
ফুলেও ডিজিটাল পরিবর্তন! অর্গানিকের বদলে আর্টিফিশিয়ালে ফুলে মজেছে ব্যবসায়ীরা খুশি ক্রেতারা
প্লাস্টিক ফুলে মজেছে মেদিনীপুর
নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
এখন চলছে বিয়ে বাড়ির মরসুম আর বিয়ে বাড়ি মানে ফুলের কাজ, ফুলের বাহার। লজ,বাড়ি ডেকোরেশনে ফুলের জুড়ি মেলা ভার। তাই বিয়ে বাড়ির উদ্যোক্তারাও যেমন ফুলের প্রতি আকর্ষিত হয় তেমনি ব্যবসায়ীরাও। সারা বছর ধরে এই ফুল ব্যবসা করেন ব্যবসায়ীরা। মূলত জন্মদিন, অন্নপ্রাশন, বিয়ে বাড়ি, অ্যানিভার্সারি সহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ফুল দিয়েই কাজ করেন ব্যবসায়ীরা।
বারোমাসই এই ফুলের চাহিদা থাকে রকমারি ফুলের তাই সারা বছর ধরে সেই ফুলের চাহিদা জুগিয়েছে ছোট বড় শহরের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ডিজিটাল যুগের পরিবর্তন আর সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে অর্গানিকের বদলে প্লাস্টিক ফুলের দাপট বেড়েছে শহর ও জেলা জুড়ে। এখন যে কোন অনুষ্ঠানেই গেলে দেখতে পাওয়া যায় অর্গানিক না বরং প্লাস্টিক ফুলের দাপট। যেকোনো উৎসব অনুষ্ঠান থেকে মন্ডপ ডেকোরেশনেও এই আর্টিফিশিয়াল ফুলের কাজ করছেন শিল্পীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য এই আর্টিফিসিয়াল ফুলের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে সারা বছর ধরেই এই ফুল পাওয়া যায়। এই ফুলের সহজে পচন ধরে না, স্থায়ী অনেক বেশি।এই ফুল সাজাতে সময় কম লাগে। এছাড়াও প্রকৃতিগত ফুলের থেকে এর দাম তুলনামূলক কম। তাছাড়া এই ফুলের ক্ষতির পরিমাণও কম।
এক গুচ্ছ আর্টিফিশিয়ালের ফুল দিয়ে কয়েকশো পুজো মন্ডপ, বিয়ে বাড়ির করেছেন এবং অনুষ্ঠান বাড়ি সাজানো যায় তাই এতে সুবিধে বেশি। এই সুবিধাতেই আর্টিফিশিয়ালি এখন ছয়লাপ। প্রকৃতিগত ফুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আর্টিফিশিয়াল ফুলেও রকমারি রয়েছে। যেমন লিলি,গোলাপ,রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী থেকে নানান ভিন দেশীয় ফুলের বাহার। আর ক্রেতারা একপ্রকার পছন্দ করছে এই আর্টিফিশিয়াল ফুল। কারণ প্রকৃতিগত ফুল বিয়ে বাড়ির মন্ডপ সকাল থেকে সাজিয়ে রেখে সন্ধ্যেবেলায় নষ্ট হয়ে যায় একপ্রকার। সেক্ষেত্রে ফুলের কাজের বাহার দেখানো যায় না অতিথিদের। কিন্তু আর্টিফিসিয়াল ফুল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম থাকে এবং তাতে ফুলের বাহার চোখে পড়ে সঙ্গে উৎসাহ পাওয়া যায় আগমনরত অতিথিদের। তাই এখন জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের এই আর্টিফিশিয়াল ফুলেরই রমরমা। শেষ প্রান্ত ঘাটাল দাসপুর থেকে শুরু করে গড়বেতা শালবনী অপরদিকে ফুলের বাজার হিসেবে পরিচিত ডেবরা, সবং এর পাশাপাশি মেদিনীপুর খড়গপুরে একপ্রকার প্লাস্টিক ফুলের বাজার জমে উঠেছে।
যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অনয় মাইতি, তপন দত্ত, কমল দাস, দেব দত্ত মান্নারা বলেন প্রকৃতিগত ফুলের থেকে প্লাস্টিক ফুলের সুবিধা বেশি। কারণ সারা বছর পাওয়া যায়, দ্বিতীয়ত নষ্ট কম হয়, তৃতীয়ত পছন্দ মত পার্টি কে খুশি করা যায়। এর সঙ্গে তুলনামূলক দামেও কম হয়। যার ফলে আমরা এখন প্রকৃতিগত ফুলের থেকে আর্টিফিশিয়াল ফুলের উপরই বেশি জোর দিয়েছি। যদিও প্রকৃতিগত ফুলের চাহিদা বাজারে রয়েছে। তবে সারা বছর যেহেতু পাওয়া যায় না তাই আর্টিফিশিয়াল ফুলের ক্রেতার চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে ।
এ বিষয়ে খুশি ক্রেতারা বিদেশ পাল, প্রশান্ত বেরারা জানান এই আর্টিফিশিয়াল ফুল ডেকোরেশন করলে কোন নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। না পাওয়ার অনিশ্চয়তা নেয় । তাই সারা বছর ধরে পাওয়া যাওয়া এই ফুলই আমাদের এখন কাজে লাগে যদিও প্রকৃতিগত ফুল আমরাও চাই ব্যবসায়ীদের কাছে যাতে ডেকোরেশনের পাশাপাশি অতিথি অভ্যতার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
যেকোনো ধরনের খবর ও বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : 8918270591