোঁসা কিশলয়ের। কেননা এই বইগুলো তার নিজস্ব সংগ্রহের। এই সঙ্গে রয়েছে বন্ধু-বান্ধবের এবং নিজের পরিবারের দিদির কিছু জমানো বই। আর যেই বই তার নিজের প্রাণপ্রিয়।
তবে এই বইয়ের সংরক্ষণে খুশি ক্রেতারা। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকছে এই বইয়ের সঙ্গে চা ও কফি খেতে। যদিও বর্তমানের চা কফি সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চিকেন, ভেজ সুপ,পাকোড়া, নুডলস সহ রাতের খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রেখেছে এই কিশলয়। এছাড়া ছোট খাটো অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে রেস্টুরেন্টে।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে কিশলয় মাইতি বলেন “কোনদিনই চাকরির ইচ্ছে ছিল না। তাই ব্যবসা করার ইচ্ছে থেকেই এই পেয়ালার সূত্রপাত। এরই সঙ্গে চাইতাম মানুষকে বই পড়াবো। কারণ বর্তমানে মোবাইলও ডিজিটালের দাপটে নতুন প্রজন্ম বই পড়া গিয়েছে ভুলে। বই পড়ার দিয়ে মানুষের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য সঙ্গে বইপ্রেমীদের বইয়ের রচনা তৃপ্তি করার জন্যই এই আয়োজন। খুব নিজেকে ভালো লাগে যখন কেউ চা খেতে খেতে বই পড়ে”।
চা কফি খেতে আসা গ্রাহক আত্মদিপ্ দাস, রীতশ্রী রায়, চন্দ্রানী ঘোষ, ইন্দ্রনীল নাথ, সায়ন্তন কুন্ডুরা বলেন এই চা ও কফি খাওয়ার সঙ্গে বই পড়ার ইচ্ছেটা বহুদিনের কিন্তু এইভাবে কফি শপ বা রেস্টুরেন্টে এসে এই ধরনের ব্যবস্থা ভাবতে পারিনি। তবে খুব ভালো লেগেছে সঙ্গে সমাজকে যে সচেতন করতে চাইছে ওই ছেলেটা এটা খুব ভালো বার্তা বলে আমরা মনে করছি। আমরা প্রায় আসি এবং চা খেতে খেতে বই পড়ি।
যেকোনো ধরনের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : 8918270591